Originally posted in সমকাল on 7 June 2022
প্রতিটি বাজেটেরই বিশেষ পরিপ্রেক্ষিত থাকে। এ বছরেও তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, দেশে ২০১৯-২০ অর্থবছরে অতিমারি দেখা দেওয়ার পর আমরা এখনও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে যেতে পারিনি। কিছু ক্ষেত্রে পুনরুজ্জীবন ঘটলেও, সম্পূর্ণরূপে উত্তরণ ঘটেনি। দ্বিতীয়ত, ইউক্রেনে যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত এবং পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এক ধরনের সংকট সৃষ্টি করেছে। তৃতীয়ত, প্রায় দেড় দশক পর এবারই সামষ্টিক অর্থনীতি সবচেয়ে কঠিন চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরটি আমাদের এসব অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে কাটাতে হবে।
দুর্বল কাঠামো
বাংলাদেশের সরকারি আয়-ব্যয়ের কাঠামো সর্বদাই দুর্বল ছিল। এ পরিস্থিতি এখনও অব্যাহত। এ দুর্বলতার প্রধান লক্ষণ হলো কর-জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের ওপরে না ওঠা। একই সঙ্গে উন্নয়ন ব্যয়ের তুলনায় রাজস্ব ব্যয় বৃদ্ধির হার বেশি। বাংলাদেশে বাজেট ঘাটতি বাড়ছে না। এর কারণ, আমাদের সীমিত সম্পদও আমরা যথোপযুক্তভাবে খরচ করতে পারি না। তাই আমরা সম্প্রসারণমূলক আর্থিক নীতির কথা বলেও আসলে কম কর, কম ব্যয় ও নিয়ন্ত্রিত বাজেট ঘাটতি- এ রকম একটা পরিস্থিতি নিয়ে আগামী অর্থবছরেও চলতে হবে।
সাম্প্রতিককালে আমাদের শক্তির জায়গা ছিল বৈদেশিক খাত। রপ্তানি, প্রবাসী আয়, বৈদেশিক সাহায্য এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈদেশিক বিনিয়োগ জোরদার থাকায় বৈদেশিক আয়-ব্যয়ের সার্বিক ভারসাম্য বাংলাদেশের পক্ষে ছিল। বৈদেশিক খাতের চলতি হিসাবের মোট ঘাটতি গত বছরের ৫৫৫ মিলিয়ন ডলার থেকে প্রায় তিন গুণ হয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৪৭২ মিলিয়ন ডলারে। বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ঘাটতির বিষয়টি আরও প্রকট। বাংলাদেশের রপ্তানি আয় এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কিন্তু এর মূল কারণ তুলা এবং সুতার দাম বৃদ্ধি। এরই মধ্যে চলতি অর্থবছরে আমদানি ও রপ্তানির মধ্যে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলারের ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘাটতির প্রতিফলন দেখা যাবে বৈদেশিক মুদ্রা মজুতে, যেটি ক্রমান্বয়ে কমে আসছে। আগামীতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের ওপর চাপ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা।
এর ফলে টাকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখার জন্য বাজারে ডলার ছাড়ার ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের সীমিত হয়ে যাচ্ছে। বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে বিগত সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে চার-পাঁচ বিলিয়ন ডলার বাজারে ছেড়েছিল, এখন আর তা সেভাবে সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণেই বাংলাদেশ ব্যাংককে টাকার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণকে শিথিল করতে হয়েছে। আগামীতেও এ বিনিময় হারের কিছুটা অবনমন হতেই থাকবে।
মূল্যস্ফীতির হিসাব
সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মূল্যস্ম্ফীতি বর্তমানে ৬ শতাংশের কিছুটা বেশি। এই হিসাব বাস্তবতাবিবর্জিত। সরকারি হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গ্রাম পর্যায়ে মূল্যস্ম্ফীতি শহরের তুলনায় বেশি এবং খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ম্ফীতির চেয়ে বেশি। সাধারণভাবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়- তেল, ডাল, ডিম, আটা-ময়দা, মুরগি, মাছ, দুধ ইত্যাদির দামের ক্ষেত্রে টিসিবি গত এক বছরের যে তালিকা দিয়েছে, তার সঙ্গে বিবিএসের উপাত্তের সামঞ্জস্য নেই। অনেকেই বলেন, আমাদের দেশে যেসব আমদানি করা পণ্য রয়েছে, তার দাম প্রতিবেশী দেশের তুলনায় কম, যেটি সঠিক নয়। টিসিবির তথ্যে দেখা যাচ্ছে (মে মাস) বাংলাদেশে এক লিটার পাম অয়েলের দাম ছিল ১৮৩ টাকা; ভারতে তা ছিল বাংলাদেশি টাকায় ১৭৩ টাকা। যে পণ্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে দাম বেশি ছিল তা হলো তেল ও ডিজেল। সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরীণ শুল্ক হার কমিয়ে এসব জ্বালানির খুচরা দাম কমিয়েছে।
