সরকারের রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় ভর্তুকি মেটাতে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে: ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম

Published in ভোরের কাগজ on Saturday 29 February 2020

গোলাম মোয়াজ্জেম : দুর্ভোগে পড়বে নিম্ন আয়ের মানুষ

করোনা ভাইরাসসহ আমদানি-রপ্তানির গতি নিম্নমুখী একটি ধারা অব্যাহত রয়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নিম্নমুখী চাপ রয়েছে। এমন একটি সময় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো, যখন মূল্যস্ফীতির একটা প্রভাব বিরাজমান। আর বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়বে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর। তবে আশার বিষয় হলো, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন স্তর নির্ধারণ করা হয়েছে, যা ইতিবাচক। গতকাল শুক্রবার ভোরের কাগজের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন।

গোলাম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সরকারের রাজস্ব আদায় কম হওয়ায় ভর্তুকি মেটাতে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। যদিও জাতীয় বাজেটে এই বিষয়ের কোনো ইঙ্গিত ছিল না। গত জুলাইয়ে সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের ওপর খরচের চাপ বাড়বে। সরকার ভর্তুকি মেটাতে দাম বাড়ালেও বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট খরচের দুটি বড় বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়নি। এর মধ্যে ব্যয়বহুল কুইক রেন্টাল অবসায়নের পাশাপাশি ক্যাপাসিটি চার্জের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন।

সিপিডির এই গবেষণা পরিচালক বলেন, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে আয়ের ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে। ভর্তুকি মেটাতে বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার একটা তাগিদ সরকারের মধ্যে ছিল। তবে সরকারের উচিত সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ উৎপাদনে মনোযোগ দেয়া।