Published in বণিক বার্তা on Thursday, 16 March 2017
ইতিহাসবোধ থেকে কেউ যদি অধ্যাপক রেহমান সোবহানের জীবনব্যাপী গবেষণাকর্মের পর্যালোচনা করেন, তাহলে তিনি এক অন্তর্দর্শনের জালে বন্দি হবেন। একটি সম্যক চিত্র পাওয়ার জন্য তিনি হয়তো একধাপ পিছিয়ে এসে, ইতিহাসের বৃহত্তর প্রেক্ষিতে রেহমান সোবহানের বিভিন্ন গবেষণাকর্ম তথা নৈতিক অবস্থানকে স্থাপন করতে আগ্রহী হবেন।
আমি মনে করি, রেহমান সোবহানের মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে তাঁর পারিবারিক পরিবেশ বড় ভূমিকা রেখেছে। তাঁর মা ছিলেন ঢাকার নবাব পরিবারের একজন জ্ঞানদীপ্ত সদস্য। বাবা ছিলেন ঔপনিবেশিক ভারতীয় পুলিশ বিভাগ থেকে অবসরগ্রহণকারী একজন কর্মকর্তা। চাকরি শেষে তিনি পাকিস্তানে চলে এসে নিযুক্ত হন তত্কালীন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে এবং পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর বাবা ছিলেন পাকিস্তানোত্তর সময়ের প্রথম প্রজন্মের একজন উদ্যোক্তা। তিনি ঢাকায় প্রথম ট্যানারি স্থাপনের অন্যতম পথিকৃতও বটে। ১৯৩৫ সালে জন্মগ্রহণকারী রেহমান সোবহান এমন একসময়ে বেড়ে ওঠেন, যখন উপমহাদেশে উপনিবেশবিরোধী আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছিল। তিনি সামন্ত কাঠামোর অবক্ষয় দেখেছেন, প্রত্যক্ষ করেছেন নতুন মুসলিম মধ্যবিত্ত শ্রেণী উত্থানের সীমাবদ্ধতা এবং পর্যবেক্ষণ করেছেন তত্কালীন পূর্ব বাংলায় উদ্যোক্তাশ্রেণী উত্থানের এক অবরুদ্ধ সম্ভাবনা।
চারপাশের সবকিছুই গভীর পর্যবেক্ষণের জায়গা থেকে দেখা এবং সমালোচনামূলক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে তাঁর সহজাত সামর্থ্যটি একটি চমত্কার বিদ্যায়তনিক পরিবেশে সযত্নে লালিত হয়। একই সঙ্গে তিনি বিভিন্ন প্রান্তিক গোষ্ঠী ও প্রতিশ্রুতিশীল বিকাশমান শক্তির সঙ্গে নিজের মেধাকে যুক্ত করেন।
রেহমান সোবহান পড়ালেখা করেন ভারতের দার্জিলিংয়ের সেন্ট পল’স স্কুল, পাকিস্তানের লাহোরের এইচিসন কলেজ ও যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরবর্তী সময়ে শিক্ষা অর্জনের অব্যাহত অনুসন্ধিত্সা তাঁকে নিয়ে যায় অক্সফোর্ড ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে এবং সেই সঙ্গে বিদ্যায়তনিক জগতের অনেক নামকরা কেন্দ্রে। একসময় দেশের চলমান আর্থসামাজিক তথা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার অংশটির ওপর লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস থেকে পিএইচডি করা ছেড়ে দিয়ে দেশে চলে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন।
৬০ বছর আগে ১৯৫৭ সালে রেহমান সোবহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে নিজের পেশাগত জীবন শুরু করেন এবং ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি সেখানে পড়িয়েছেন। অনেকের কাছে তিনি প্রথমত একজন শিক্ষক, যিনি গভীর পাণ্ডিত্যে নিজের যুক্তিশৈলী তুলে ধরেন, এমনকি যুক্তির জোরে বিপরীতধর্মী মতও প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।