বিবিএস প্রদত্ত মূল্যস্ফীতির হিসাব বাস্তবসম্মত ও বিজ্ঞানসম্মত নয়। কারণ, বিবিএস ভোক্তা মূল্যসূচক হিসাব করে ১৭ বছরের আগের অর্থবছর ২০০৫-০৬-এর ভিত্তিতে। এই ১৭ বছরে মানুষের ভোগ কাঠামো ও পণ্যমূল্যের বাজারদর কাঠামোতে যে পরিবর্তন হয়েছে, বিবিএসের হিসাবে তা ধরা পড়ে না। এ ছাড়া অসুবিধাগ্রস্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যেসব পণ্য ও সেবা ব্যবহার করে, তার অনেক কিছুর হিসাব এখানে যথাযথভাবে অনুমিত হয় না। অর্থাৎ বিভাজিতভাবে মূল্যস্ম্ফীতি হিসাব করলে তা অনেক উচ্চ হবে।
এ ছাড়া উচ্চমূল্যে বর্তমানে পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। এটি পুরোদমে বাজারে এলে এ সময় সরকার যদি জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায়, তাহলে মূল্যস্ম্ফীতি আরও বাড়বে। তাই আগামী বাজেটে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি বাড়াতে হবে। সে লক্ষ্যে ভর্তুকি কাঠামো পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং প্রাধান্য দিতে হবে খাদ্য ও জ্বালানি মূল্যের স্থিতিশীলতার ওপর।
বাজেটের কেন্দ্রীয় সূচক
মূল্যস্ম্ফীতি বৃদ্ধি, অন্যদিকে টাকার মূল্যমান কমে যাওয়া অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতিতে সুদের হার একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রাসঙ্গিক বিষয়। যে কোনো দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রাখার প্রয়োজনে সুদের হার, বিনিময় হার ও মূল্যস্ম্ফীতি- এ তিনটি বিষয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হয়। টাকার মূল্যমান কমছে, মূল্যস্ম্ফীতিও ঘটছে। কিন্তু সুদের হার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে- এটা বাস্তবসম্মত নয়। সুদের হার কম রেখে ব্যক্তি বিনিয়োগ বাড়ানো যাবে, এই অবস্থান বাংলাদেশের জন্য কার্যকর নয়। কারণ, দেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা করার ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, তার মধ্যে সুদ একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সামান্য অংশ। দেশে সার্বিকভাবে ব্যবসাবান্ধব পরিস্থিতি নেই। বর্তমানে আমানতের সুদের গড়হার ৪ শতাংশের কিছুটা বেশি, যা মূল্যস্ম্ফীতির হারের চেয়ে প্রায় ২ শতাংশ কম। এতে ব্যাংকে টাকা রাখলে তার প্রকৃত মূল্য প্রতি বছর ২ শতাংশ কমে যাচ্ছে। কাজেই সুদের হারকে আটকে রাখা এক ধরনের সঞ্চয়বিরোধী নীতি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মূল্যস্ফীতিকে কেন্দ্রীয় সূচক হিসেবে বিবেচনা করে সুদের হার বাড়াতে হবে।
মনে রাখতে হবে, সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গরিব ও সীমিত আয়ের মানুষ, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণি; যাদের আয় সেই হারে বাড়ে না যে হারে বাজারে পণ্যমূল্য বাড়ে। কাজেই আগামী বাজেটে যদি একটিমাত্র বিষয়কে প্রাধান্য দিতে হয়, তাহলে সেটি হতে হবে মূল্যস্ম্ফীতি এবং সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা।
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান
বিগত সময়ে আমরা দেখেছি, জিডিপির অনুপাতে মোট বিনিয়োগ হার কোনো অবস্থাতেই ৩৩ শতাংশের বেশি বাড়ানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ হার আটকে আছে ২৩-২৪ শতাংশের মধ্যে, যা অতিমারির পূর্ব সালে ছিল ২৫ শতাংশের মতো। তবে প্রবৃদ্ধির হারের সঙ্গে বর্তমান বিনিয়োগ পরিস্থিতির সাযুজ্য নেই। সম্পদ ও বিনিয়োগের উৎপাদনশীলতাও অনেক কমে যাচ্ছে। সরকার ২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির যে প্রাক্কলন দিয়েছে, তাতে দেখা যায়, বৃহৎ শিল্পে প্রবৃদ্ধি ১৩ শতাংশের কাছাকাছি; অন্যদিকে ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পে এ হার ১১ শতাংশের নিচে। অর্থাৎ, যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, তা ক্ষদ্র ও মাঝারি শিল্পের তুলনায় বৃহৎ শিল্পকে বেশি সুযোগ দিচ্ছে। এটা কর্মসংস্থান বাড়ানোতে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। কাজেই আগামী দিনে বাজেট বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য অভ্যন্তরীণ বাজারমুখী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বেশি সমর্থন দিতে হবে।
