Published in সমকাল on Sunday, 8 October 2017
বাংলাদেশের নতুন সক্ষমতা ও ঋণের বিকল্প উৎস
সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ
ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম
উম্নয়নশীল কিংবা স্বল্পোম্নত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে। চুলচেরা বিশ্নেষণে মোট দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের কতটা ওপরে কিংবা কিছুটা নিচে- সেটা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশ একটি বিকাশমান অর্থনীতির দেশ- সেটা নিয়ে দেশ-বিদেশে সংশয় কম। সঙ্গত কারণেই আমাদের অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের চাহিদা বাড়ছে। অন্যথায় প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা যাবে না। একই সঙ্গে এটাও বলা যায়, নতুন নতুন অবকাঠামো প্রবৃদ্ধির উচ্চহার বজায় রাখায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। শুধু তাই নয়; এ ধরনের সুবিধা প্রবৃদ্ধির হার আরও একটু বাড়িয়ে নেওয়ার সহায়ক।
অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য দেশীয় সূত্রের অর্থ ব্যবহার করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর মতো সুবৃহৎ প্রকল্প এখন দেশের রাজস্ব আয় থেকে পাওয়া অর্থ নিয়েই নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বাস্তবতা এই যে, যোগাযোগ, জ্বালানি প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ খাতের অবকাঠামো নির্মাণে বিভিম্ন দেশ ও বহুপক্ষীয় সংস্থার আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন। এসব খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ বহু বছর বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উম্নয়ন ব্যাংকের মতো উৎসের ওপর নির্ভর করেছে। জাপানসহ আরও কয়েকটি দেশ থেকেও মিলেছে ঋণ। এসব ঋণের সুদের হার কম। পরিশোধের মেয়াদ দীর্ঘ। আমরা এসব উৎসকে সনাতনী উৎস হিসেবে অভিহিত করতে পারি।
তবে নতুন বাস্তবতা হচ্ছে, একদিকে আমাদের বড় বড় অবকাঠামোর চাহিদা বাড়ছে, পাশাপাশি সনাতনী উৎসের বাইরে উম্নয়নশীল বিশ্বেই নতুন নতুন দেশের কাছ থেকে ঋণপ্রাপ্তির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এই বিকল্প উৎস আমরা এখন কাজে লাগাতে পারি। ভারত, চীন ও রাশিয়ার ঋণের প্রস্তাবকে এ দৃষ্টিতেই দেখতে হবে। এসব দেশের অর্থনীতি নতুন শক্তি সঞ্চয় করেছে। ফলে স্বল্পোম্নত দেশগুলোর পাশে তারা ঋণ নিয়ে এগিয়ে আসছে। এটা তাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার প্রমাণ।
উম্নয়নশীল ও স্বল্পোম্নত দেশগুলোতে ঋণদানের জন্য প্রায় সাত দশক ধরে কাজ করছে বিশ্বব্যাংক। এশীয় উম্নয়ন ব্যাংক থেকেও এ অঞ্চলের দেশগুলোর ঋণ মেলে। এসব সংস্থার তহবিলের জোগান আসে প্রধানত উম্নত দেশগুলো থেকে। এ কারণে পরিচালনার ক্ষেত্রেও তাদের প্রভাব থাকে। যেমন, বিশ্বব্যাংকের প্রধান কে হবেন, সেটা ঠিক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সাম্প্রতিক সময়ে এআইআইবি ও ব্রিক্স নামে দুটি ব্যাংকের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। প্রথমটির পেছনে মূল শক্তি চীন ও ভারত; দ্বিতীয়টি গঠিত হয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্যোগে। এ দুটি প্রতিষ্ঠান সফলভাবে কাজ করলে বিশ্বব্যাংক ও এশীয় ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কিছুটা হলেও বদলে যেতে পারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর জন্য এর ফলে বিকল্প উৎস তৈরি হয়েছে। ঋণের শর্ত নিয়ে তারা দর কষাকষি করতে পারবে।
ঋণদাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর কাছে বাংলাদেশ এখন দুটি কারণে আকর্ষণীয়। এক. বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উম্নয়ন ঘটছে; ঋণ প্রদানের মতো অনেক খাত রয়েছে এবং বড় অঙ্কের অর্থ দেশটি কাজে লাগাতে পারে। দুই. বাংলাদেশের ঋণ ও সুদ পরিশোধের ভালো ট্রাক রেকর্ড। সাড়ে চার দশকের ইতিহাসে এ দেশটি কোনো দেশ কিংবা বহুপক্ষীয় সংস্থার ঋণের কিস্তি বা সুদ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও মুনাফা প্রত্যাহারে কখনও সমস্যায় পড়েনি। