Published in প্রথম আলো on 18 November 2020
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো, জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) সদস্য এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন করোনাকালের অর্থনীতি, আগামী দিনের অগ্রাধিকার ও উত্তরণের নানা দিক নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শওকত হোসেন।
করোনাকাল অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে। এখান থেকে আমরা কী শিক্ষা নিলাম?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: করোনা পরিস্থিতিতে একটি বড় উপকার হয়েছে। এক দশক ধরে আমরা যারা উচ্চ প্রবৃদ্ধির সন্তোষের মধ্যে বৈষম্যের কালো ছায়া নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম, কিন্তু যুক্তিতর্ক দিয়ে কিছু বোঝাতে পারিনি, করোনা সেটা খুব নিষ্ঠুরভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। তা ছাড়া বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি যা–ই হোক না কেন, তার সুফল যে সমভাবে ও যথাযথভাবে বণ্টিত হয়নি, অতিমারির ধাক্কায় টিকে থাকার ক্ষমতা পিছিয়ে থাকা মানুষদের যে অনেক কম, সেটা প্রকাশ পেয়ে গেছে। আবার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দ দিয়ে মনোযোগ যদি দৃশ্যমান ভৌত প্রকল্পের দিকে থাকে, তাহলে যে গুণমানসম্পন্ন মানবসম্পদ তৈরি হয় না, তা–ও এই অতিমারির সময় আমরা অনুভব করেছি। আর সুশাসনের অভাবের ফলে প্রত্যেক নাগরিক কেমন করে অসহায় হয়ে পড়ে, তা–ও সবাই দেখেছি।
করোনা পরিস্থিতিতে একটি বড় উপকার হয়েছে। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি যা–ই হোক না কেন, তার সুফল যে সমভাবে ও যথাযথভাবে বণ্টিত হয়নি, অতিমারির ধাক্কায় টিকে থাকার ক্ষমতা পিছিয়ে থাকা মানুষদের যে অনেক কম, সেটা প্রকাশ পেয়ে গেছে।
কিন্তু সরকার তো বেশ কিছু কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে এসেছে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: সেটা সঠিকভাবেই করেছে। কিন্তু আগেও আমরা বলেছি, স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন দরকার, তাদের আরও শক্তিশালী করা দরকার। এর অভাবেই সরকার তৃণমূল পর্যায়ে তার সাহায্য ও সহযোগিতা পৌঁছাতে চেয়েও সেটা পারল না।
আর আমরা সর্বদা বলেছি, একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ রাজনীতির দরকার। সেটা না থাকলে যে সরকারের সঠিক নীতিও অস্বচ্ছ ও অকার্যকর হয়ে যায়, সেটাও এবার দেখা গেছে।
সমস্যা তাহলে বাস্তবায়নের?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: করোনা কেটে গেলেও এর অভিঘাত অনেক দিন ধরে থাকবে। কারণ, সমস্যাটা নীতির বিষয় নয়, কাঠামোর বিষয়। নীতি যতই ভালো হোক না কেন, প্রতিষ্ঠান যদি না থাকে, কাঠামোগত অসুবিধা যদি থেকে যায়, তাহলে ভালো নীতিও অনেক সময় সুফল দিতে পারে না। পয়লা বৈশাখে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তার মধ্যে কয়েকটি বিষয় তিনি সঠিকভাবেই বলেছিলেন। যেমন সামাজিক নিরাপত্তা বাড়াতে হবে, ব্যক্তি খাতে প্রণোদনা দিতে হবে, তারল্য বাড়াতে হবে। কিন্তু এসব ভালো নীতি কার্যকর করতে গিয়ে বাংলাদেশের দুর্বল প্রশাসন, দুর্বল স্থানীয় সরকার, দুর্বল রাজনৈতিক সংস্কৃতি, কার্যকর গণতন্ত্রের অভাব, বহুমতের জায়গা না থাকা এবং দুর্বল তথ্যপ্রবাহ ইত্যাদির কারণে সেই পরিমাণ সুফল তিনি নিয়ে আসতে পারেননি। এই মুহূর্তে আলোচনা বা বিতর্ক নীতি নিয়ে নয়, তার চেয়ে বেশি বাস্তবায়ন নিয়ে।
তাহলে এখন কী করতে হবে?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে নীতি সংস্কারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো অস্বীকারের মনোভাব, তথ্যের প্রতি অবজ্ঞা এবং যারা সমালোচনামূলক কথা বলে, তাদের বৈরী বলে চিহ্নিত করা। পুরো বিষয়টাকে এমনভাবে অস্বীকৃতির ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়, যাতে মেধার তুলনায় আনুগত্যের গুরুত্ব বেড়ে যায়। এই অস্বীকৃতির মনোভাব থেকে সবাইকে বের হতে হবে। এ ক্ষেত্রে একটি মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন দরকার।
আন্তর্জাতিক প্রাক্কলন তো বলছে, অন্য অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো করছি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: যেসব আন্তর্জাতিক প্রাক্কলন আমরা পাই, তা আমি সঠিক বলে মনে করি না। তাদের যে তথ্যভিত্তি, সেটি পরিবর্তিত হতে থাকে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপরও তা নির্ভরশীল। আর বিদেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছে বলেই আমাদের যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতা তুচ্ছ হয়ে গেল, সেটি মনে করারও কোনো কারণ নেই।
