Published in বণিক বার্তা on 13 October 2020
একসময় বাংলাদেশের গ্রামের কথা বললেই যে চিত্রটি চোখের সামনে ভেসে উঠত তার অনেকটা ছিল এ রকম—আঁকাবাঁকা মেঠো পথ, তার পাশে উঠোনঘেরা বাড়ি, সামনে পুকুর, কৃষকের কাঁধে ধান, নারীরা হাঁস-মুরগির যত্ন নিচ্ছে, ছোট ছোট ছেলেমেয়ে ক্ষেতের আইল ধরে শ্লেট আর বই হাতে স্কুলে যাচ্ছে। আর এখন সেই গ্রাম শুধু কৃষিকাজ নিয়ে ব্যস্ত নয়। সেখানে কৃষির বাইরে অনেক ধরনের কর্মযজ্ঞ সৃষ্টি হয়েছে। দোকানপাট, বাজার, পাকা রাস্তা, স্কুল, কলেজ, ক্লিনিক, নানা ধরনের গাড়ি, বিদ্যুৎ, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি নিয়ে গ্রাম এখন অনেকটাই শহরের ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরই সঙ্গে সমান্তরালভাবে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন কাজের ক্ষেত্র ও ধরন। সব মিলিয়ে গ্রামের চেহারার মধ্যে আধুনিকতা আর বৈচিত্রের ছোঁয়া লেগেছে। গ্রামের এ রূপান্তরের পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। এর তাত্পর্যও অনেক।
গ্রামের এ পরিবর্তন হওয়ার জন্য বাংলাদেশের অর্থনীতির ধারাবাহিক পরিবর্তন কাজ করেছে। গত পাঁচ দশকে আমাদের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য কাঠামোগত পরিবর্তন হয়েছে। কৃষিনির্ভর একটি অর্থনীতি বর্তমানে শিল্প ও সেবা খাতনির্ভর হয়ে উঠেছে। সত্তরের দশকের শুরুর দিকে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে কৃষির অবদান প্রায় ৬০ শতাংশ ছিল। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী (২০১৯ অর্থবছর) জিডিপিতে কৃষির অবদান ১৩.৬৫ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি অবদান সেবা খাতের , ৫১.৩৫ শতাংশ। আর শিল্প খাতের অবদান হচ্ছে ৩৫ শতাংশ। পৃথিবীর সব দেশেই উন্নয়নের পথপরিক্রমায় এ খাতগুলোর অবদান এভাবে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। অর্থনীতি যখন এগোতে থাকে, কৃষির অবদান সেখানে কমতে থাকে। উন্নত দেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান খুব কম। সেসব দেশে কৃষিতে কর্মসংস্থানও অনেক কম।
তবে বাংলাদেশের কৃষি খাতে এখনো ৪০ শতাংশের বেশি শ্রমশক্তি নিয়োজিত রয়েছে। এই কৃষি শুধু ধান উৎপাদন নয়, মৎস্য, বন, গবাদিপশু ইত্যাদিও এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু কৃষিতে সারা বছর তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে না। কৃষিতে মৌসুমি বেকারত্ব রয়েছে। যখন চাষাবাদ হয় তখন তারা কাজ পায়, বাকি সময় অন্য কিছু করে বা বেকার থাকে। অন্যদিকে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান তেমন বৃদ্ধি পায়নি, বরং অনেকটা স্থবির হয়ে আছে। তাছাড়া এ খাতের বৈচিত্র্যও বাড়েনি, কয়েক ধরনের কাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে আছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রামীণ অকৃষি খাত কর্মসংস্থান বাড়ানোর একটি অন্যতম উপায় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতিতে কৃষির বাইরে অকৃষিজাত কর্মকাণ্ড ক্রমান্বয়ে প্রসারিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর শ্রমশক্তি জরিপ ও খানা জরিপ অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের মধ্যে ৪৮ শতাংশের বেশি ছিল অকৃষি খাতে। অথচ ২০০০ সালে এটি ছিল ৩৭ শতাংশ। অন্যদিকে, কৃষি খাতে নিয়োজনের হার কমেছে।
