Published in সমকাল on Monday, 14 May 2018
বিশেষ আয়োজন
বিনিয়োগ সহায়ক বাজেট চাই
আগামী অর্থবছরের বাজেটকে সামনে রেখে গত শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা চেম্বার, সমকাল ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের আয়োজনে প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচকরা ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহায়ক বাজেটের জন্য নানা সুপারিশ করেন
ঢাকা চেম্বারের প্রস্তাব
- আয়কর, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন হোসেন খালেদ
- প্রোগ্রেসিভ হারে করপোরেট কর
- করপোরেট ডিভিডেন্ড আয়ের ওপর ১০% কর নির্ধারণ
- ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ
- ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত নিট সম্পদের ওপর সারচার্জ আদায় না করা
- স্মার্টকার্ড প্রাপ্তদের জন্য ট্যাক্স হেল্পলাইন প্রবর্তন
- জামানতবিহীন ঋণের সীমা বৃদ্ধি
- সুদহার এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনা
- শিল্পনীতিতে অগ্রাধিকার থাকা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো
- গবেষণা ও উন্নয়নে ৫% কর অব্যাহতি
- পাট খাতের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি মাস্টারপ্ল্যান
- ওয়ানষ্টপ সার্ভিস চালু
- বন্দরের কাছাকাছি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা
অবকাঠামো ও বিনিয়োগ বিষয়ক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন
আসিফ ইব্রাহিম
- আগামী তিনটি বছরকে ‘অবকাঠামো বছর’ ঘোষণা
- ঢাকা-চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়ন
- ঢাকা-চট্টগ্রাম এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ
- বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ
- নদী ড্রেজিং ও নৌ অবকাঠামো নির্মাণে বিশেষ বরাদ্দ
- যানবাহনের ওপর ‘যানজট কর’ আরোপ
- স্থানীয় উৎপাদনে গুরুত্ব দিয়ে কয়লানীতি
- বেসরকারি খাতের সামর্থ্য অনুযায়ী এলএনজির দাম নির্ধারণ
- খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমানো
- পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো
- সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগানো
- এসডিজি বাস্তবায়নে সব পক্ষকে নিয়ে জাতীয় কমিটি গঠন
স্বাগত বক্তব্য
ডঃ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম
বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে। তবে তা কিছু গ্রুপের হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। এভাবে কেন্দ্রীভূত হওয়ার কারণে বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বড় ব্যবসায়িক গ্রুপ এখন মুড়িও বানায়, আবার গাড়িও বানায়। ফলে ছোট ব্যবসায়িক গ্রুপগুলো প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা হারাচ্ছে। সরকারও কিছু ক্ষেত্রে বড়দের পক্ষ নেয়। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থার স্বার্থে প্রতিযোগিতা নীতি আইন কার্যকর করতে হবে।