Originally posted in বণিকবার্তা on 1 June 2025
প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতি, ব্যাংক জালিয়াতি, করখেলাপি ও পাচারকৃত অর্থ জব্দের মাধ্যমে বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করলে তা হতে পারে এবারের বাজেটের একটি অভিনব উৎস। গত সরকারের রেখে যাওয়া বিদেশী ঋণের চাপ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এ সরকারের এই সময়কালের অন্যতম সাফল্য ৫ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে বিদেশী ঋণের চাপ কমিয়ে আনা। যা বিলিয়ন ডলার করে বছর বছর বাড়ছিল।’
গতকাল রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির (ডিএফডি) আয়োজনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি করা আসন্ন বাজেটের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত’ শীর্ষক ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে এ সরকারের সাফল্যের জায়গাটা হলো বহিঃখাত, রেমিট্যান্স, রফতানি, দায়দেনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, মজুদ বাড়ানো ও টাকার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখা। দুঃখজনকভাবে এবারের বাজেটও গতানুগতিক হতে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘খেলাপি ঋণ আদায়, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত এবং করের আওতা বাড়ানোর মতো নতুন কোনো কিছু না থাকায় এবারের বাজেটে নতুন কোনো চমক থাকছে না। যে প্রকল্পগুলো সরকারের কাছে আছে তা অতিমূল্যায়িত ও তার ৪০ শতাংশ ব্যয়ই ভুয়া। আগের যে প্রকল্পগুলো থেকে রক্তক্ষরণ হতো সেগুলো অব্যাহত আছে। রাজস্ব ব্যয় সঠিকভাবে না করলে করদাতাদের উৎসাহ থাকে না। আমাদের কর কাঠামো বৈষম্যনির্ভর। আমাদের বৈদেশিক খাতে কিছুটা স্থিতিশীলতা অর্জিত হলেও ব্যক্তি খাতে স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগ এখনো আশানুরূপ অর্জিত হয়নি।’