কিন্তু আমাদের তো অনেকগুলো গর্বের জায়গা আছে। যেমন উচ্চ প্রবৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, সামাজিক সুরক্ষা ইত্যাদি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাংলাদেশে জিডিপির ২ শতাংশ ব্যয় করে বলা হয়, তার ১ শতাংশই হচ্ছে সরকারি খাতের পেনশন। বাকি ১ শতাংশের অল্পসংখ্যকই যায় উপকারভোগীদের কাছে। আমার কথা হচ্ছে, আপনি সুরক্ষার হার বাড়ানোর কথা বলবেন, আর কর-জিডিপির অনুপাত ১০ শতাংশ থেকে যাবে, তাহলে তো বাজেট ঘাটতি বাড়ানো ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। আর সেই ঘাটতি পূরণের জন্য ঋণ নিতে হবে। এটা তো আসলে একটি টেকসই সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো নয়। তবে এই করোনাকালে কেউ যদি সমর্থন দিয়ে থাকে, সেটা দিয়েছে কৃষি। আবার এই কৃষিতেই কিন্তু কৃষক ন্যায্যমূল্য পান না। চালের দাম বাড়া-কমার সঙ্গে কৃষকের আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আরেকটা গর্বের জায়গা ছিল দারিদ্র্য বিমোচন। দেখা যাচ্ছে, এটাও টেকসই হয়নি। এই সময় সরকার সবচেয়ে ভালো সাফল্য দেখিয়েছে বৈদেশিক সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে। গত বছর বাংলাদেশ ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ সাহায্য পেয়েছে—সাত শ কোটি ডলারের বেশি। এই করোনাকে কেন্দ্র করেই অন্তত চার শ কোটি ডলার এসেছে। কথা হলো, এই অর্থ কীভাবে ব্যবহার করা হবে।
করোনাকালের শিক্ষা নিয়ে সামনের দিনগুলোতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সরকারকে বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ বাড়াতে হবে। সম্পদ বাড়ানোর জায়গা হচ্ছে কর আহরণ বৃদ্ধি। এ জন্য করের মাত্রা নয়, পরিধি বাড়াতে হবে। এখানে যত ধরনের তছরুপ আছে, দুর্নীতি আছে, দেশ থেকে টাকা পাচারের বিষয় আছে, সব বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি। ব্যবহারের দিক নিয়ে আলোচনা করলে এখন তো চোখ বন্ধ করে বলা যায়, স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। বছর বছর বাড়িয়ে আগামী পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সময়ে যদি এই খাতে বিনিয়োগ জিডিপির ৩ শতাংশ বাড়ানো না যায়, তাহলে স্বাস্থ্য ও পুষ্টিহীনতা নিয়ে বড় সমস্যা তৈরি হবে। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশের একটি সর্বজনীন সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির কথা চিন্তা করার। এতে অল্প অল্প করে হলেও অর্থায়ন দেওয়া প্রয়োজন। আমি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক সুরক্ষাকে সামনের দিনগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে এগিয়ে নিতে বলব।
বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের এক দশকে প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক, এটা অস্বীকার করা যাবে না, যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে সংখ্যা ও গুণগত দিক থেকে একটি নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণি বিকশিত হয়েছে। তবে করোনার ফলে বিকাশমান মধ্যবিত্তের নিম্নবিত্ত অংশটি ভীষণভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে।
সিপিডির বিশেষ ফেলো ও সিডিপির সদস্য দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
বড় সমস্যা তো আয় বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি। এটাতে তো আমরা বরাবরই পিছিয়ে।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: এসব কিছুর পরেও যে জিনিসটি সবচেয়ে বড় হয়ে থাকবে সেটি হলো কর্মসংস্থান। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হিসেবে সরকারকে অবশ্যই একটি স্বচ্ছ কর্মসংস্থান সৃজন পরিকল্পনা নিতে হবে। আগামী অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা সঠিক না বেঠিক, তার প্রকাশ হবে তার কর্মসৃজন পরিকল্পনার সফলতার মধ্য দিয়ে। এর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ, কয়েক বছর ধরে যা স্থবির হয়ে আছে। সরকার যদি ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের বাধাগুলো দূর করতে না পারে, তাহলে কাজ হবে না। আর এত দিন আমরা বৈদেশিক বাজারকে লক্ষ্য করে অনেক পরিকল্পনা করেছি। করোনা আমাদের দেখিয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য পণ্যের সৃষ্টি ও অভ্যন্তরীণ পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি আগামী দিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে থাকবে। এই সামষ্টিক চাহিদা বৃদ্ধির মূল চালিকা শক্তি যদি আমরা দেশের ভেতরের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা থেকে করতে পারি, তাহলে অন্য বিষয়গুলোর সমাধান অনেকটাই হয়ে যাবে। এ ক্ষেত্রে আলোচনায় চলে আসবে বিকাশমান মধ্যবিত্ত।