যদিও চিরাচরিতভাবে কৃষির সঙ্গে ‘গ্রামীণ’ শব্দটি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত ছিল, কিন্তু এই দুয়ের সম্পর্কে ক্রমান্বয়ে পরিবর্তন ঘটছে। এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, কৃষির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো জমি, যেটি বাংলাদেশে খুবই কম। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১১৫ জন মানুষ বাস করে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়তে থাকা, আর জমির পরিমাণ একই থাকার কারণে জমির ওপর অত্যধিক চাপ পড়েছে। এর ফলে গ্রামীণ পরিবারগুলোর জন্য জমির প্রাপ্যতা কমে যাচ্ছে। কৃষিতে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগও কমে যাচ্ছে। অনেকেই ভূমিহীন। আবার কৃষিজমির আয়তনও কমে যাচ্ছে। এতে অনেকের জন্য কৃষি থেকে আয়ের সুযোগ কমে এসেছে। গ্রামীণ পরিবারগুলো এটি বুঝতে পেরে কৃষির বাইরে গ্রামেই কিছু করছে। অনেকে কাজের খোঁজে শহরে চলে এসেছে। বিভিন্ন ধরনের অনানুষ্ঠানিক কাজে যোগ দিয়েছে। কিন্তু শহরেও সবার জন্য কাজের সুযোগ নেই। গ্রাম থেকে আসা লাখ লাখ কর্মসন্ধানী মানুষের সবাইকে শহরের শ্রমবাজার ধারণ করতে পারে না। তাই গ্রামেই রয়ে যাচ্ছে বহু লোক। তারা অকৃষি খাতে নিয়োজিত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, অনেক কৃষি পরিবার স্বল্প জমি নিয়ে ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে। এতে তাদের যে আয় হচ্ছে তা ছেলেমেয়েদের শিক্ষায় ব্যয় করছে, যাতে তারা শ্রমনির্ভর কাজ থেকে মানব সম্পদনির্ভর কাজ করতে পারে। কৃষি পরিবারের অনেক সন্তান আর কৃষিতে থাকছে না। এ কারণেও গ্রামীণ অকৃষি খাতের আকার বাড়ছে।
গত প্রায় দুই দশকে অকৃষি খাতের সম্প্রসারণ উল্লেখযোগ্য। সেই সঙ্গে এ খাতের কর্মকাণ্ডের বৈচিত্র্যও বেড়েছে। স্বনিয়োজিত কুটির শিল্প, গ্রামীণ ব্যবসায় মজুরিভিত্তিক নিয়োজন, যানবাহন কর্মী, নির্মাণ শ্রমিক, মিস্ত্রি, ধোপা—এ রকম কায়িক শ্রমভিত্তিক কাজে নিয়োজিত রয়েছে একটি অংশ। আরো রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে মাসিক বেতনভুক্ত চাকরিজীবী, শিক্ষক, আইনজীবী, ডাক্তার, নাপিত, ধাত্রী ইত্যাদি পেশার লোক। এদের কাজগুলো মানব পুঁজিনির্ভর। অর্থাৎ এগুলোর জন্য শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা প্রয়োজন।
অর্থনৈতিক প্রয়োজন ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে শহরের সঙ্গে গ্রামের সংযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে গ্রামাঞ্চলের চেহারায়ও পরিবর্তন এসেছে। নতুন নতুন কাজ ও সেবা এখন শুধু উপশহর নয়, অনেক গ্রামেও পাওয়া যাচ্ছে। চায়ের দোকান, কফিশপ, খাবার দোকান, স্যালুন, বিউটি পার্লার, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, কোচিং সেন্টার, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফটোকপি ও প্রিন্টিংয়ের দোকান, সাইবার ক্যাফে ইত্যাদি বহু রকমের কাজ ও পেশার সৃষ্টি হয়েছে গ্রামের আশপাশের বাজার ও উপশহরে। এ বৈচিত্র্য একদিকে গ্রামীণ অর্থনীতির বহুমুখী রূপ, অন্যদিকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার ইঙ্গিত দেয়। তাছাড়া মানবসম্পদের গুণমান এবং মানুষের উদ্যোগেরও ইঙ্গিত এটি।
