Originally posted in মানব জমিন on 26 March 2021
যদি দেশের তরুণ সমাজের কর্মসংস্থান ইস্যুর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সামাজিক-অর্থনৈতিক অসমতা, অবকাঠামো এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের সমস্যা সমাধান না করা হয় তাহলে গত ৫০ বছরে দেশ যে উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছে তা ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশ যে সফলতা দেখিয়েছে তাকে আরো টেকসই এবং সবার অংশগ্রহণমূলক করতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ খাতের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। তা হলো আয় এবং সম্পদভিত্তিক আয়কর সংগ্রহকে শক্তিশালী করা। অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকে বাড়ানো। আধুনিকায়ন করা প্রযুক্তিভিত্তিক শ্রমভিত্তিক প্রবৃদ্ধি। অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে আসার পর প্রথমেই এবং সবার আগে আমার মনে যে অর্জনের কথা মনে আসে তা হলো, কীভাবে বাস্তবতা এবং সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রাথমিক হতাশা কাটিয়ে উঠেছে। সে সময় দেশের সামনে অনেক প্রশ্ন ছিল। বিশেষ করে বিপুল জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সরবরাহ দেয়ার সক্ষমতার প্রশ্ন রয়েছে।
বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে কোনো জ্বালানি বা প্রাকৃতিক সম্পদের উৎস ছিল না। পাটজাত কিছু পণ্য ছাড়া আমাদের রপ্তানি করার মতো তেমন কিছুই ছিল না। পাকিস্তানি শাসকরা এদেশের অর্থনীতিকে অস্বীকার করেছিল। আমাদেরকে দেয়া হয়নি কোনোই বিদেশ এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ এবং সব বিমান নিয়ে গিয়েছিল তারা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় শত শত ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল। আমাদের তখন কোনো প্রতিষ্ঠানই ছিল না। এক কোটি শরণার্থী তখন দেশে ফিরছিলেন।
৫০ বছর আগে এটা ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি অর্থনীতির দেশ। এখানে পুনর্বাসন এবং পুনর্গঠনের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছিল বাংলাদেশ। ১৯৭০-এর দশকের প্রথম অর্ধাংশে আমরা শুধু কার্যকর অর্থনৈতিক পুনঃনির্মাণ এবং পুনরুদ্ধারই করিনি, একই সঙ্গে সব রকম বাধা অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছি।
ওই সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করতো বাংলাদেশের কোনো ভৌগোলিক অগ্রগামী কৌশলের সুযোগ নেই এবং বৈশ্বিক শক্তিধর দেশগুলো এদেশের সমৃদ্ধিতে খুব কমই আগ্রহ দেখাতো। জাস্ট ফাল্যান্ড এবং জেআর পার্কিনসনের লেখা ‘বাংলাদেশ: এ টেস্ট কেস অব ডেভেলপমেন্ট’ বইয়ের বিষয়ে আমরা সবাই অবগত আছি। এতে দেশের উপরে বর্ণিত অবস্থা বিবেচনা করে বলা হয়েছে যে, যদি বাংলাদেশের মতো দেশে উন্নয়নে সফলতা আসতে পারে, তাহলে বিশ্বের যেকোনো স্থানে উন্নয়নে সফলতা আসবে।
তখনকার উপকার ভোগীদের পক্ষ থেকে আসা সব অনগ্রসরতা এবং দেশ গঠন প্রক্রিয়ায় অনেক উত্থান-পতনকে মোকাবিলা করে আমরা ৫০ বছর পরে এমন অবস্থানে এসে পৌঁছেছি। স্বাধীনতার সময় যে পরিমাণ জনসংখ্যা ছিল তার দ্বিগুণেরও বেশি মানুষকে এখন আমরা খাদ্যের যোগান দিতে সক্ষম। আর এই সময়ে আমাদের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে তিনগুণেরও বেশি। নিজে নিজেই এই বিস্ময়কর অর্জন আসেনি। পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদের উৎসের কারণে এবং জ্বালানি ইস্যুতে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে যে পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের। একই সঙ্গে উপমহাদেশে জ্বালানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বৈদেশিক রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে পাট এবং পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাণিজ্যের তিনটির মধ্যে দূরত্বে অবস্থান করছে। এক্ষেত্রে তৈরি পোশাকের রপ্তানি আকাশচুম্বী সফলতা অর্জন করেছে। গর্বের সঙ্গে আমাদেরকে বলতে হয়, প্রতি সেকেন্ডে বিশ্বে যে শার্ট পরে মানুষ তার উৎস এই বাংলাদেশ। এই সফলতা এসেছে মোস্ট ফেভারড নেশন (এমএফএন) ফ্যাসিলিটিতে বিঘ্ন, শিশু শ্রমিক ইস্যুতে চ্যালেঞ্জ এবং বর্তমানে কোভিডের ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে। আমাদের বৈশ্বিক সেবাখাত বা সার্ভিস মার্কেট উন্মুক্ত হয়ে গেছে। দেশে যে বিদেশি আয় আসে তার মধ্যে সিঙ্গেল লার্জেন্ট বা একক বৃহত্তম অংশ আসে প্রায় এক কোটি অভিবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স থেকে।
