Originally posted in বাংলাদেশ প্রতিদিন on 20 November 2023
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক (ইডি) ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের ওপর ট্রেড স্যাংশন দেয় তবে আমাদের রপ্তানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা এখন সেই ঝুঁকির মধ্যেই রয়েছি। কেননা ইউরোপ আমেরিকাই আমাদের রপ্তানির প্রধান বাজার। বলা যায় এটা আমাদের রপ্তানি খাতের মূল স্তম্ভ। একই সঙ্গে কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বৃহৎ খাত। ৪৫-৫০ লাখ শ্রমিক এখানে কাজ করেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের এখানকার শ্রমিক অধিকার নিয়ে কথা বলে আসছে। এটা অবশ্য তারা সব সময়ই বলে। আমরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্স করার চেষ্টা করি। আমাদের মোট রপ্তানির ৫০ শতাংশই ইউরোপের বাজারে। আমেরিকার বাজারে ১৮ শতাংশের বেশি। ফলে আমরা অবশ্যই একটা বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে রয়েছি। এটাকে আমাদের সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সরকার, বিজিএমইএ, শ্রমিক পক্ষ, রাজনৈতিক মতাদর্শ সাবইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সামনে আমরা এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটাতে যাচ্ছি। তখন আমরা জিএসপি প্লাস পেতে চাই। সে কাজ আমাদের এখন থেকেই শুরু করতে হবে। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের এখান থেকে ফিরে গেছে। তারা একটি পর্যবেক্ষণও তুলে ধরেছে। এতে তারা যে খুবই সন্তুষ্ট তাও কিন্তু নয়। এখানে তারা কিছু পরামর্শও দিয়েছে। সেগুলো আমাদের মানতে হবে। শ্রমিক অধিকার ও বেতন-ভাতা বা মজুরি সম্পর্কে তারা আমাদের সতর্কবার্তা দিয়েছে। এটা সিরিয়াস হিসেবে নিতে হবে। হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। আমাদের চিহ্নিত সমস্যাগুলো জরুরিভাবে সমাধান করতে হবে। শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে তাদের আমরা কথা বলার সুযোগ করে দিচ্ছি বারবার। এটা বন্ধ করতে হবে। নিয়মমাফিক ন্যায্য মজুরি বাড়াতে হবে। একইভাবে পণ্যের প্রাইসের ক্ষেত্রেও ন্যায্যতার কথা ক্রেতাদেরও বুঝতে হবে বলে তিনি মনে করেন। শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় মালিক ও সরকারকে আরও আন্তরিক হতে হবে। তিনি বলেন, গার্মেন্ট খাত হচ্ছে আমাদের দেশের একটি মাল্টি সেক্টরাল খাত। এটার সঙ্গে ফরোয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেড অনেক শিল্প জড়িত। অনেক মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। ফলে এ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমন কোনো কাজ আমাদের করা মোটেও ঠিক হবে না।