Originally posted in যুগান্তর on 3 June 2022
দেশের অর্থনীতিতে সংকট বিরাজমান। এই সংকট আরও বিকশিত হচ্ছে। কারণ সরকারি আয়ব্যয় পরিস্থিতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং চলতি খাতে ঘাটতি বাড়ছে।
আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি, রপ্তানি এবং রেমিট্যান্স আয়ে অনিশ্চয়তার কারণে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে বড় ধরনের সমস্যা হচ্ছে। টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে অসহনীয় হয়ে উঠছে জিনিসপত্রের দাম। মনে হচ্ছে-আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।
ফলে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হলো সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ধরে রাখা। এই পরিস্থিতিতে স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দুই-তিন বছরের জন্য একটি স্বল্পমেয়াদি স্থিতিশীল পরিকল্পনা থাকতে হবে। বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সুরক্ষা জরুরি।
এছাড়াও সুরক্ষা দিতে হবে বাজারমুখী দেশীয় শিল্পকে। যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মনির হোসেন
যুগান্তর : আপনার বিবেচনায় এবারের বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ কী?
ড. দেবপ্রিয় : এবারের বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ হলো সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ধরে রাখা। এই স্থিতিশীলতার মূল স্তম্ভটা হতে হবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতিতে নজর দিতে হবে। সরকারিভাবে ৬ দশমিক ২৯ (এপ্রিল ২০২২) শতাংশ মূল্যস্ফীতির কথা বলা হচ্ছে।
কিন্তু এটি বাস্তবতার সঙ্গে আদৌ সংগতিপূর্ণ নয়। এক্ষেত্রে সরকারি তথ্যে আরও কৌতূহলের বিষয় হলো শহরের চেয়ে গ্রামে মূল্যস্ফীতি বেশি। গ্রামে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ (এপ্রিল ২০২২)। মোট মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশি। একই সঙ্গে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের চেয়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বেশি। এটি ঠিক নয়। বাস্তবে মূল্যস্ফীতি আরও বেশি। আগামী দিনে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম যে হারে বেড়েছে, সেই উচ্চমূল্যের পণ্য এখনো বাংলাদেশে আসেনি। এছাড়াও মুদ্রার বিনিময় হার বৃদ্ধি পাওয়ায় তা পণ্যমূল্যে প্রভাব ফেলছে।
ফলে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য মূল্যস্ফীতিকে কেন্দ্রীয় সূচক হিসাবে বিবেচনার সুপারিশ করছি। অন্য সূচকগুলোকে সহযোগী হিসাবে বিবেচনায় নিতে হবে। কারণ, অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে নিম্ন আয়ের মানুষ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো-মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে অর্থনীতির অন্য কয়েকটি সূচক বিবেচনায় নিতে হয়। এর মধ্যে টাকার মান স্থিতিশীল, সুদের হার ঊর্ধ্বমুখী এবং বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম নিম্নমুখী থাকলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। কিন্তু সব জায়গাতেই বর্তমান অবস্থান আগের চেয়ে অনেক দুর্বল হয়েছে।
মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে, সুদের হারও ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে এবং বিশ্ববাজারে বিভিন্ন কারণে পণ্যের দাম বাড়ছে। ফলে এবারের বাজেটে আয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ধরনের চাপ আসবে।
আমার কাছে মনে হচ্ছে, প্রকৃত অর্থেই সরকারকে আগের চেয়ে অনেক বেশি ধারদেনা করতে হবে। এটা দেশ ও দেশের বাইরে দুই জায়গায়ই হবে। দেশের ভেতরে ব্যাংকিং খাত থেকে ইতোমধ্যে সরকার বড় ধরনের ঋণ নিয়েছে। আগামী দিনে এটা আরও বাড়বে। দ্বিতীয়ত, সরকার ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণচুক্তি করেছে। পাশাপাশি পাইপলাইনে ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বৈদেশিক সাহায্য রয়েছে। সেগুলোকে ব্যবহারের উদ্যোগ নিতে হবে।
সেক্ষেত্রে খুবই দক্ষ, করিৎকর্মা এবং সচেতন অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ছাড়া বাজেট ঘোষণা করা হলে তা জনমানুষের কল্যাণে বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন হবে। আর মূল্যস্ফীতিকে মোকাবিলা করতে সবচেয়ে অসুবিধাগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে টিসিবির মাধ্যমে আরও ব্যাপকভাবে খাদ্য পরিবেশন কিংবা সরাসরি অর্থসহায়তা অথবা তাদের মজুরি যাতে না কমে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
যুগান্তর : দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে মূল্যায়ন করছেন?
