Dr Debapriya Bhattacharya writes on the Indian Prime Minister Narendra Modi’s visit to Bangladesh, bilateral trade and relationship, published in The Daily Sangbad on Saturday, 6 June 2015.
দু’দেশের সম্পর্ক নতুন সোপানে নিয়ে যাবে
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক ঘটনা। এটি দু দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য একটি নতুন সোপান। আমাদের দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময় ধরে আটকে থাকা স্থলসীমা নির্ধারণের চুক্তিটি সুসম্পন্ন হওয়ার প্রেক্ষিতে এ সফর সুবাতাস নিয়ে আসবে। এটি হওয়ার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ভারতের সব দল একত্রে এটিতে সহমত দিয়েছে। এতে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের জনগণের সদিচ্ছারও প্রকাশ ঘটেছে।তবে মনোকষ্টের জায়গাটা হলো, তিস্তা চুক্তি এই যাত্রায় হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশা ছিল নরেন্দ্র মোদি ডাবল সেঞ্চুরি করবেন। কিন্তু দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি করার মতো ওভার আর বাকিই নেই। সেহেতু নরেন্দ্র মোদিকে এক সেঞ্চুরি করেই ফিরে যেতে হবে। কিন্তু তিস্তা চুক্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে না হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই সাম্প্রতিক উচ্ছ্বাস ধরে রাখা কষ্টকর হবে। যেহেতু সফরে মমতা ব্যানার্জিও আসছেন, সেহেতু আমাদের প্রত্যাশা থাকবে তিনি বাংলাদেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা আরও গভীরভাবে অনুধাবন করে এ ব্যাপারে তার মনোভঙ্গি পরিবর্তন করবেন।যেটা আরও লক্ষ্যণীয়, সফরকে কেন্দ্র করে এটা মোটামুটিভাবে পরিষ্কার হয়েছে যে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বিষয়টা (ফ্যাক্টরটা) আগে যেরকম ছিল, এখন আর সেরকম নেই। ভারত অনুরক্ততা ও ভারতবিরোধিতা বাংলাদেশের মূলধারার রাজনীতির অনুষঙ্গ হয়ে গিয়েছিল। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটা রাজনীতির বাইরে নিয়ে গিয়ে আমাদের জাতীয় স্বার্থের আলোকে নির্ধারণ করা খুবই প্রয়োজনীয়। মনে হচ্ছে আমরা সেরকম একটি পরিপক্ব জায়গাতে এগিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে সাম্প্রতিককালে প্রধান বিরোধীদল বিএনপির পক্ষ থেকে নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে যেরকম বক্তব্য দেয়া হচ্ছে তাতে মনে হয় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটা নতুন দ্বিদলীয় উপলব্ধি আসছে।ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও বিস্তৃত করতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা অর্থনৈতিক তথা জাতীয় স্বার্থের আলোকেই করতে হবে। তবে এটি অবশ্যই সমতা এবং দক্ষতার ভিত্তিতে হতে হবে। আরও লক্ষ্য করছি যে, দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক সাম্প্রতিককালে যত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, ততখানি দ্রুততার সাথে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি, নীতিকাঠামো, মানবদক্ষতা সবক্ষেত্রে প্রদর্শন করতে পারছি না। এই ঘাটতি বাংলাদেশের পক্ষে পূর্ণ সুফল আনার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে।নরেন্দ্র মোদির আসন্ন সফরের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে যোগাযোগ সম্পর্ক। ভারতের সঙ্গে আমাদের একটি নৌ চুক্তি রয়েছে। এই চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের পণ্য যায়। এটি হয় মূলত বাংলাদেশের জাহাজ ব্যবহার করে এবং এতে বাংলাদেশর কিছু আয় হয়। তবে এখন তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের নৌপথ দিয়ে ভারতের যে সব পণ্য যাচ্ছে তার ওপর প্রচলিত ফি ও চার্টের বাইর কোন বাড়তি মাসুল ধরা হচ্ছে না – যা সঠিক বলে মনে করি না।স্থল যোগাযোগ চুক্তির বিষয়ে ভারতের সব সময়ই আগ্রহ বেশি ছিল। বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর পূর্ব দিকের সাতটি অঙ্গরাজ্যে পণ্য আনা নেয়া এবং মানুষ যাতায়াতের প্রয়োজনে তারা চুক্তিটিতে আগ্রহী। এখন ঢাকা-কলকাতা থেকে ঢাকা হয়ে শিলং-গৌহাটি বাস চলাচল শুরু হয়েছে। এখানেও বাংলাদেশ তার ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থান ব্যবহার করে কোন বিশেষ আয় করছে না।এছাড়া সমুদ্রবন্দর চুক্তি হচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। এখন তো আমাদের দেশে মালপত্র আনতে হলে সিঙ্গাপুর ব্যবহার করে বড় জাহাজে এনে সেগুলোকে ফিডার ভেসেলে তুলে নিয়ে আসতে হয়। এক্ষেত্রে আমরা যদি একে অন্যের সীমানায় সোজাসুজি পণ্য আনা-নেয়া করতে পারি এটি একটি ভালো দিক। এতে আমদানি-রপ্তানির খরচ কমবে।শোনা যাচ্ছে একটি ট্রানজিট চুক্তিও হবে। সেখানে মাশুল নেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। এটির বিষয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে। বলা হচ্ছে এর আওতায় তৃতীয় দেশে পণ্য আনা-নেয়ায় মাশুল দিতে হবে। এর আর্থিক এই যে, ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ নেপাল কিংবা ভুটানে পণ্য পাঠালে বাংলাদেশ মাশুল দিবে। অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের উপর দিয়ে তাদের অন্য অংশে পণ্য পরিবহনে মাশুল দেবে না? নাকি ভারত তৃতীয় কোন দেশে পণ্য পাঠালেই কেবল মাশুল দেবে? এই জায়গাতে স্বচ্ছতার দরকার আছে।এর পাশাপাশি চতুর্দেশীয় উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার কাঠামোতে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভুটান মোটরযান চলাচল চুক্তি হচ্ছে। এটিও একটি আশাব্যঞ্জক দিক। এছাড়া ভারত বাংলাদেশের পায়রায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে অর্থায়ন করতে চাইছে।তবে আমাদের শঙ্কার জায়গা হলো এই যে, যোগাযোগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে, যেমন নৌ, স্থল, সমুদ্র এগুলোর চুক্তি সব বিচ্ছিন্নভাবে হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে সমন্বয়ের সমস্যা, প্রাতিষ্ঠানিক যৌক্তিক কাঠামো গড়ে তোলায় সমস্যা হবে, এক্ষেত্রে একটি অভিন্ন নীতিকাঠামো গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ হবে। দরকষাকষিতেও বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে।সবচেয়ে বড় বিষয় হলো বিকাশমান দ্বিপাক্ষিক বা উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ কাঠামোর সুফল বাংলাদেশকে পেতে হলে বড় ধরনের বিনিয়োগ দরকার। আমরা এর আগে মূল্যায়ন করেছিলাম অন্তত ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ দরকার করবে। কিন্তু সেই বিনিয়োগ নিয়ে কোন আলোচনা এখন দেখছি না। অথচ যোগাযোগ চুক্তি কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগের এদিকটি অত্যন্ত আবশ্যকীয় বিষয়।