Originally posted in প্রথম আলো on 13 July 2023
বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় যে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল এবারও তার কাছাকাছি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।
গত বছর বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যা ছিল তাতে তখন মনে হয়েছিল ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয়ে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য অর্জিত হবে। যদিও চলতি বছর বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি আরও দুর্বল হয়েছে। এসব বিবেচনায় চলতি অর্থবছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা আরেকটু রক্ষণশীল হতে পারত বলে মনে হয়।
বর্তমান সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেকারত্বের হার উচ্চ। মূল্যস্ফীতিও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগের অবস্থায় ফেরেনি। জ্বালানির বাজারও নতুন প্রেক্ষাপটের সামনে দাঁড়িয়ে। এদিকে দেশে জ্বালানির দামে উচ্চ মূল্যের পাশাপাশি ডলার-সংকটে নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহে কিছুটা অনিশ্চয়তায় আছে। আবার চলতি অর্থবছর রাজনৈতিক ঘটনায় বিভক্ত থাকবে।
জাতীয় নির্বাচনের পর অনিশ্চয়তা কেটে যাবে। তখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রপ্তানি ও বিনিয়োগে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে।
যদিও অর্থবছরের প্রথমার্ধে নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির কারণে কিছুটা অনিশ্চয়তা থাকতে পারে। সব মিলিয়ে একধরনের ওঠানামার মধ্যেই অর্থবছরটি অতিবাহিত হবে বলেই আমাদের কাছে মনে হচ্ছে।
বিদায়ী অর্থবছরে নতুন বাজারে আমাদের পণ্যের বর্ধিত চাহিদা দেখতে পেয়েছি। চলতি বছরও এটি ধরে রাখা সম্ভব হবে। প্রচলিত বাজারগুলোতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণে চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
ফলে অপ্রচলিত বাজারে পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে নজর রাখতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী বছর নতুন সরকার দায়িত্ব নেবে। তার মানে এই অর্থবছরে রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনী ইশতেহার দেবে। সেখানে রপ্তানি বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতি থাকা দরকার। যাতে সরকার গঠনের পর সেগুলোর বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
– খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষণা পরিচালক, সিপিডি