আমি জানি না, শিক্ষকতার মাধ্যমে অধ্যাপক রেহমান সোবহানের চিরকালীনতা পূর্ণতা পেয়েছে নাকি পায়নি; তবে এটুকু নিশ্চিত যে, বেশ কয়েক প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের তিনি দারুণভাবে প্রভাবিত করেছেন, তাদের বেঁধেছেন বিদ্যায়তনিক চমত্কারিত্বে, তাদের মধ্যে জাগ্রত করেছেন জাতীয়তাবোধ, অনুপ্রাণিত করেছেন প্রজন্মের পক্ষে দাঁড়াতে।
আমাদের অনেকের কাছে রেহমান সোবহান একজন ‘মুক্তিদাতা অর্থনীতিবিদ’ (Liberation Economist)— লাতিন আমেরিকায় যেমন ছিলেন মুক্তিদাতা ধর্মতত্ত্ববিদরা (Liberation Theologists)। অর্থনীতিবিদ হিসেবে তিনি সারা জীবন আর্থসামাজিক চিন্তাধারার সন্ধানে নিজের সর্বোচ্চ মেধা ব্যয় করেছেন, যা সত্যিকার অর্থে এ দেশের মানুষকে অজ্ঞানতা, দারিদ্র্য ও অনিরাপত্তার হুমকি থেকে মুক্ত করতে পারে। অনেকেই অভিযোগ করেন, তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক অন্বেষায় কিছু পক্ষপাত ছিল।
হ্যাঁ, অবশ্যই তাঁর পক্ষপাত ছিল! তাঁর পক্ষপাতিত্ব ছিল এ দেশের প্রান্তিক, বঞ্চিত, অবহেলিত কণ্ঠস্বর ও ভোটাধিকারহীন মানুষের প্রতি। তাঁর সব কাজেই সামাজিক ন্যায়, সমতা ও সবার সমান সুযোগের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে।
দেশের অন্যতম প্রতিভাবান, দক্ষ ও সমাজমনসু অর্থনীতিবিদ হিসেবে তিনি অবশ্যই প্রথম সারিতে অবস্থান করছেন। তাঁর আর্থরাজনৈতিক বিশ্লেষণ ও দৃষ্টিভঙ্গি ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করে যাওয়ার ব্যাপারে আস্থা ও উদ্দীপনা প্রদান করেছে।
রেহমান সোবহানের গবেষণাকর্ম স্বাধীনতার মাইলফলক সৃষ্টিতে একজন বাংলাদেশী অর্থনীতিবিদের অবদানকে উন্মোচন করে। সদ্য স্বাধীন একটি দেশের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে সংজ্ঞায়নে তিনি সম্পৃক্ত থেকেছেন। পরবর্তীকালে তাঁর কাজ দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লড়াইয়েও প্রতিফলিত হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্থনৈতিক ভিত্তি প্রতিষ্ঠা তাঁর একটি অনন্য অবদান, যা ‘দুই অর্থনীতির তত্ত্ব’ নামে সমধিক পরিচিত। বলা বাহুল্য, একজন মানুষের এক জীবনের জন্য এ ধরনের একটি অর্জন থাকাই যথেষ্ট বিশাল একটি বিষয়।
কিন্তু তিনি এখানেই থেমে থাকেননি। এই বিরাট অর্জন তাঁকে আরো সামনে ধাবিত করেছে। বাংলাদেশ তার ইতিহাসজুড়ে যেসব উন্নয়ন বিতর্ক, ব্যাখ্যা এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে, তাঁর লেখালেখি সেসবেরই সত্যিকার প্রতিফলক। তাঁর কাজের প্রধান বিষয়গুলোকে পর্যায়ক্রমিকভাবে কয়েকটি ক্ষেত্রে ভাগ করতে পারি। তার মধ্যে রয়েছে আইয়ুব খানের কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ, একটি উত্তরকালীন অর্থনীতিতে রাষ্ট্রের ভূমিকা, বৈদেশিক নির্ভরতার সংকট, ঋণখেলাপি, কৃষি সংস্কার, সমাজ অর্থনীতির সংস্কার (Structural adjustment policy) সমালোচনা, সুশাসনের অভাবের ফলাফল এবং দারিদ্র্য বিমোচন কৌশলে কাঠামোগত সংস্কারের ভূমিকা। তাঁর সময়ে যেসব নতুন নতুন ধারণা এসেছে, তা নিয়ে কথা বলায় তিনি সবসময় প্রথম ছিলেন, আছেন।