ভূ-কৌশলগত মূল্যের দিক দিয়ে এটা বাড়িয়ে বলা হয় না যে, সব সুপার পাওয়ারের রাজনৈতিক এবং শান্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে বর্তমানে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে- হোক সেটা আঞ্চলিক অথবা বৈশ্বিক। উন্নয়ন এবং বাজার বিবেচনার ঊর্ধ্বে এ বিষয়টি।
এটা বলা যেতে পারে যে, গত পাঁচটি দশক আমরা অনেক দেশের থেকে পিছিয়ে আছি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে মাথাপিছু অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১০ গুণেরও বেশি। সফলতার সূচক হিসেবে এটাকেই সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা যেতে পারে। স্বাধীনতার পর এখানে দরিদ্র্যের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে এক চতুর্থাংশ। আমাদের আরেকটি বিস্ময়কর অর্জন হলো গড় আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি। ১৯৭০-এর দশকের মধ্যভাগে আমাদের গড় আয়ু ছিল প্রায় ৪৭ বছর। বর্তমানে তুলনামূলক এই আয়ু ৭২ বছর। বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে এই আয়ু অনেক বেশি। এটা এক বিস্ময়কর সফলতা। জনস্বাস্থ্যখাতে সামান্য খরচ, শিক্ষাখাতে স্বল্প ব্যয় এবং সামাজিক নিরাপত্তা নেই- প্রায় এমন অবস্থা সত্ত্বেও আমরা এই অভূতপূর্ব সফলতা অর্জন করেছি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি এনজিওগুলোর অবদান সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে। বিশেষ করে শিশুর মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিস্তৃত এবং সদ্য ভূমিষ্ঠের মৃত্যুহার কমানো গেছে। এই সফলতার অন্য পাশে আছে বয়স্ক মানুষকে দেখাশোনার চ্যালেঞ্জ।
গড় আয়ুর অভূতপূর্ব বৃদ্ধি হচ্ছে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জনগণের সম্মিলিত অর্জন। জনসংখ্যার কাঠামো বিবেচনায় জনমিতিক লভ্যাংস একটি সুবিধাজনক বিষয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ও মৃতের হার কমে যাওয়ায় বিশাল সংখ্যক তরুণ প্রজন্ম পেয়েছে বাংলাদেশ। একটি দেশের জন্য এরকম সময় সাধারণত স্থায়ী হয় ২০ থেকে ৩০ বছর। এর এক দশক আমরা এরইমধ্যে পার করে ফেলেছি। ২০৪০ সালের পর আমরা আর এই সুবিধা পাব না।
ট্রাজেডির সবথেকে বড় ভিক্টিম হচ্ছেন বাংলাদেশের শিক্ষিত তরুণরা। গড়ে প্রতি ৪ জনের একজন তরুণই বেকার। তবে শিক্ষিতদের জন্য অবস্থা আরো খারাপ। তাদের প্রতি ৩ জনের একজনই বেকার হয়ে আছেন। তাছাড়া আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার নাজুক মানের কারণে এর প্রভাবও কম। এদেশে অনেকেরই সার্টিফিকেট আছে কিন্তু তারা শিক্ষিত নন। অপরদিকে বেসরকারি বিনিয়োগ না থাকার কারণে শিক্ষিত তরুণদের জন্যেও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই। বিশাল সংখ্যক শিক্ষিত তরুণ জনগোষ্ঠী থাকা হচ্ছে জনমিতিক লভ্যাংশের আরেকটি দৃশ্যপট। নারীদের যে অংশটি কাজ করছেন তারাও অনানুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে যুক্ত হচ্ছেন। অর্থাৎ, নারীরাও এখন ভাল চাকরি পাচ্ছেন না।
বাংলাদেশের তরুণরা প্রতিন্দ্বন্দ্বীতায় এগিয়ে, তারা মেধাবি ও উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তারা তাদের যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে। আমরা যদিও তাদের নিয়ে গর্ব করি কিন্তু তারা দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর ছোট একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। দেশে যে লাখ লাখ শিক্ষিত তরুণ রয়েছে আমরা তাদের কথা বলছি। আমাদের তরুণদের জন্য এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে যেখানে তারা তাদের যোগ্যাতার ছাপ রাখতে সমর্থ হয়।
তাছাড়া, আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন আনাও জরুরি। আমাদেরকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও শিক্ষানবিশ ব্যবস্থা বৃদ্ধি করতে পারি। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে সরকার প্রণোদনা দিতে পারে যাতে করে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, বেকার তরুণরাই মূলত মাদকাসক্ত হয়, তাদের জঙ্গিবাদের প্রবণতা দেখা যায় এবং তারা মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকে। তাই আমাদেরকে এই জনমিতিক লভ্যাংশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে আরো একটু বেশি সৃজনশীল হতে হবে। আমাদেরকে শ্রমের মানোন্নয়ন করতে হবে অর্থাৎ এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে।