এই বিনিয়োগ কোথা থেকে আসবে, ভারত কতখানি বিনিয়োগ করবে, আঞ্চলিক ব্যাংকগুলো থেকে কতখানি নেয়া যাবে, বিশ্বব্যাংক থেকে কতখানি নেয়া হবে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিখাতে বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে কিনা ইত্যাদি বিষয়গুলো পরিষ্কার হওয়া দরকার।এক্ষেত্রে বারবার যে বিষয়টি আলোচনায় আসছে সেটি হলো ভারতের পক্ষ থেকে যে এক বিলিয়ন ডলার লাইন অফ ক্রেডিট (এলওসি) দেয়া হয়েছিল তার কথা। এটির বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতাটি খুবই বিবেচনাযোগ্য। সেই ঋণ থেকে ২০০ মিলিন ডলার ভারত সদিচ্ছার নিদর্শন স্বরূপ অনুদানে রূপান্তর করে পদ্মা সেতুর অর্থায়নে দিয়েছে। এছাড়া আর দুই থেকে তিনশ মিলিয়ন আমরা ব্যয় করতে পেরেছি এবং সেগুলো হয়েছে ‘মূলত’ ভারত থেকে বাস এবং রেলের বগি আনার ক্ষেত্রে। যে সব অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয়ের কথা বলা হয়েছিল তার কোন অগ্রগতি হয়নি। আমাদের আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া রাস্তা হওয়ার কথা ছিল, রূপসা ব্রিজ থেকে খুলনা পর্যন্ত রাস্তা বা ডাবল গেজের রেল-এসব প্রকল্পের বেশি অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া এই ঋণের বিভিন্ন শর্তের কারণে শুধু যে ব্যয় বেড়েছে এবং সময়ক্ষেপণ হয়েছে তাই নয়, বিভিন্ন সময় দরপত্র আহ্বান এবং এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্ত থাকার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এগুলো একমাত্র ভারত থেকেই কিনতে হবে এমন শর্ত ছিল সেখানে।সেই জন্য এখন যখন আরও এক বিলিয়ন বা দুই বিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি হতে যাচ্ছে তখন আগের বারের অভিজ্ঞতাগুলো কাজে লাগানো হয়েছে কিনা সেটি দেখতে হবে। কারণ টাকা প্রতিশ্রুত হওয়া মানেই অবমুক্ত হওয়া না, আর অবমুক্ত হলেই এটি সর্বোচ্চ ব্যবহার হবে বিষয়টি এমন না।তবে এক্ষেত্রে লক্ষণীয় বিষয় হলে এটি বাস্তবায়নে যে ধরনের প্রস্তুতি দরকার, যেমন অবকাঠামোর কথা আগেই বলেছি। এছাড়া ‘মোটর ভেহিক্যালস অ্যাক্ট’ বিষয়ক একটি আইনি কাঠামো দরকার, রাস্তাঘাটে কী সংকেত হবে, গাড়িগুলো রক্ষণাবেক্ষণ, আরও অন্য কোন অর্থের সংশ্লেষ থাকবে কিনা এসব বিষয়ে প্রস্তুতি কতখানি কি আছে আমাদের জানা নেই।বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি বড় সেটি হলো, ভারত আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক সুবিধা দিয়েছে। এর ফলে আমাদের রপ্তানি কিছুটা বেড়েছে। আধা বিলিয়ন ডলারের মতো হয়েছে। তবে বাণিজ্য ঘাটতি রয়ে গেছে সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার। চীনের সঙ্গেও আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি এই মাত্রার। অনেকে এই দ্বিপাক্ষিক ঘাটতির উপর জোর দেন। তবে অর্থনীতির ছাত্র হিসেবে আমার কাছে দ্বিপাক্ষিক ঘাটতির চেয়ে বৈদেশিক লেনদেনের সার্বিক ঘাটতিটাই বড় বিষয়। কারণ দ্বিপাক্ষিক ঘাটতির মূল কারণ হলো সেখান থেকে আমরা সস্তায় জিনিস পাচ্ছি বলে আমদানি করছি। তা প্রায় অধিকাংশই মধ্যবর্তী পণ্য কিংবা পুঁজিপণ্য যা ব্যবহার করে আমরা রপ্তানি পণ্য তৈরি করি।