বিকাশমান মধ্যবিত্তকে গুরুত্ব দিচ্ছেন কেন?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: বাংলাদেশে বর্তমান সরকারের এক দশকে প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে যত বিতর্কই থাকুক, এটা অস্বীকার করা যাবে না, যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার মধ্য দিয়ে সংখ্যা ও গুণগত দিক থেকে একটি নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণি বিকশিত হয়েছে। তবে করোনার ফলে বিকাশমান মধ্যবিত্তের নিম্নবিত্ত অংশটি ভীষণভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। এই বিকাশমান মধ্যবিত্তের সঙ্গে উচ্চবিত্তের মানুষের বৈষম্যও আগের চেয়ে বেড়ে গেছে। আমরা দেখেছি, যেসব দেশে বিকাশমান মধ্যবিত্ত আয়ের ফাঁদে পড়েছে, তাদের ভেতরে সামাজিক অসন্তোষ জেগে উঠেছে। সেই অসন্তোষ ক্রমান্বয়ে রাজনৈতিক বিরোধিতায় ক্ষোভে পরিণত হয়েছে। এর বড় কারণ হলো, যত দিন প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তত দিন সে বৈষম্য মেনে নিয়েছিল। প্রবৃদ্ধি কমে গেলে সেটি আর সে মানতে পারে না। কারণ, প্রকৃত আয় কমে গেলে তা জীবনযাত্রার ওপর আঘাত করে। মধ্যবিত্তের প্রকৃত আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সাধারণভাবে সে উপলব্ধি করে যে তার হাতে এত অর্থ নেই, যা দিয়ে সে দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে যেতে পারে। সে দেশের ভেতরেই একটি গ্রহণযোগ্য ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যব্যবস্থা চায়। অন্য দেশে সন্তানকে শিক্ষার জন্য পাঠানোর আর্থিক সংগতি তার নেই। দেশেই সে ভালো প্রতিষ্ঠানে সন্তানকে পড়াতে চায়। চায় পরীক্ষায় পাস করে তার সন্তান বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চাকরি পাবে। সে দেশে একটি ভালো গণপরিবহনব্যবস্থা চায়। সবচেয়ে বড় যেটা চায়, তা হলো নিরাপত্তা ও ব্যক্তি–সুরক্ষা। সব মিলিয়ে আয় কমে যাওয়া, সামাজিক সেবা না পাওয়া এবং ব্যক্তি–সুরক্ষার অভাব—এসবের অস্বস্তি তার ভেতরে অসন্তোষ সৃষ্টি করে।
নাগরিক অসন্তোষের প্রকাশ তো আমরা দেখেছি।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: প্রশ্ন হচ্ছে, এসব অসন্তোষের প্রকাশ কী করে হবে। সংগঠনকে কেন্দ্র করেই তো সব সময় তা হয়। এই পৃথিবীজুড়ে যত পরিবর্তন আমাদের চোখে পড়ছে, সব কটির পেছনে নাগরিকদের অসন্তোষ কাজ করেছে। যা হয়েছে, তা আবার প্রথাগত রাজনীতিবিদদের পেছনে না দাঁড়িয়েই হয়েছে। রাজনীতির প্রতি বিতৃষ্ণ হয়ে সে সামাজিক আন্দোলনের পেছনে দাঁড়াতে চায়, স্থানীয় আন্দোলন করতে চায়। এর বড় উদাহরণ সুদান, বেলারুশ বা থাইল্যান্ড।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি কেমন?
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: বাংলাদেশের ইতিহাসেও এর অনুরণন আছে। যেমন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ছেষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, গণজাগরণ মঞ্চ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাটবিরোধী আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং কোটাবিরোধী আন্দোলন। তাই আমি মনে করি, বিকাশমান মধ্যবিত্তের চাওয়া–পাওয়াকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। তাদের চাওয়া–পাওয়া মেটানোই হবে আগামী দিনের রাজনীতির বড় চ্যালেঞ্জ। কার্ল মার্ক্স বলেছিলেন, ধনতন্ত্রের গহ্বরে ধনতন্ত্রের গোরখোদকের জন্ম হয়। কথাটাকে ঘুরিয়ে বলা যায়, উচ্চতর প্রবৃদ্ধির গহ্বরেই এই প্রবৃদ্ধির অন্যায্য ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো মধ্যবিত্তের জন্ম হবে। সুতরাং বাংলাদেশের আগামী দিনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিকাশমান মধ্যবিত্তের বড় ভূমিকা আমি দেখছি।
প্রথম আলো: আপনাকে ধন্যবাদ।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: আপনাকেও ধন্যবাদ।