Published in আমাদের সময় on Monday 11 May 2020
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আমরা এখন সংক্রমণ বাড়তির দিকে আছি। এমন অবস্থায় ক্যাশ ট্রান্সফার করে ফুড চেইনটাকে ঠিক রেখে লক ডাউনকে আরও প্রলম্বিত করা প্রয়োজন। কারণ জীবন নিয়ে আমরা ঝুঁকি নিতে পারি না বলে চ্যানেল আইয়ের এক অনুষ্ঠানে বললেন সিপিডির এই ডিস্টিংগুইশিড ফেলো।
সেই সঙ্গে ক্যাশ ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সম্পদ আমরা কতটুকু মোবিলাইজ করতে পারবো সেই সীমাবদ্ধতার কথাও উঠে আসে।
জীবন ও জীবিকা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। ফলে আমরা যদি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড একটা নির্দিষ্ট সময় পর চালু না করে তাহলে বিরটা সমস্যার সম্মূখীন হবো।
বলা হচ্ছ, কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপানোর ব্যবস্থা করবে। আমরা যদি উৎপাদন ব্যবস্থা ঠিক রাখতে পারি তাহলে এতে কোন সমস্যা সৃষ্টি হবে বলে আমি মনে করি না।
সিপিডির পক্ষ থেকে আমরা দীর্ঘদিন থেকে বলছি, শক এবজোর্ভেশন ক্যাপাসিটি বাড়ানোর সক্ষমতা কথা। দেশের জিডিপি গত কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। এটি আমাদের কনফিডেন্স দেয়। কিন্তু শক এবজোর্ভেশন ক্যাপাসাটি আমাদের স্পেস দেয় বর্তমান পরিস্থির মতো অবস্থা মোকাবেলায়।
আমাদের ট্যাক্স জিডিপি রেশিও যদি ১০ শতাংশ না হয়ে ভারত বা নেপালের মতো ১৮ শতাংশ হতো তাহলে এমন পরিস্থিতি আমরা আরও ভালোভাবে সামলে নিতে পারতাম।
এছাড়া কর ফাঁকি, অর্থ পাচার রোধে আমাদের ভালো ভালো আইন আছে তা বাস্তবায়ন করলে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়বে। কারণ বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে দেশের ১০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
অন্যান্য দেশ এর মধ্যে সামনের সময়গুরো সামলে নিতে পরিকল্পনা করে ফেলেছে। আমাদেরও উচিত হবে দীর্ঘমেয়াদি ফলপ্রসূ প্রনয়ণ নির্ধারণ করা। সূত্র : চ্যানেল আই