Published in বাংলাদেশ প্রতিদিন on Wednesday, 25 July 2018
সুশাসন ছাড়া উন্নত দেশ হবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, এলডিসি থেকে বের হয়ে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে হলে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলেও ২০২৪ সাল পর্যন্ত সব সুযোগ পাওয়া যাবে। সুশাসন যদি না থাকে, তাহলে দেশে স্থিতিশীলতা থাকবে না। গতকাল রাজধানীর বসুন্ধরায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশে যেতে হলে বাংলাদেশকে যে পরিমান রপ্তানি ও কারিগরি সুবিধা বাড়াতে হবে এ মুহূর্তে তা খুবই কম আছে। মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আগে যেসব দেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়েছে, সেগুলো খুব ছোট দেশ ছিল। জনসংখ্যা কম ছিল, উৎপাদনের পরিমাণও কম ছিল। বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে এরই মধ্যে বের হয়ে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন এসডিজি বা বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছে। এখন বাংলাদেশ উন্নত দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রপ্তানি খাত নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে একটি মাত্র পণ্যের ওপর ভর করে। সে ক্ষেত্রে এই রপ্তানি খাতের শ্রমের উৎপাদনশীলতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে। এটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ আগে যে রেয়াতি সুদে ঋণ পেত, বৈদেশিক সাহায্য পেত, সেখান থেকে বাংলাদেশ বের হয়ে যাবে। এতে বাংলাদেশকে উচ্চ সুদে ঋণ নিতে হবে। এতে ঋণের বোঝা দেশের সাধারণ মানুষকে বহন করতে হবে। বাংলাদেশ যেসব শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পেত, তা বন্ধ হয়ে যাবে। শুল্ক দিয়ে রপ্তানি করতে হবে। এতে রপ্তানি ব্যয় বেড়ে যাবে। এ কারণে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে। আবহাওয়াজনিত বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হবে।
‘বাংলাদেশের এলডিসি গ্রুপ থেকে উন্নয়ন : সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ঢাকার বিশ্বব্যাংক-প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জি, বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, বোর্ড অব ট্রাস্টি বেনজির আহমেদ প্রমুখ।