তিনি আমাদের শিখিয়েছেন জ্ঞানচর্চার সঙ্গে নাগরিক শক্তির বিষয়টি কীভাবে মেলবন্ধন করতে হয়। এর একটি উদাহরণ ছিল স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে প্রকাশিত তাঁর মনোগ্রাফ, ‘এ ডেকেড অব স্ট্যাগনেশন’। সে সময় তিনি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) প্রধান ছিলেন।
১৯৯০ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত দাতা সম্প্রদায়ের বার্ষিক সহায়তা গ্রুপের বৈঠকে আমরা মনোগ্রাফটি এক রকম গোপনে তাদের হাতে তুলে দিই, কেননা অবরুদ্ধ অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র তখন সরকার কড়াভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। আরো মনে পড়ে, রেহমান সোবহানের মাত্র ২৫ বছর বয়সে লেখা পূর্ব বাংলার অর্থনীতির ওপর একটি প্রবন্ধ পাকিস্তান সরকার প্রত্যাহার করে নেয়। প্রবন্ধটিতে তিনি তাঁর তীক্ষ বিশ্লেষণের মাধ্যমে এমন কিছু সত্য উপস্থাপন করেছিলেন, যা সেই জান্তা সরকারের কাছে রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল।
এদিক থেকে আমরা রেহমান সোবহানের মুক্তিযোদ্ধার ভূমিকার কথা না বলে পারি না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রথম মাসগুলোয় তিনি ভারতে চলে যান এবং বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় সম্পর্কিত ‘এনভয় এক্সট্রা অর্ডিনারি’ নিযুক্ত হন।
১৯৭১ সালের মে মাসে তিনি প্রবাসী সরকারের প্রথম প্রতিনিধি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, এর কারণ ও অবশ্যম্ভাবিতার দিকগুলো তিনিই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃস্থানীয় সিনেটরদের সামনে তুলে ধরেন। সে সময় তিনি ওয়াশিংটন ডিসির জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অভিনব সংবর্ধনা পান, যা মাঝেমধ্যে বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রধানদের দেয়া হয়। বিজয়ের দিন পর্যন্ত রেহমান সোবহান বাংলাদেশের পক্ষে আন্তর্জাতিক জনমত সংগঠনে নিয়োজিত ছিলেন।
রেহমান সোবহান যদিও ব্যক্তিমানুষকে তার কৃতিত্বের জন্য প্রশংসা করতে দ্বিধা করেন না, তার পরও তিনি মূলত দলগত কাজের প্রতিই তার বিশ্বাস বা আস্থা দেখিয়েছেন। এ কারণেই তিনি দেশের অন্যতম সফল প্রতিষ্ঠান-নির্মাতাদের মধ্যে একজন। স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের যাত্রা, আশির দশকে বিআইডিএসের পুনরুজ্জীবন এবং মধ্য-নব্বইয়ের দশকে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) প্রতিষ্ঠা তাঁর সাংগঠনিক সক্ষমতা ও নেতৃত্বগুণের সাক্ষ্য দেয়। নেতা হিসেবে তাঁকে দেখেছি, তিনি সবসময় প্রত্যয়ী মানুষ তৈরি ও তাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি সবসময় জাতি গঠনের কাজটি চালিয়ে গেছেন, যাচ্ছেন।
