Published in যুগান্তর on Sunday, 18 February 2018
সানেম অর্থনীতিবিদ সম্মেলন
পোশাক খাতে নেতৃত্বে নারীরা পিছিয়ে
যুগান্তর রিপোর্ট
বাংলাদেশের পোশাক খাতে অপারেটর পর্যায়ে শ্রমিকদের ৭৩ শতাংশ নারী। এক স্তর ওপরে লাইন চিফ ও সুপারভাইজার পদের কর্মীদের মধ্যে নারীর হার মাত্র ৪ শতাংশ। আÍবিশ্বাসের অভাব ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের আস্থা না থাকায় নারী শ্রমিকরা নেতৃত্বে উঠে আসতে পারছে না। প্রচলিত কিছু সংস্কার ও সামাজিক প্রথা নারীদের প্রায় প্রতিটি পর্যায়ে পিছিয়ে রেখেছে। তাছাড়া সচেতনতার অভাব, মধ্য ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর অনাগ্রহ আর ক্ষমতাসীনদের মর্জির বাইরে কথা বলার সুযোগ না থাকায় আলোচনার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) আয়োজিত বার্ষিক অর্থনীতিবিদ সম্মেলনের সমাপনী দিনের প্রথম অধিবেশনের আলোচনায় এসব বিষয় উঠে এসেছে।
রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে সানেমের তৃতীয় অর্থনীতিবিদ সম্মেলন রোববার শেষ হয়েছে। শেষ দিনে নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণমূলক প্রক্রিয়া সেশনে সভাপতিত্ব করেন ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের (আইজিসি) কান্ট্রিডিরেক্টর ও ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (বিআইজিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. সুলতান হাফিজ রহমান। এ সেশনের দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অতনু রব্বানী, স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সেরেনা কোচিওলো।
উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নাগরিকদের অংশগ্রহণ নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক রওনাক জাহান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম। এ পর্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইজিডির জৈষ্ঠ গবেষক ড. মির্জা এম হাসান।
ড. রওনাক জাহান বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়নমূলক আলোচনায় দরিদ্র নারীদের ভূমিকা এনজিওনির্ভর। এসব এনজিও অর্থায়নের জন্য নির্ভর করে বিদেশি সংস্থার ওপর। এ সহায়তা কত দিন কী পরিমাণে পাওয়া যাবে তার নিশ্চয়তা নেই। টেকসই অর্থায়নের অভাবে এসব কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তৈরি পোশাক শিল্পের ১০০ প্রতিষ্ঠানে সমীক্ষা চালিয়ে ড. অতনু রব্বানীর প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রায় ১২ শতাংশ ভূমিকা রাখছে পোশাক শিল্প। এ শিল্পের হাত ধরে আসছে রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি অর্থ। এ শিল্পে নারী শ্রমিকদের প্রাধান্য থাকলেও নেতৃত্বে তাদের ভূমিকা সামান্য।