Published in দৈনিক সমকাল on Sunday, 18 June 2017
বর্তমান ও আগামীর সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে দেশের পোশাক শিল্প খাতকে প্রযুক্তি সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। অর্থনীতির স্বার্থেই এ খাতকে ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। পাশাপাশি বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের নিজস্ব ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য দরকার ইতিবাচক প্রচার। এটা করা গেলে এই শিল্প এরই মধ্যে যে সক্ষমতা অর্জন করেছে তাতে সম্ভাবনার সবটুকু কাজে লাগানো যাবে। গত ৩০ এপ্রিল সমকালের আয়োজনে অর্থনৈতিক উন্নয়নে তৈরি পোশাক শিল্প গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব মতামত দিয়েছেন। রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজনে সহযোগিতা করে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যয় কমাতে উদ্ভাবনী সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান থ্রেডসল
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম
বৈশ্বিক পর্যায়ে তৈরি পোশাক শিল্পের চ্যালেঞ্জগুলো এখন আমাদের সবার সামনে পরিষ্কার। আগামী সাত থেকে আট বছরের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাবে। তখন আমরা শুল্কমুক্ত পোশাক রফতানির সুবিধা পাব না। যখন আমরা জিএসপি সুবিধা পাব না, তখন আমাদের তীব্র প্রতিযোগিতা করতে হবে। কমপ্লায়েন্সের পাশাপাশি পরিবেশসহ ২৭টি ক্যাটাগরিতে আমাদের ফ্যাক্টরিগুলোকে নির্দিষ্ট মানোত্তীর্ণ হতে হবে। বিশ্বের তৈরি পোশাক শিল্পের বাজার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এ ব্যবসায় শীর্ষস্থান ধরে রাখা চীন ভবিষ্যতে এ ব্যবসা থেকে সরে যাবে। তখন চীনের এ বিশাল বাজার ধরার জন্য আমাদের প্রতিযোগিতা করতে হবে। ইতিমধ্যে মিয়ানমার ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ যেমন ইথিওপিয়া এ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। বর্তমানে বৈশ্বিক বাজারে চাহিদা অনুযায়ী কম দামের পোশাক থেকে বেশি দামের পোশাকের দিকে যেতে হবে। বাংলাদেশের বড় উদ্যোক্তারা ইতিমধ্যে তা শুরু করেছেন। আর এখন কমপ্লায়েন্স শুধু শ্রমিকদের বিষয় নয়। এখন পরিবেশ, অবকাঠামো ইত্যাদি রয়েছে। আবার পোশাকের একদিকে দাম কমছে, অন্যদিকে খরচ বাড়ছে। এ অবস্থায় আগামী দিনের বড় কাজ হবে ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বাড়ানো। শ্রমিকের দক্ষতার চেয়ে ব্যবস্থাপনার দক্ষতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এ জন্য প্রযুক্তিতে যেতে হবে। তবে প্রযুক্তির কারণে শ্রমিকরা যাতে বেকার না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সব ব্যবসায়ীকে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা উচিত।