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সন্তোষজনক। ঋণদাতারা এসব বিবেচনায় নেয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বড় অঙ্কের ঋণ চুক্তি সই করেছে চীন, রাশিয়া, জাপান ও ভারত। এসব দেশের অর্থনীতি এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। কয়েকটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকেও বাংলাদেশের ঋণপ্রাপ্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তারা বাংলাদেশ সরকারের বন্ড আন্তর্জাতিক বাজারে ছাড়তেও আগ্রহ দেখাচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে তিনটি চুক্তি সই হয়েছে। সর্বশেষ সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, তারা বাংলাদেশকে দেবে সাড়ে চারশ’ কোটি ডলার, বাংলাদেশের মুদ্রায় যা প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা। ভারত এ পর্যন্ত কোনো দেশকে এত বড় অঙ্কের ঋণ প্রদানের জন্য চুক্তি সই করেনি। এ চুক্তি সম্পাদনের জন্য ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি ঢাকায় এসেছিলেন। এ ঋণ চুক্তিতে নতুন কিছু অবকাঠামো যুক্ত হয়েছে, সনাতনী উৎসগুলো যেখানে অনাগ্রহ দেখায়। রেল খাতে ভারতের ঋণ আগেও ছিল। এর আওতা ক্রমশ বাড়ছে। দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে এ ধরনের প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ। তারা দেশের নদ-নদী ও আন্তর্জাতিক নৌপথের উম্নয়নেও ঋণ প্রদান করছে। চট্টগ্রামে ড্রাইডক এবং পায়রা ও মংলা বন্দরের উম্নয়ন, বুড়িগঙ্গা নদীর সংস্কার, বিভিম্ন নদ-নদীর ড্রেজিং- এসব ক্ষেত্রও চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর বাইরে আছে মানবসম্পদ উম্নয়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি। বলা যায়, ভৌত অবকাঠামোর বাইরে এখন সফ্ট অবকাঠামো খাতেও বিদেশি ঋণ মিলছে।
ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত ঋণ চুক্তিতে সুদের হার তুলনামূলক বেশি। বিশ্বব্যাংক যেখানে ০.৭৫ শতাংশ সুদে ঋণ দেয়, সেখানে ভারতের ঋণের জন্য ১ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে। সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে না পারলে ০.৫০ শতাংশ হারে বাড়তি সুদ প্রদানের গ্যারান্টি ধারাও যুক্ত হয়েছে। বিশ্বব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য ৪০ বছর সময় দেয়। গ্রেস পিরিয়ড মেলে ১০ বছর। ভারতের ক্ষেত্রে এ সময় ২০ ও ৫ বছর। ঋণের অর্থে কেনা পণ্যের বেশিরভাগ ভারত থেকে কিনতে হবে। এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক দর নির্ধারণ। ভারত থেকে যে দামে রেলগাড়ির ওয়াগন বা ইঞ্জিন কেনা হবে, তার চেয়ে কম দামে অন্য দেশ থেকে একই মানের পণ্য মিললে প্রশ্ন উঠবেই। এই ঋণের ব্যবহার বিষয়ে একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে দুই দেশ। আমরা আশা করব, ভারত থেকে কেনা পণ্যের দামসহ অন্য যেসব প্রশ্ন উঠবে, তা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপে নেবে এ কমিটি।
ভারত ছাড়াও চীন ও রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ বিভিম্ন প্রকল্পে বড় অঙ্কের ঋণ গ্রহণ করছে। এ ক্ষেত্রেও প্রতিযোগিতামূলক দরের প্রশ্নটি জড়িত। ঋণদাতা দেশ তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ দেখবে- সেটাই স্বাভাবিক। একইভাবে ঋণ গ্রহীতা দেশকেও ভাবতে হবে, ঋণ যেন বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়। আমাদের সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হলে সেটা যেন সমৃদ্ধিতে অবদান রাখে, অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের প্রসার ঘটায়, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোকের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে- এসব গুরুত্বপূর্ণ। ঋণের সঙ্গে লিখিত শর্ত থাকে। এর কিছুটা প্রকাশ পায়। একই সঙ্গে জনমনে এমন ধারণা রয়েছে, ঋণের সব শর্ত সরকার প্রকাশ করে না। এটা সব ঋণদাতা দেশ ও সংস্থার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা এ নিয়ে কাজ করতে পারেন। বাংলাদেশ প্রচলিত উৎসের ঋণের বাইরে চীন, রাশিয়া ও ভারত থেকে বড় অঙ্কের অর্থ ঋণ হিসেবে পাচ্ছে- এটা ভালো দিক। ঋণের উৎস একাধিক হলে দর কষাকষির সুযোগ থাকে। একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, প্রতিটি ঋণ চুক্তিতে যেন স্বচ্ছতা থাকে। ঋণ গ্রহণ করছে সরকার। কিন্তু তার দায়ভার বহন করতে হয় জনগণকে। সঙ্গত কারণেই জনগণের প্রত্যাশা থাকে তাদের অর্থ কীভাবে ব্যয় হচ্ছে, সেটা সময়মতো জানার।