অকৃষিজাত কাজের এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নানাভাবে। প্রথমত, উন্নত অবকাঠামোর কারণে। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে উন্নত রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ ইত্যাদি জীবনযাত্রার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ এবং কমিয়ে এনেছে কাজ সম্পাদন করার সময়। দ্বিতীয়ত, গ্রামেগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগের ফলেও কর্মসংস্থান ও আয়ের প্রচুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। রাতে কাজ করা বা দোকান খোলা রাখার ফলেও খাতটির উৎপাদনশীলতা বেড়েছে। তৃতীয়ত, প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ভূমিকাও এখানে উল্লেখযোগ্য। এটি একদিকে গ্রামের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়িয়েছে, অন্যদিকে প্রবাসী শ্রমিকের পাঠানো অর্থ গ্রামীণ অকৃষিজাত কর্মকাণ্ডে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। প্রবাসী আয় গ্রামে মজুরি বাড়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। যদিও কৃষিতে শ্রম উৎপাদনশীলতা বাংলাদেশে এখনো তুলনামূলকভাবে কম, কিন্তু গ্রামীণ মজুরি আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। রেমিট্যান্সের পাশাপাশি অবশ্য গ্রাম থেকে শহরে শ্রমিক স্থানান্তর এবং শহরে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রসারও মজুরি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। এর মধ্যে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাত অন্যতম। এ খাতের প্রায় চল্লিশ লাখ শ্রমিক গ্রাম থেকে শহরে এসে কাজ নিয়েছে। চতুর্থক, প্রযুক্তির প্রাপ্যতাও অনেক কাজের সুযোগ করে দিয়েছে। কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট তাদের কাজে নতুনত্ব এনেছে। গ্রামের মানুষ বড় শহর এবং বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছে। তাদের পণ্যের বাজার ও চাকরিসংক্রান্ত তথ্য এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ বহুবিধ বিষয়ে জানতে পারছে।
বাংলাদেশের শ্রমবাজারে প্রতি বছর ২০ লাখ লোক প্রবেশ করে, যাদের কাজ দরকার। কিন্তু সবাই কাজ পায় না। সরকারি হিসাবে বেকারত্বের হার ৪.২ শতাংশ। কিন্তু যুব বেকারত্ব ১০.৬ শতাংশ। সবাইকে অফিসে চাকরি দেয়ার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের অর্থনীতির নেই। সবার প্রাতিষ্ঠানিক খাতে চাকরি পাওয়ার মতো গুণমানসম্পন্ন শিক্ষাও নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হয়ে সার্টিফিকেট পেলেই চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা তৈরি হয় না। কেননা যে শিক্ষা নিয়ে তারা বের হচ্ছে তার সঙ্গে চাকরির বাজারের চাহিদার কোনো মিল নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত যুগোপযোগী এবং মানসম্পন্ন শিক্ষা দেয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত চাকরির আশা নেই। তাই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিয়ে এবং দক্ষতা অর্জন করে তারা অকৃষি খাতে কাজ করতে পারে। অন্যদের জন্য কাজ সৃষ্টিও করতে পারে।
কৃষি খাত যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, অকৃষিজাত কর্মকাণ্ডে সেটি অনেকটাই কম। বাইরের সঙ্গে সংযোগ তৈরির মাধ্যমে খাতটি শুধু স্থানীয় চাহিদা মেটাচ্ছে না, গ্রামের বাইরের চাহিদাও পূরণ করছে। তবে তার পরিমাণ এখনো অনেক কম। এর জন্য প্রয়োজন সঠিক নীতিমালা ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ। উল্লেখ্য, গ্রামের ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির চেয়ে গ্রামীণ অকৃষি খাতে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি দ্রুত হয়েছে। বিশেষ করে ২০০০-এর দশক থেকে এ ধারা লক্ষণীয়। তাই এ খাতের দিকে আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে।