তবে ভারতের বাজারে রপ্তানি বাড়ার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো অশুল্ক বাধা। অনেক সময় মান নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যার উদ্ভব হয়। এক্ষেত্রে দুই দেশের মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে একটি চুক্তি হওয়ার কথা, যার ফলে সমস্যা কিছুটা সুরাহা হতে পারে। এক্ষেত্রে ভারতের উপর চাপ বাড়াতে হবে অশুল্ক বাধা দূর করার ক্ষেত্রে। তবে আমরা এখান থেকে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখন যে জিনিসটি বড় হবে সেটি হলো যদি চতুর্দেশীয় যোগাযোগ চুক্তি। যদি এই চুক্তির অধীনে তৃতীয় দেশে পণ্য আনা- নেয়ার সুযোগ করে দেয়া যায় তবে বাণিজ্য আমদানি-রপ্তানি বাড়বে। এছাড়া যদি ভারত বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে এবং পরে তার উৎপাদিত পণ্য আবার ভারতে রপ্তানি করে তাহলেও তার সুযোগ আমাদের নেয়া উচিত বলে মনে করি।ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের আরেকটি বিষয় হলো বিদ্যুৎ। ভারতের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনছি আমরা। অর্থাৎ এখানে সেবা পণ্যের বাণিজ্য হচ্ছে। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে আমরা দ্বিপাক্ষিক থেকে একটা উপ-আঞ্চলিক বিদুৎ গ্রিডের ভিতরে অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছি। দু’দেশের ভেতর বিদ্যুৎ কেনার দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে একটা জটিলতা ছিল তা নিরসন করতে পেরেছি।ভারতের সঙ্গে আমাদের আরও একটি বিদ্যুৎ প্রকল্প রয়েছে। তা হলো রামপাল প্রকল্প। এটি সুন্দরবনের কাছে হওয়ায় পরিবেশবাদীরা এবং সচেতন নাগরিকরা এটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এ প্রকল্পটি নিয়ে আরও স্বচ্ছতা ও পর্যালোচনা দরকার। ভারত এমন একটি বিতর্কিত প্রকল্পে গ্রহণ করলে তবে আরও যেসব যৌথ প্রকল্প রয়েছে তাতে এর প্রভাব পড়বে। ফলে রামপাল প্রকল্পকে নিয়ে আমাদের আরও গভীরভাবে চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে।আর যেটা আছে তা হলো ভারত পায়রাতে সমুদ্রবন্দর বানাতে চাইছে। এর আগে চীন সোনাদিয়ার কথা বলেছিল। সেখানে চীনসহ আরও কিছু বড় বড় দেশ অর্থায়ন করতে চেয়েছিল। তবে এখন মনে হচ্ছে পায়রাতে ভারতের অর্থায়নের বিষয়টি অগ্রাধিকার পাবে। আসলে বাংলাদেশের যে ভূ-অর্থনৈতিক সুবিধাজনক অবস্থান রয়েছে সেটার পুনর্ব্যবহার বা সুযোগ নিতে চাইলে গভীর সমুদ্রবন্দর আমাদের অবশ্যই দরকার। তবে পায়রাতে বিনিয়োগে যদি ভারত অগ্রাধিকার পায় তবে চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কে কোন প্রভাব পড়বে কিনা তা বিবেচনায় রাখতে হবে। এছাড়া ভারত স্পেশাল অর্থনৈতিক জোন করার জন্য জমি চাচ্ছে। এখানে বড় বিনিয়োগ হবে এটা আমরা আশা করতে চাই।এসব অর্থনৈতিক বিষয়াবলী ছাড়াও রয়েছে ভারত নারী ও শিশু পাচার রোধে সহযোগিতার লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর। ভারতের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য দিক মিলিয়ে একটা বড় ধরনের উত্থান আমরা লক্ষ্য করছি।আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের যে ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থান কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভারত এবং চীনের মধ্যে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার দাঁড়িয়ে রয়েছে। ফলে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে যোগাযোগের সিংহদ্বার হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ এসেছে। এই সুবর্ণ সুযোগটি খুবই দক্ষতার সঙ্গে এবং বিচক্ষণতার সঙ্গে এবং পূর্বপ্রস্তুতির সঙ্গে আমরা কাজে লাগাতে পারি কিনা সেটিই আগামী দিনের দেখার বিষয়।
অনুলিখন : রোকন মাহমুদ