মধ্যম পর্যায়ের পেশাদার ব্যবস্থাপকের অভাবে আমাদেরকে বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দিতে হচ্ছে। উদ্যোক্তা অভিযোগ করছেন, তারা স্থানীয় পর্যায় থেকে যোগ্য পেশাদার মানুষ পাচ্ছেন না। আমাদেরকে এখন কর্মসংস্থান কেন্দ্রের নতুন একটি ধরণ প্রয়োজন। তাই আমাদেরকে দেশের বেকার তরুণদের তথ্য সম্বলিত একটি ডাটাবেজ তৈরি করতে হবে। সেখানে চাকরি প্রত্যাশী সকল তরুণরা তাদের জাতীয় পরিচয় পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও বেতন চাহিদা উল্লেখ করে রেজিস্ট্রেশন করবে। নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে নিয়োগদাতারা এই তরুণদের ডাটাবেজ থেকে কর্মকর্তা নিয়োগ করতে পারবেন। এটি হবে একটি নিয়মিত পদ্ধতি। এ নিয়ে এখন কাজ করছে সিটিজেনস প্লাটফর্ম ফর এসডিজি বাংলাদেশ। এই উদ্দেশ্য সফলে একটি অ্যাপ তৈরি করা যায় কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আমি মনে করি, তরুণদের জন্য বেকার ভাতার বরাদ্দ করার এটিই সময়। এ জন্য বাজেট অনুমোদন এবং প্রাতিষ্ঠানিক নতুনত্ব দরকার। প্রস্তাবিত এই উদ্যোগ সফল করতে তথ্য প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করতে হবে। এখনো দেশের অর্জন সীমিত ও ভঙগুর। আমরা অনেক দেশকে দেখেছি সামাজিক সংঘাত, সন্ত্রাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যাদের অর্জন ধুলায় মিশে গেছে। এরমধ্যে আমাদের এখন মহামারি মোকাবেলা করতে হচ্ছে।
একইভাবে আমরা আমাদের এই বর্তমান অর্জনকে প্রদত্ত হিসেবে নিতে পারি না। এটিকে টেকশই করতে আমাদেরকে লক্ষ্য স্থির করে কার্যকরিভাবে কাজ করে যেতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক এবং কাঠামোগত সংস্কার এখন সময়ের দাবি। এসব ক্ষেত্রে আমাদের করুণ অবস্থা মহামারিতে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। আমাদের মতো গঠনমূলক সমালোচকরা বারবার বলে আসছে, জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ শিক্ষার পেছনে, ১ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে এবং ১ শতাংশ সামাজিক নিরাপত্তার জন্য ব্যয় করে মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে টেকশই হওয়া যাবে না।
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের কোনো সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। এখনই সময় সকলের জন্য পেনশন সুবিধা বাস্তবায়ন করার। মহামারিতে সপষ্ট হয়ে গেছে যে আমাদের নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণী কতখানি অসহায়। মানব উন্নয়নে আরো অর্থ ব্যয় করতে হলে সরকারকে কর আদায় বৃদ্ধি করতে হবে। সরকার এরইমধ্যে দেখেছে কোভিড মোকাবেলার সরঞ্জাম বিতরণে ব্যাংকিং সিস্টেম ও স্থানীয় সরকার কাঠামো কতখানি অকার্যকর।
গত এক দশকে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ছিল বৈষম্য এবং অন্তর্ভুক্তির অভাব। মহামারির কারণে দারিদ্রতার সঙ্গে সঙ্গে বৈষম্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। চর, হাওর ও উপকূলবর্তী পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য নীতি নির্ধারণ এবং ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। একইসঙ্গে, বাংলাদেশের আদিবাসী, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। গিনি সহগে আমাদের স্কোর ০.৪৮ যা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর কাছাকাছি। মধ্যম আয়ের ফাঁদে পরার একটি বড় লক্ষণ এটি।
ভোগ, আয় ও সমপদের বৈষম্য দূর করা কোনো আদর্শিক বিষয় নয়। গরিবের হাতে যত কম টাকা থাকবে তাদের কাছে পণ্য বিক্রিও ততটাই অসম্ভব হয়ে পরবে। আভ্যন্তরীণ বাজারে সার্বিক চাহিদা তৈরির প্রশ্ন এটি। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমন্বয়হীনতার অভাব নিয়ে নীতিনির্ধারকরা ডিনাইয়াল সিনড্রোমে ভুগছেন। প্রায়ই তারা এই প্রবাদ শুনিয়ে যাচ্ছেন যে, উন্নয়নের প্রথম ধাপে বৈষম্য বাড়বে যা সময়ের সঙ্গে কমেও আসবে। কেউ আবার বলছেন, আমাদের গণতন্ত্রের আগে উন্নয়ন প্রয়োজন। এই মানুষগুলোর এসডিজি সমপর্কে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কোনো ধারণা নেই। নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নিয়ে যে গোল ১৬ রয়েছে তা সমপর্কে তাদের জানা উচিৎ। বহুমাত্রিক বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং নাগরিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার মধ্য দিয়েই নিকট ভবিষ্যতে আমাদের উন্নয়ন টেকশই হয়ে উঠবে। আমি বিশ্বাস করি ভবিষ্যতে আমরা ব্যর্থ হব না।
লেখক: অর্থনীতিনীতিবিদ