গ্রামাঞ্চলে যেসব অকৃষিজাত ব্যবসাগুলো রয়েছে সেগুলোর অনেক অংশই সেবা ও বাণিজ্যে নিয়োজিত। এগুলোর মধ্যে অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করে বহু প্রতিষ্ঠান। তাদের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই এবং তারা স্থানীয় বাজারের ওপরই নির্ভর করে চলে। খুব কমসংখ্যক এলাকার বাইরে ব্যবসা প্রসার করতে পারে। অনানুষ্ঠানিকভাবে কাজ করার কারণে তারা সরকারি বা বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারে না। অথচ সবারই জানা আছে যে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) এবং সরকারি উদ্যোগে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির জন্যই অনেক অকৃষিজাত ব্যবসা প্রসার করা সম্ভব হয়েছে। পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), গ্রামীণ ব্যাংক ও ব্র্যাকের ভূমিকা এর মধ্যে অন্যতম। ছোট ব্যবসাগুলোর আকার বৃদ্ধি এবং সংকটের সময়ে টিকে থাকার জন্য ঋণ প্রয়োজন। চলমান কভিড-১৯ অতিমারীর সময়ে এ প্রয়োজন আরো গভীরতর হয়েছে। গ্রামীণ নারীরাও অকৃষি খাতের বহুমুখী গ্রামীণ অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত। তাদের বেশির ভাগই খুব ছোট আকারের ব্যবসা এবং কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িত। তাদেরও আর্থিক সহায়তা দরকার। করোনা অতিমারীর ধাক্কা সামলে উঠতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার যে প্রণোদনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তার বেশির ভাগ এখনো ছাড় করা হয়নি। তাদের অনেকেরই ব্যাংকের সঙ্গে আগের কোনো ঋণসংক্রান্ত লেনদেন না থাকার কারণে ব্যাংক তাদের ঋণ দিতে আগ্রহী নয়। এ ব্যাপারে নীতিনির্ধারকদের আরো সক্রিয় হতে হবে। না হলে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্যের ওপর আঘাত পড়বে।
গ্রামীণ অকৃষি খাতের উন্নয়ন কৃষি খাতের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত। কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করলে অকৃষি খাতের কর্মকাণ্ড আরো বাড়বে। এজন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। কৃষির বহুমুখিতাও বাড়াতে হবে। কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবনে আরো অর্থ প্রয়োজন।
বিদ্যমান কভিড-১৯ সংকটের সময়ে দেখা গেছে, বহু মানুষ যারা গ্রাম থেকে শহরে কাজের জন্য এসেছিল তারা কাজ হারিয়ে আবার গ্রামে ফিরে গেছে। শহর তাদের স্থান দিতে পারেনি, খাদ্য দিতে পারেনি। গ্রামে গিয়ে কিছু অবলম্বন করে তারা বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছে। আরো একটি বিষয় হলো, কভিডের সময়ে বাংলাদেশের গ্রামীণ খাতগুলোই আমাদের টিকিয়ে রেখেছে। এটি আমাদের জন্য একটি বড় শিক্ষা। অর্থাৎ গ্রামীণ অর্থনীতির প্রসার, বহুমুখীকরণ, আধুনিকীকরণ এবং উন্নয়ন করার দিকে আমাদের আরো মনোযোগী হতে হবে। দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৈষম্য নিরসনের জন্য শক্তিশালী গ্রামীণ অর্থনীতি অত্যাবশ্যক।
ড. ফাহমিদা খাতুন, নির্বাহী পরিচালক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)