Published in Prothom Alo on 1 October 2014.
স্মারক বক্তৃতা
বাংলাদেশের সুশীল সমাজ: বিতর্কসমূহ
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
কর্মপরিধি: সুশীলসমাজের কর্মপরিধি নিয়েও অনেক সময় বিভ্রান্তি লক্ষ করা যায়। অনেকেই অভিযোগ করেন, এরা প্রায় ‘সব বিষয়ে’ কথা বলে। এই বিষয়সূচি বেশ দীর্ঘ। মূলত তা হচ্ছে সমাজে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রায়ণ, দুর্নীতিমুক্তকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, বৈষম্য হ্রাস, সমাজের অসুবিধাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর দুর্ভোগ কমানো ইত্যাদি। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সুশীল সমাজ সংগঠনের মধ্যে তিনটি ধারা লক্ষ করা যায়। প্রথম ধারায় আছে সেই সব প্রতিষ্ঠান, যারা তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমুখী উদ্যোগ পরিচালনা করছে। এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তারা সদস্য সংগ্রহ করে থাকে। তাদের অনেকেরই আঞ্চলিক বা জাতীয় পর্যায়ে সংগঠন থাকে। তাদের প্রচলিত ভাষায় ইমপ্লেমেন্টিং সিএসও/এনজিও বা (উন্নয়ন) কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী সংস্থা বলে। বাংলাদেশের কয়েক হাজার বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান বা এনজিও এরা।
দ্বিতীয় ধারার সংগঠনগুলো হচ্ছে, যারা মূলত গবেষণা ও নীতি পর্যালোচনা করে। এরা যে শুধু থিংক ট্যাংক তা নয়; বিজ্ঞান চক্র, সাক্ষরতা আন্দোলন ইত্যাদি এর অংশ। এদের প্রায়ই নলেজবেজড সিএসও বলে। সিপিডি এই কাতারে অন্তর্ভুক্ত।
তৃতীয় ধারায় রয়েছে, যাদের আমরা অ্যাডভোকেজ সিএসও বলি। দুর্নীতি, বৈষম্য, বঞ্চনা, অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এরা জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সোচ্চার থাকে এবং প্রতিরোধ সৃষ্টিতে সক্রিয় থাকে। এই ধারার অগ্রণী উদাহরণ হলো আইন ও সালিশ কেন্দ্র, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। যেহেতু এই ধারা তাদের কাজের চরিত্রের কারণে সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান, অনেকেই সুশীল সমাজ বলতে এদেরই বোঝেন। যেহেতু এই ধারার সংগঠনগুলো রাষ্ট্র পরিচালনার মূল মূল প্রতিষ্ঠানের ওপর সামাজিক নজরদারির দায়িত্ব পালন করে, তাই বাহ্যত মনে হতে পারে যে তারা রাষ্ট্রের সব ক্ষেত্রে অযাচিতভাবে মতামত দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাস্তবে অনেক সংগঠনই একই সঙ্গে একাধিক (বা তিনটি) ধারাতেই কাজ করে। সুশীল সমাজের সংগঠিত অংশের এই কাঠামোগত সংহতি নিঃসন্দেহে তাদের কণ্ঠস্বরকে আরও উচ্চকিত করে। আর যাদের স্বার্থে তা আঘাত করে, তারা বিচলিত ওÿ ক্ষুব্ধ হয়। উপরোল্লিখিত তিনটি শ্রেণিবিভাগে, বাংলাদেশে সুশীল সমাজের মূলধারাটি এখনো উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক ও প্রগতিকামী চিন্তা দ্বারা প্রভাবিত।
রাজনীতি: সুশীল সমাজ সামগ্রিকভাবে না হলেও তার কিছু কিছু নেতা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কাজ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। সামাজিকভাবে সচেতন ও সক্রিয় ব্যক্তির জন্য দেশের আর দশজন নাগরিকের মতো রাজনৈতিক ভূমিকা পালনের ইচ্ছা থাকাটা অযৌক্তিক নয়। অনেক সময় আবার এই উপলব্ধি আসতে পারে যে রাজনৈতিক সমাজের অন্তর্ভুক্ত হয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে না পারলে মানুষের দুঃখ-কষ্ট স্থায়ীভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়। উল্লেখ্য, ১৯৭২-এর জনপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশকে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংশোধনের মাধ্যমে বিদেশি সাহায্য লাভকারী কোনো উন্নয়নধর্মী প্রতিষ্ঠানের প্রধানের জাতীয় নির্বাচন করার অধিকার চাকরি ছাড়ার তিন বছর পর্যন্ত রহিত করা হয়েছে। এই বিধান সরকারি কর্মচারীদের জন্যও সমভাবে প্রযোজ্য।
রাজনীতিতে নিজস্ব অবস্থান শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সংগঠনকে ব্যবহার করা অবশ্যই অনুচিত। প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়ে তাদের ‘সমাজ’ বদল করা উচিত। তবে সুশীল সমাজে রাজনীতি প্রবেশের অপর মাধ্যম হচ্ছে যখন রাজনৈতিক দলগুলো পেশাজীবীদের সমিতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দলীয় ছত্রচ্ছায়ায় নিয়ে আসে, কোনো সময় তা করে সংগঠনগুলোকে বিভক্ত করে। এতে তারা নামে সুশীল সমাজ থাকলেও কার্যত রাজনৈতিক সমাজের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়। বাংলাদেশের একটি অন্যতম বড় বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা যখন পদে থেকেই সক্রিয় দলীয় রাজনীতি শুরু করেন, তখন তাঁর সংগঠনে বিপর্যয় নেমে আসে।
