Published in প্রথম আলো on Monday, 3 July 2017
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম
কিছুটা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, কৃষিপণ্য ব্যবস্থাপনার যে ২১টি ধাপ, তার মাত্র কয়েকটিতে নারীরা পিছিয়ে পড়ছেন, বাকি ধাপগুলোতে কিন্তু একজন নারী শ্রমিক পুরুষ শ্রমিকের মতোই সমানতালে কাজ করতে পারছেন। তাই সমাজের সাধারণ মানুষের মধ্যে এই যে নারী শ্রমিককে দুর্বল ভেবে কম মজুরি দেওয়ার প্রবণতা, সেটা দূর করার জন্য প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা।
সে ক্ষেত্রে একজন নারী শ্রমিক ও একজন পুরুষ শ্রমিকের কাজের বাজারমূল্যের তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরতে হবে। এটা খুবই সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করা সম্ভব যে, একজন পুরুষ কোনোভাবেই একজন নারীর থেকে আড়াই গুণ উৎপাদনশীল হয়ে উঠতে পারেন না। এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন নারী ও পুরুষ শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করা। এ কাজে অবশ্যই স্থানীয় সরকার ও জমির মালিকদের এক হয়ে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর ভেতরে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
এ কাজে সামাজিক সচেতনতা শুধু শ্রমিক পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না রেখে জমির মালিক তথা এলাকার ওপর মহলকে অবগত করতে হবে। এই কৃষি খাতের শ্রমিকদের যদি আমরা একটি নির্দিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারি, তাহলে ভবিষ্যতে তাঁরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারবেন।