Originally posted in বণিক বার্তা on 25 October 2022
যেসব অনুমিতির ভিত্তিতে বিদেশী ঋণ নেয়া হয়েছিল সেগুলো এখন ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়েছে বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। বণিকবার্তার সাথে কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন: “বাছবিচার না করে বিদেশী ঋণ নেয়ার সময় মনে করা হয়েছিল ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার একই থাকবে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে লাইবরের সুদহার বাড়বে না বলেও ঋণ নেয়ার সময় ধারণা করা হয়েছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, দেশের বাজারেই টাকার প্রায় ২৫ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। আবার বিশ্ববাজারে এসওএফআর ও লাইবর হার কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যে হারে নীতি সুদহার বাড়াচ্ছে, তাতে এসব হার কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা অনেক আগে থেকেই বিদেশী ঋণ নেয়ার বিষয়ে সরকারকে সতর্ক করে আসছিলাম। যে ভ্রান্ত চিন্তা থেকে বিদেশী ঋণ নেয়া হয়েছে, সেটিকে বিশুদ্ধ বাংলায় অবিমৃষ্যকারিতা বলা যায়।”
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার অতিকথনের কারণে বাংলাদেশের বিপদ আরো বাড়বে বলে মনে করেন ড. দেবপ্রিয়। তিনি আরো বলেন: “এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে বিশ্বব্যাংকসহ বহুজাতিক সংস্থাগুলো থেকে এখন আর সুলভ সুদের ঋণ পাবে না। দ্বিপক্ষীয় যেসব বিদেশী ঋণ সরকার নিয়েছে, সেগুলোর সুদহার পরিবর্তনশীল। লাইবরের সঙ্গে সুদহার জুড়ে দিয়ে এসব ঋণ নেয়া হয়েছে। সাপ্লায়ারস ক্রেডিট ও বাণিজ্যিক শর্তযুক্ত যেসব ঋণ নেয়া হয়েছে, সেগুলোও এসওএফআর ও লাইবরের সুদহারের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১০ টাকার পণ্যের দাম ১০০ টাকা দেখিয়েও গত কয়েক বছরে বিদেশী ঋণ আনা হয়েছে। সময় যত গড়াবে, সুদের অংক বেড়ে এসব ঋণ দেশের ঝুঁকিকে তত বেশি বাড়াবে।”
বিস্তারিত পড়ুনঃ বণিকবার্তা