Originally posted in Biz View on 1 August 2025
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক ৩৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান- সেন্টার ফল পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ও অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এজন্য বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশের নেগোসিয়েশন টিমকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম এ প্রতিবেদককে জানান, ‘মার্কিন পাল্টা শুল্ক এখন বাংলাদেশের মূল প্রতিযোগী দেশগুলোর সমপর্যায়ে রয়েছে। বিশেষ করে পাকিস্তানের ১৯ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ এবং ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ফলে রপ্তানিতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারানোর যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা উতরানো গেছে। ভারত ও চীনের শুল্ক বাংলাদেশের তুলনায় বেশি হওয়ায় বাড়তি রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের।
এক প্রশ্নের জবাবে সিপিডি’র এই গবেষক জানান, রপ্তানি করা প্রায় সব পণ্যের কাঁচামাল চীন থেকে আমদানি করতে হয়। সেক্ষেত্রে ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় চীন থেকে আমদানি করা কাঁচামালের ওপর যুক্তরাষ্ট্র ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলে প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এই পরিস্থিতি উত্তোরণে কাঁচামালের ওপর ভ্যালু অ্যাড বাড়াতে হবে।
নতুন করে শুল্ক কমানোর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক বহির্ভূত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফুটওয়্যারসহ অন্য পণ্যের রপ্তানি বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন ড. মোয়াজ্জেম।
তবে, মার্কিন শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করার খবর স্বস্তির হলেও দরকষাকষির সময় কী চুক্তি হয়েছে সে বিষয়টি খোলাসা করা দরকার বলে মনে করেন সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক। ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ‘ব্যবসাকে এককেন্দ্রিক না করে অন্য আর যেসব দেশের সাথে বাণিজ্য রয়েছে তাদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হয় এমন কিছু করা ঠিক হবে না। তাই শুল্ক বিষয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের বাইরে অশুল্ক বিষয়ে যেসব চুক্তি বা শর্ত পালনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে সেসব বিষয় জনগণের সামনে কূটনৈতিক ব্যাখ্যা থাকা দরকার। আশা করছি, প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়া হবে’।