ড. দেবপ্রিয় : প্রতিটি বাজেটের একটি প্রেক্ষিত থাকে। সেক্ষেত্রে এ বছরের বাজেটের তিনটি প্রেক্ষিত রয়েছে। প্রথমত, করোনার আগে সর্বশেষ অর্থবছর ছিল ২০১৮-১৯। বর্তমানে করোনা উত্তরণের কথা বলা হলেও অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক এখনো আগের অবস্থায় ফিরে যায়নি। এ ঘাটতি নিয়েই ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। দ্বিতীয় বিষয় হলো-আন্তর্জাতিক বাজারে বড় ধরনের সংকট চলছে।
এক্ষেত্রে জ্বালানি তেল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একধরনের অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। তৃতীয়ত, ২০০৮-০৯ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতে বড় সংকটের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি হয়েছিল।
এরপর গত ১৩-১৪ বছরে বর্তমানে সবচেয়ে চাপে বা টানাপোড়েনে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। অর্থাৎ এখনো করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে ফিরে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এর মধ্যেই বিশ্ব অর্থনীতিতে সংকট, আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতিকে বড় ধরনের চাপে ফেলেছে। অন্যদিকে বিগত বছরগুলোয়ও দেশের আর্থিক দায়দেনা পরিস্থিতির কাঠামোটি সর্বদাই দুর্বল ছিল। এটি এখনো অব্যাহত রয়েছে।
আর দুর্বলতার লক্ষণ হলো কর-জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) অনুপাত ১০-এর ওপরে ওঠেনি। অর্থাৎ জিডিপির আকার ১০০ টাকা হলে, বর্তমানে কর আদায় মাত্র ৯ টাকা ৪০ পয়সা। দক্ষিণ এশিয়ায় যা সবচেয়ে কম। একই সঙ্গে সরকারি ব্যয়ের ক্ষেত্রে উন্নয়ন কর্মসূচির চেয়ে পরিচালন ব্যয় অনেক বেশি।
যুগান্তর : সরকারের আয় বাড়ানোর জন্য কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
ড. দেবপ্রিয় : আয় বাড়ানোর জন্য করের আওতা বাড়াতে হবে। কারণ দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ কর দেয় না। ১৭ কোটি মানুষের দেশে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) আছে মাত্র ৭৪-৭৫ লাখ। আর কর দেয় ২৩-২৪ লাখ মানুষ।
এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ যারা বিদেশে অর্থ পাচার করছে, তাদের সুবিধা দিয়ে টাকা দেশে আনা হচ্ছে; কিন্তু দেশের ভেতরে মানুষ কর দিচ্ছে না। এক্ষেত্রে তাদের কাছ থেকে কর আদায় করতে না পারা রাষ্ট্রক্ষমতার ব্যর্থতা। ফলে যারা কর দেয় না, তাদের করের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তবে করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা উচিত। কারণ, করোনার কারণে বেশকিছু নিম্ন আয়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যুগান্তর : বিভিন্ন কারণে বৈদেশিক খাতে চাপ বাড়ছে, এ ব্যাপারে বিশ্লেষণ কী বলছে?
ড. দেবপ্রিয় : গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে শক্তির জায়গা ছিল বৈদেশিক খাত। রপ্তানি, রেমিট্যান্স, বৈদেশিক সাহায্য এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক বিনিয়োগ শক্তিশালী ছিল। এতে বৈদেশিক আয়ব্যয় বা চলতি হিসাবের ভারসাম্য শক্ত অবস্থানে ছিল। এ অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। গত বছরের মার্চ পর্যন্ত চলতি হিসাবের ভারসাম্যে ৫৫ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল। এ বছরে মার্চে ওই ঘাটতি ১ হাজার ৪০৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এই সংকট আরও বেশি পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে। অনেকে লেখেন বা বলে থাকেন, বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কিন্তু আমি বলব, এখানে অর্থনীতি বোঝার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে। কারণ রপ্তানির যে উল্লম্ফন, এটি আমদানীকৃত উপকরণের দাম বৃদ্ধির কারণে হয়েছে।
ফলে এত রপ্তানি বৃদ্ধির পরও চলতি বছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ২৪ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। আর গত বছর এই ঘাটতি ছিল এর অর্ধেকের কাছাকাছি। অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে আমরা এত আত্মতুষ্টিতে ভুগছি। কিন্তু এটি ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে রিজার্ভ কমতে শুরু করে।
এখনো এই কমা অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে যে রিজার্ভ আছে (৪২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার, এপ্রিল ২০২২), তা নিয়ে ৪-৫ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে না। এরপর বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে রিজার্ভে বড় ধরনের টান পড়বে। এ কারণে টাকার মান আরও কমতে থাকবে। অর্থাৎ এ বছরে অর্থনীতির নতুন বিষয় হলো-রাজস্ব খাতের সঙ্গে বৈদেশিক খাতের দুর্বলতা বাড়ছে। এছাড়াও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। এতে বাজেটে ভতুর্কি বাড়বে বলে মনে হচ্ছে।
যুগান্তর : পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রণোদনার কথা বলছে-এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?