তবে সাম্প্রতিক কালে ভারতের আম আদমি পার্টির (এএপি) আবির্ভাব অনুধাবনীয়। তথ্য অধিকার আইন ও জন লোকপাল আইনের জন্য আন্দোলন করতে করতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তাঁর সহকর্মীরা নাগরিক আন্দোলনের সীমাবদ্ধতাকে উপলব্ধি করেন। একই সঙ্গে জনমানুষের মধ্যে প্রচলিত রাজনীতির বাইরে কোনো একটি বিকল্প ধারার আকাঙ্ক্ষাকে অনুভব করেন। সৃষ্টি হয় এএপি, যেখানে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যোগদান করেন এবং দলটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। তাঁরা দিল্লি অঞ্চলের সরকারও গঠন করেন। যদিও তাঁরা প্রচলিত কাঠামোর মধ্যে নতুন ধারার রাজনীতি পরিচালনার সমস্যাগুলো দ্রুতই টের পান। যা-ই হোক, এএপির অভিজ্ঞতাটি হলো সুশীল সমাজ থেকে রাজনৈতিক সমাজে পরিণত হওয়ার একটি ধ্রুপদি উদাহরণ। বাংলাদেশে কেউই এ ধরনের চ্যালেঞ্জ সফলভাবে নিতে পারবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে।
সুশীল সমাজ: সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা
বিরাজনৈতিকীকরণ: বাংলাদেশের সুশীল সমাজ দেশে বিরাজনৈতিকীকরণের অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে কেউ কেউ অপবাদ দেন। অনেক সময় তথাকথিত এক-এগারোর সরকারের প্রতি কথিত সমর্থনকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আমাদের মনে থাকার কথা, ২০০৬ সালের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিবদমান দুই রাজনৈতিক পক্ষ, নিজস্ব অভিন্ন গোষ্ঠী স্বার্থ বিস্মৃত হয়ে, শান্তিপূর্ণভাবে সাংবিধানিক পথে ক্ষমতা হস্তান্তরে ব্যর্থ হয়। সৃষ্টি হয় রাজনৈতিক শূন্যতা, জাতীয় জীবনে অনিশ্চয়তা। নিঃসন্দেহে এই পরিস্থিতি ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক উচ্চবর্গীয়দের অপরিপক্বতার ফল। স্মরণ রাখতে হবে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের চারজন সদস্য—ড. আকবর আলি খান, আইনজীবী সুলতানা কামাল, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শফি সামী ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান হাসান মাসুদ চৌধুরী—সংবিধানের অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন, তাঁরা সবাই ছিলেন সুশীল সমাজের উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। যে শক্তি পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করে, তা সংবিধানের প্রলম্বিত ব্যাখ্যা দিয়ে উচ্চ আদালতের অনুমোদনে দুই বছরের শাসনান্তে একটি সর্বজনস্বীকৃত নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। এর মধ্যবর্তী সময়ে সেই সরকার (যার ভেতর একাধিক সরকার ছিল বলে মনে করা হয়) বিভিন্ন দুর্নীতিবিরোধী ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করলেও তার অকার্যকর ও কলুষিত প্রয়োগ তাকে জনমানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।
বাংলাদেশের সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ সুশীল সমাজ, তথা জনগণের একটা বড় অংশ হয়তো মনে করেছিল, এক-এগারোর সরকার যেসব দুর্নীতিবিরোধী ও সংস্কারমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে, তা আপাতদৃষ্টিতে সুশীল সমাজের বহু দাবির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। অন্তর্বর্তী ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গকে শক্তিশালী করে উন্নততর ভিত্তিতে গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন যাত্রা শুরু হবে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটা স্পষ্ট হয়, এটি ছিল একটি ভ্রান্ত প্রত্যাশা। কারণ, চলমান রাষ্ট্রযন্ত্র সর্বদাই নতুন নতুন স্বার্থগোষ্ঠীর জন্ম দেয়, যারা এসব সংস্কারের সম্ভাবনায় ভীত হয়ে প্রতিশ্রুত কার্যক্রমকে বিপথগামী করে। অনেক ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদেরা যে দোষে দুষ্ট বলে মনে করা হয়, তারাও সে রোগে দ্রুত আক্রান্ত হয়। উপরন্তু, সংস্কার যদিও কিছু হয়, তা যে পরবর্তী সরকারের আমলে টেকসই হবে, তারও নিশ্চয়তা থাকে না। তাই অনির্বাচিত সরকার দ্বারা সুশাসন অর্জনের ক্ষেত্রে টেকসই পরিবর্তন আনা যায় না—এই অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সুশীল সমাজের পথচলায় ভবিষ্যতে উপকারী হবে। তবে যথা সময়ে নির্বাচনের দাবিতে সুশীল নেতারা ছিলেন একনিষ্ঠ। তাই গণতান্ত্রিক উত্তরণের প্রক্রিয়া যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেই লক্ষ্যে ক্ষমতায় থেকে দল গঠনের মতো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তাঁরা সর্বদাই ছিলেন উচ্চকণ্ঠ।
বাংলাদেশসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়ার মূল কারণ হলো দুর্বল রাষ্ট্রীয় অঙ্গসমূহ, অনুন্নত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং অনুপযুক্ত রাজনৈতিক সংস্কৃতি। এই পরিস্থিতিতে অরাজনৈতিক শক্তি বা ভিনদেশি শক্তির জন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেয়। তাই ঐতিহাসিক উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে আমরা দেখব যে বিরাজনৈতিকীকরণ প্রক্রিয়ার প্রকৃত উৎস সুশীল সমাজে নয়, রাজনৈতিক সমাজে নিহিত। উপরন্তু, রাষ্ট্রের ঘোষিত নীতিমালাকে লঙ্ঘন করে যখন শাসকশ্রেণি, যখন ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বা ব্যক্তিস্বার্থকেই অন্যায় আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হয়, তখনই সমাজে বিরাজনৈতিকীকরণের ধারা বেগবান হয়।
বৈধতা ও প্রতিনিধিত্বশীলতা: বিভিন্ন জাতীয় বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপনের পরিপ্রেক্ষিতে সুশীল সমাজের বৈধতা ও তার প্রতিনিধিত্বশীলতাকে প্রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি সক্রিয় সংগঠনই সরকারের কাছে তার কর্মপরিকল্পনা ও অর্থায়নের উৎস সম্বন্ধে তথ্য দিয়ে, অনুমতি নিয়ে তাদের তৎপরতা পরিচালনা করে।তাই মাঝেমধ্যে কোনো বিরূপ সরকারি কর্তাব্যক্তি যখন কোনো প্রতিষ্ঠানের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তখন তা নিতান্তই অজ্ঞানতাপ্রসূত।
তবে সুশীল সমাজের মূল বৈধতা কোনো সরকারি আমলা দ্বারা নির্দিষ্ট হয় না। সেটা হয় তার লক্ষ্যনির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা অংশীজনদের সামাজিক অনুমোদনের মাধ্যমে। তাই সুশীল সমাজের বৈধতার প্রয়োজনীয় শর্ত যদি হয় সরকারি অনুমোদন, তার বৈধতার যথেষ্ট কারণটি (সাফিশিয়েন্ট কন্ডিশন) জনমানুষের নীরব সম্মতিতে প্রোথিত। তাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে কোনো সুশীল সংগঠনের বিবাদে যুক্ত হওয়ার সুযোগ কম থাকে।
শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে মতপার্থক্য হলেই সুশীল সমাজের নেতাদের প্রতিনিধিত্বশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। বলা হয়, ‘যোগ্যতা থাকলে নির্বাচন করে আসুন।’ মনে হয়, দেশ নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে সবাইকে নির্বাচনে দাঁড়াতে হবে। বর্তমান বিশ্বে রাষ্ট্রীয় জীবনে বৈধতার একমাত্র রূপ নির্বাচনী বৈধতা নয়। যদিও এখানে জনপ্রতিনিধিদের অধিকারকে খাটো করে দেখা হচ্ছে না। বিকাশমান সমাজে সুশীল সংগঠনের সামাজিক প্রতিনিধিত্বশীলতার উৎস হচ্ছে তাদের সদস্য ও অংশীজনেরা। তবে সমাজে সব প্রতিনিধিত্বশীলতাই আংশিক। এরূপ আংশিক প্রতিনিধিত্বশীলতা নিয়ে বিরাজ করেন স্কুলের শিক্ষক, স্থানীয় চিকিৎসক, গ্রামীণ সমাজপতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী উদ্যোক্তা ও ধর্মগুরুরা। মিডিয়ার ক্ষেত্রে একজন সম্পাদক যখন তাঁর লেখনী ধরেন, তখন বৈধতা আসে প্রত্যেক পাঠকের কাছ থেকে, যাঁরা পয়সা দিয়ে প্রতিদিন সকালে পত্রিকা কেনেন। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন টিভি দর্শক অন্য চ্যানেলে চলে না যাচ্ছেন, ততক্ষণ তিনি একটি টক শোকে বৈধতা দিচ্ছেন, এমনকি অংশগ্রহণকারীর বক্তব্যের সঙ্গে একমত না হলেও।
তবে শেষবিচারে সুশীল সমাজের বৈধতা ও প্রতিনিধিত্বশীলতা নিরূপিত হয় তার নৈতিক শক্তির দ্বারা। তাই লক্ষ করা যায়, অনেক সময় চরিত্র হনন করে জনমানসে সুশীল সমাজের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নৈতিক অবস্থান দুর্বল করার চেষ্টা করা হয়।
(ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত শহীদ বুদ্বিজীবী স্মারক বক্তৃতা হিসেবে পঠিত।)
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: সম্মানীয় ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।