ভারতের কাছ থেকে প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ মিলছে। এটা অর্থনীতির জন্য সুখবর। ঋণের অর্থ নির্ধারিত সময়ে ছাড় হবে, এটাই কাম্য। এর আগে দেওয়া ৩০০ কোটি ডলারের লাইন অব ক্রেডিটের সিংহভাগ এখনও অব্যবহূত- সেটা মনে রেখে পদক্ষেপ নেওয়া চাই। আমাদের প্রতিবেশী এ দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বহুমুখী। তবে উদ্বেগের বিষয় বাণিজ্য ঘাটতি। বছরে এ ঘাটতির পরিমাণ ৫৫০ কোটি ডলারের মতো। পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতির পাশাপাশি রয়েছে সেবা খাতে অদৃশ্য বাণিজ্য, যার সুফল ভারতই বেশি ভোগ করে। প্রতি বছর প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশি পর্যটন, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিম্ন প্রয়োজনে ভারতে যায়। তারা সেখানে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভারতীয় বিভিম্ন প্রকল্প ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। তাদের সবাই বৈধ অনুমতি গ্রহণ করে- সেটা বলা যায় না। তারা কাজের জন্য যে পারিশ্রমিক পায়, তা দেশে পাঠায়। কেউ পাঠায় ব্যাংকিং চ্যানেলে, কেউ বা অননুমোদিত চ্যানেলে। আরও আছে অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য। ভারত থেকে নানা পথে প্রচুর পণ্য বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত প্রবেশ করে। এ জন্য বাংলাদেশ সরকার কোনো শুল্ক্ক-কর পায় না। আমদানি বাণিজ্যের হিসাবেও এ অর্থ যুক্ত হয় না। কিন্তু ভারতের উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যমূল্য ঠিকই পেয়ে যায়। ভারতের রফতানি আয়ের তালিকায় এ ধরনের বাণিজ্য থেকে প্রাপ্ত অর্থও যুক্ত হওয়া উচিত।
এটা ঠিক যে, ভারতের সঙ্গে যে বিপুল বাণিজ্য ঘাটতি, সেটা আমাদের দেশে উৎপাদিত পণ্য সরবরাহ করে পূরণ করা যাবে না। বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্য খুব বেশি নয়। তবে এর মধ্যেও ভারতে আমাদের রফতানি বাড়ানো সম্ভব। দেখা গেছে, ভারত বিশ্ববাজার থেকে এমন সব পণ্য কেনে, যা বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক দামে সেখানে রফতানি করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে আমরা প্লাস্টিক পণ্যের কথা বলতে পারি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ভারত ১ হাজার ১৬০ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য আমদানি করেছে। বাংলাদেশ এ পণ্যের জোগান দিতে পারে। ভারতীয় উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের শিল্প খাতে বিনিয়োগ করে উৎপাদিত পণ্যও নিজ দেশে রফতানি করতে পারেন। শ্রীলংকায় ভারতীয়রা রাবার শিল্পে বিনিয়োগ করেছে। সেখানে উৎপাদিত টায়ার কিনে নিচ্ছে ভারত। বাংলাদেশ ভারত ও অন্যান্য দেশের কাছে এ ধরনের বিনিয়োগ চায়। ভারতের জন্য বাংলাদেশে বিশেষ রফতানি জোন বরাদ্দ রয়েছে। সেখানে কী ধরনের শিল্প স্থাপিত হবে, সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় পারস্পরিক পণ্য ও সেবা চাহিদা অবশ্যই বিবেচনায় থাকা চাই। একইভাবে ভারতেও বাংলাদেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হতে হবে।
আঞ্চলিকভাবেও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। ভারত ও বাংলাদেশ একাধিক আঞ্চলিক জোটের সদস্য। এ অঞ্চলের কয়েকটি দেশের সঙ্গে মোটরযান চলাচলের চুক্তি রয়েছে। কিন্তু এসব বিষয়ে বাস্তব অগ্রগতি কম। বড় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে ভারতকেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।
ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য প্রবেশে অশুল্ক্ক বাধা বহুল আলোচিত। আমাদের পাটের ওপর তারা অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক্ক আরোপ করেছে। এর ফলে পণ্যের রফতানি নিরুৎসাহিত হচ্ছে। এ ধরনের নেতিবাচক পদক্ষেপ কেবল অর্থনৈতিক সম্পর্কে বিরূপ প্রভাবই ফেলে না, রাজনৈতিক সম্পর্ক উম্নয়নের পথেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আমরা ভারতের সঙ্গে বহুপক্ষীয় সম্পর্ক চাই এবং তা যেন শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়ায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের এমনভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, যা উভয়ের জন্য উইন উইন হবে। এ ধরনের উদ্যোগ ব্যবহার করে বাংলাদেশ অন্য দেশ থেকেও বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করতে পারে, সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষণা পরিচালক. সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)