Published in কালের কন্ঠ on Thursday, 26 October 2017
পোশাক শিল্পের বর্তমান ও করণীয়
ড. মোস্তাফিজুর রহমান, সন্মাননীয় ফেলো, সিপিডি
চট্টগ্রাম পোর্ট, মোংলা পোর্ট ও পায়রা পোর্ট দিয়ে আমদানি-রপ্তানি সহজ করতে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। পদ্মা সেতু থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল যদি আমরা পেতে চাই তাহলে সেখানে শিল্পায়ন করতে হবে। লাতিন আমেরিকার বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে, ভারত ও চীনেও তৈরি পোশাক অনেক আমদানি হয়, এটি একটি বড় সম্ভাবনা।
আমরা একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। ক্রান্তিকাল দুইভাবে মোকাবেলা করা যায়—একটি হলো চ্যালেঞ্জ হিসেবে, আরেকটি হলো অপরচুনিটি হিসেবে। আমি দ্বিতীয়টিতে বিশ্বাসী, কারণ বাংলাদেশের এই সেক্টরটির একটি অমিত সম্ভাবনা আছে। আমরা রানা প্লাজার পরে যে উদ্যোগগুলো নিয়েছি, সেটা মার্কেটিং করতে হবে। উদ্যোক্তারা তাঁদের কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য ও শ্রম পরিস্থিতি উন্নয়ন করার জন্য অনেক কিছুই করেছেন। ভ্যালু চেইনের অন্য জায়গাগুলোতে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। আমরা অবকাঠামোগত উন্নয়ন, পোর্ট, জ্বালানি সরবরাহ—এ জায়গাগুলোতে যদি প্রস্তুতিগুলো দ্রুততর করতে পারি তাহলে বিশ্ববাজারের সুযোগটা আমাদের রয়েছে। বিক্ষিপ্তভাবে গড়ে ওঠা পোশাকশিল্পের এবং তার বিভিন্ন ধরনের সহায়ক শিল্পগুলোকে দ্রুততরভাবে ইকোনমিক জোনগুলোতে নিয়ে যেতে হবে। চট্টগ্রাম পোর্ট, মোংলা পোর্ট ও পায়রা পোর্ট দিয়ে আমদানি-রপ্তানি সহজ করতে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। পদ্মা সেতু থেকে কাঙ্ক্ষিত ফল যদি আমরা পেতে চাই তাহলে সেখানে শিল্পায়ন করতে হবে। লাতিন আমেরিকার বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে, ভারত ও চীনেও তৈরি পোশাক অনেক আমদানি হয়, এটি একটি বড় সম্ভাবনা। আজকাল ডিপ্লোমেসি হলো ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি। এই জায়গাগুলোতে আমাদের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা আছে। ভারত গত কয়েক বছরে তাদের বস্ত্রশিল্পকে সহায়তা প্রদানের জন্য যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তাতে তারা একটি বিরাট কম্পিটিটর হিসেবে আসবে। আমাদের যে দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে অনেক সময় ইনসেনটিভ দরকার হয়। দক্ষতা যদি আমরা বাড়াতে পারি এবং অন্যান্য জায়গায় ঠিক বিনিয়োগগুলো করি তাহলে এ ধরনের ইনসেনটিভ ততটা হয়তো দরকার হবে না। আমরা যদি ফরওয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড শিল্প মিলে পণ্য প্রস্তুত করতে পারি তাহলে ৫০ বিলিয়ন ডলার এক্সপোর্ট অর্জন করা যাবে।