ড. দেবপ্রিয় : চুরি করে দেশের টাকা যারা বাইরে নিয়ে গেছে, সরকার তাদের দ্বিগুণ সুযোগ দিয়ে দেশে টাকা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে-এটা আমি এখনো বিশ্বাস করি না। এটা সত্য হলে, প্রমাণ হবে অর্থ পাচারকারীরা সরকারের নীতিকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখেন। অর্থাৎ যারা এই নীতি করছেন, তারাই বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন কি না, এ প্রশ্নটি সামনে আসছে। তারা প্রথমে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রকল্প থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে বিদেশে নিয়ে গেছেন আবার সুনীতির মাধ্যমে সেই অর্থ দেশে ফেরত এনে সাদা করতে চাচ্ছেন।
এ ধরনের কার্যক্রম সৎ করদাতাদের মুখে চপেটাঘাত। অর্থনৈতিক বিবেচনায় কোনোভাবেই এটি যৌক্তিক পদক্ষেপ নয়। নৈতিকভাবে এটি অত্যন্ত খারাপ কাজ হবে। পাশাপাশি এটি রাজনৈতিকভাবে কোনো সরকারের জন্য গ্রহণযোগ্য বা রুচিকর সিদ্ধান্ত হতে পারে না। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে দুদক বন্ধ করে দেওয়া হোক।
যুগান্তর : ঘাটতি অর্থায়ন নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?
ড. দেবপ্রিয় : অনেকে বলছেন, বিশাল বাজেট ঘাটতি। আমি তাদের সঙ্গে একমত নই। কারণ দেশে বাজেট ঘাটতি বেশি নয়। প্রতিবছরই বাজেট ঘাটতি জিডিপির ৬ শতাংশের নিচে ধরা হয়। বাস্তবে ঘাটতি আরও কম। মূলত সরকার টাকা খরচ করতে পারে না। এর মূল কারণ হলো দুটি। প্রথমত, সম্পদের অভাব এবং দ্বিতীয়ত সম্পদ থাকলেও এর গুণগতমান সম্পূর্ণ ব্যয় করতে না পারা। আর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এটি একটি কাঠামোগত সীমাবদ্ধতা বা ব্যর্থতা। অর্থাৎ কর আদায় কম, ব্যয়ও কম এবং নিয়ন্ত্রিত বাজেট ঘাটতি। এটি কোনো অবস্থাতেই অর্থনীতির শক্তির লক্ষণ নয়।
যুগান্তর : বিনিয়োগ বাড়াতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন?
ড. দেবপ্রিয় : গত কয়েক বছরে দেখা গেছে, বিনিয়োগ একটি নির্দিষ্ট হারের মধ্যে আটকে আছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল জিডিপির ৩১ দশমিক ০২ শতাংশ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর মধ্যে বেসরকারি বিনিয়োগের হার হলো ২৩-২৪ শতাংশ। কিন্তু করোনার আগে ২০১৯ অর্থবছরে বিনিয়োগ ছিল জিডিপির ২৫ শতাংশ। অর্থাৎ এখনো আমরা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারিনি।
এরপরও জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এখানেও আমরা বলছি, জিডিপি প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। অন্যদিকে সরকার বলছে বৃহৎ শিল্পে জিডিপির ১২ দশমিক ৮৭ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে। এক্ষেত্রে ছোট ও মাঝারি শিল্পে ১১ দশমিক ৭১ এবং কুটিরশিল্পে ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
এখানেও দেখা যাচ্ছে বড় শিল্প বেশি সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ নিয়মে ছোট শিল্পে বিনিয়োগ হলে কর্মসংস্থান বাড়ে। ফলে এখানেও বৈষম্য হচ্ছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে দেশীয় বাজারমুখী শিল্পকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।