অতিমারি চলাকালীন জাতীয় সঞ্চয়ের হার ছিল ৩১ শতাংশের ওপরে। এখন তা সাড়ে ২৫ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। সঞ্চয় কমে যাওয়া অর্থাৎ প্রতি পরিবার ভোগের পণ্যের জন্য বেশি ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের সঞ্চয়ের পতন আর্থসামজিক ভঙ্গুরতার আভাস দিচ্ছে। এই সময় যদি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির হাতে খরচযোগ্য অর্থ না দেওয়া হয়, তাহলে সঞ্চয়ের যে পতন ধারা দেখা যাচ্ছে, তা তাদের আরও আর্থিক কৃচ্ছ্রের মধ্যে এমনকি দারিদ্র্যসীমার নিচে ঠেলে দেবে। এ জন্যই করমুক্ত আয়সীমা বর্তমান তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকায় উন্নীত করা উচিত।
এক্ষেত্রে যুবসমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিশেষ নজর দিতে হবে। শিক্ষা-প্রশিক্ষণ-কর্মে নেই এমন যুবকদের এক হাজার টাকা মাসিক ভাতার প্রচলন করতে হবে। বছরে এক লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণের জন্য ক্রেডিট কার্ড চালু করতে হবে। ব্যাপক ডিজিটাল বৈষম্য কাটিয়ে উঠতে বিদ্যালয় পর্যায়ে বিনামূল্যে গিগাবাইট দিতে হবে। তা না হলে দেশে উৎপাদনশীলতা এবং গুণমানসম্পন্ন শ্রমশক্তি গড়ে উঠবে না।
সামাজিক সুরক্ষা
জিডিপির অনুপাতে কয়েক বছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ক্রমান্বয়ে বেড়েছে, যদিও তা কার্যকরভাবে বিতরণ হয়নি। কিন্তু এ বরাদ্দের বড় অংশই ঋণ হিসাবে প্রস্তাব করা হয়েছে, যা প্রান্তিক ও অসুবিধাগ্রস্ত জনগোষ্ঠী ব্যবহারের সুযোগ পায় না। মাথাপিছু জাতীয় আয় বাড়বে আর দুস্থ মানুষ তার হিস্যা পাবে না- তা হবে না। কাজেই অসুবিধাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রত্যক্ষ আর্থিক প্রণোদনা হিসেবে মাসিক নূ্যনতম এক হাজার টাকা ভাতা সরাসরি দিতে হবে। আর বিদ্যমান কর্মসূচির পাশাপাশি আগে উল্লিখিত যুব ভাতা চালু করতে হবে। টিসিবি এবং ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির আরও সম্প্রসারণ করতে হবে। অতিমারির কারণে যেসব নেতিবাচক প্রভাব সমাজে দেখা গেছে, যেমন বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম ও স্কুল থেকে ঝরে পড়া, তা মোকাবিলায় বাজেটে বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
যেসব মেগা প্রকল্প এখন শেষের দিকে, সেগুলো থেকে আর্থিক সুবিধা কতটা পাওয়া যাবে, সেটিও বিবেচনাযোগ্য। ভর্তুকির টাকা যাতে এসব মেগা প্রকল্পের ব্যয় মেটাতে ব্যবহূত না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যুক্তিহীনভাবে জ্বালানি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে এখনও কেন ভর্তুকি দিয়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে?
অসুবিধাগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর একটি অভিন্ন, সংযুক্ত ও সম্পূর্ণ তথ্যভান্ডার প্রণয়ন করতে হবে। কারণ, এ তথ্যভান্ডার না থাকার ফলে সরকারের নীতি থাকা সত্ত্বেও সরকারি সমর্থন যাঁদের প্রাপ্য, তাঁরা পাচ্ছেন না।
পরিশেষে তিনটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই। প্রথমত, বৈশ্বিক বাস্তবতার পাশাপাশি আর্থিক খাতে দুর্বলতার জন্য যথেষ্ট সংস্কারমূলক পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছর বেশ টানাহেঁচড়ার মধ্যে থাকবে। এমন বাস্তবতায় সঠিক ও সক্রিয় জাতীয় নীতি ব্যবস্থাপনা আগামী অর্থবছরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে। কাজেই আগামীতে প্রাক-বিবেচনায় পদক্ষেপ গ্রহণে সক্ষম এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থাপনা দরকার, যাতে কোনো একটি ঘটনা ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, আমাদের তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি আছে। ফলে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ বিঘ্নিত হচ্ছে। তিন মাস পরপর সংসদে দেশের সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি তুলে ধরার বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা পরিপালন করা হচ্ছে না। তাই স্বচ্ছ, সঠিক ও নিয়মিত পরিস্থিতি পরীবিক্ষণ জরুরি। তৃতীয়ত, মানুষের কণ্ঠস্বর যদি সোচ্চার হতে না পারে তাহলে যত বরাদ্দই দেওয়া হোক না কেন, তার স্বচ্ছতা সঠিক ব্যবহার হয় না। তাই আগামী বাজেটের জনবান্ধব বাস্তবায়নে নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বর জোরদার রাখতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: অর্থনীতিবিদ ও সম্মাননীয় ফেলো, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)