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না, রেহমান সোবহান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সম্প্রদায়ের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বিভিন্ন সময় তিনি জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন কমিটি বা কমিশনে বিশেষজ্ঞ ও সুধীজন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে— জাতিসংঘ মহাসচিবের উন্নয়ন পরিকল্পনা কমিটি, আন্তর্জাতিক অর্থনীতি সমিতির নির্বাহী কমিটি, কমিশন ফর নিউ এশিয়া, ইউএনআরআইএসডি এবং ইউএন বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ড।
সার্ক রাষ্ট্রগুলোর প্রধানদের দ্বারা গঠিত গ্রুপ অব এমিনেন্ট পারসন্স ও ইউএনএ স্ক্যাপ গঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর উচ্চপর্যায়ের প্যানেলের একজন সদস্য ছিলেন তিনি। বিভিন্ন সময় তাঁর সাহসী ও সুদৃঢ় বক্তব্যের সঙ্গে যারা একমত হননি, তারাও অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে অধ্যাপক সোবহানকে স্মরণ করে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের সাবেক প্রধানের নেতৃত্বে গঠিত বিখ্যাত ভল্কার কমিশন থেকে তিনি পদত্যাগ করেছিলেন। বহুপক্ষীয় আর্থিক ব্যবস্থায় প্রস্তাবিত পুনর্বিন্যাস পদ্ধতির সঙ্গে তিনি দ্বিমত পোষণ করেছিলেন। নিম্ন আয়ের দেশগুলোর জন্য অধিকতর সম্পদপ্রবাহের পক্ষে জোরালো অবস্থানের জায়গা থেকে তিনি এ ধরনের একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
দিন শেষে মানুষ হিসেবে তাঁর যে গুণগুলো আমাদের মুগ্ধ করে তা হলো— তাঁর মানবিক মূল্যবোধ, অমায়িক ও ভদ্রোচিত আচরণ, নিম্ন বেতনের সহকর্মীদের প্রতি যত্ন, চোখের অন্তরালে বিভিন্ন জনকল্যাণকর ও দাতব্যমূলক কার্যক্রম, জীবন ও জগতের বিচিত্র বিষয়ে আগ্রহ আর ব্যক্তিগত জীবনের বিয়োগান্তক ঘটনাগুলোর তীব্র শোক আপাত শান্তভাবে গ্রহণ করার শক্তি।
প্রকৃতপক্ষে তাঁর একটি গভীর ও একান্ত নিজস্ব জীবন আছে, যা তাঁকে নিত্যজগতের একঘেয়ে বিষয়গুলো মোকাবেলায় সাহায্য করে। তিনি একসময় ডিভিডি স্টোর থেকে সর্বসাম্প্রতিক ব্লকবাস্টার খুঁজে নিতেন বা বিক্রম শেঠের ‘অ্যা সুইটেবল বয়’ পড়ার পর দীর্ঘ পর্যালোচনা লেখার সময়ও পেয়েছেন। আমরা যারা তাঁর কাছ থেকে কাজ করা শিখেছি, দেখেছি তিনি যেকোনো প্রশংসা করার ক্ষেত্রে চিন্তাভাবনায় প্রকাশিত মানবিক গুণাবলির দিকটিকেই প্রাধান্য দেন। এটিও যে কারোর জন্য শিক্ষণীয়।
এক অর্থে বলতে হয়, অধ্যাপক রেহমান সোবহান সবসময় ছিলেন ব্যারিকেডের অন্য প্রান্তের একজন সৈনিক। আজীবন তিনি দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়েছেন। সবসময়ই তিনি ছিলেন বৃহত্তর স্বার্থের পক্ষে দাঁড়ানো প্রথাবিরোধী এক অর্থনীতিবিদ।
রেহমান সোবহানের সত্যিকারের স্বীকৃতি আসে তাঁর শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও বৃহত্তর সচেতন নাগরিকের সম্ভ্রম ও শ্রদ্ধা থেকে। ভল্ তেয়ারের ভাষায় বলা যায়— ‘আমাদের শ্রদ্ধা থাকবে তাঁর প্রতিই, যিনি সত্যের শক্তিতে আমাদের মনকে বশীভূত করেন; এবং তাদের প্রতি নয়, যারা নিজেদের সহিংসতার (সঙ্গে আমি অর্থলোভের বিষয়টি যোগ করতে পারি) শিকলে বন্দি করে। কাজেই আমরা আমাদের নিজেদের সম্ভ্রমের কাছেই ঋণী।’
লেখক: সম্মাননীয় ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)