নতুন চাকরি তো নেই, যারা ছিল, তাদের ছাঁটাই করা হচ্ছে: ফাহমিদা খাতুন

Published in দৈনিক সংগ্রাম on Friday 3 July 2020

বিশ্ব অর্থনীতি টালমাটাল
চাকরির বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থীরা

মহামারি করোনা ভাইরাসে বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতিতে চাকরির বাজার নিয়ে দুশ্চিন্তায় শিক্ষার্থীরা। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে বিপর্যস্ত গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে ইতোমধ্যে বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। দীর্ঘদিন অচলাবস্থা চলার পর কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বিশ্ব। অনেক দেশে করোনা  সংক্রমণের হার কমতে শুরু করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিশ্বে ফের আসছে করোনা ভাইরাসের আরও একটি প্রবাহ। এতে ফের বন্ধ হবে উৎপাদন, আমদানি, রফতানি। তলানিতে ঠেকবে চাহিদাও। কাজ হারিয়ে ফের ঘরে ফিরতে হবে লক্ষ-লক্ষ শ্রমিককে। যা বিশ্বের অর্থনীতির ওপর তীব্র প্রভাব ফেলতে পারে। এদিকে মহামারির কারণে গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও সবকিছুই আটকে আছে। কোন সার্কুলার নাই, কোন চাকরির পরীক্ষা নেই। এই মহামারি কবে শেষ হবে, কবে আবার চাকরির প্রক্রিয়া শুরু হবে তা কেউ জানে না। যারা বেকার আছে, চাকরির খুব প্রয়োজন, তাদের জীবনটা এই মহামারির কারণে একটা অনিশ্চয়তার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। কোন কাজ নেই, যতদিন যাচ্ছে পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের মলিন চেহারা সেই হতাশা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বলছে, করোনার দ্বিতীয় প্রবাহের জেরে বিশ্বজুড়ে ৩৪০ মিলিয়ন বা ৩৪ কোটি মানুষ কাজ হারাতে পারেন। আর দারিদ্র্য সীমার নিচে চলে যেতে পারেন শুধু ভারতেরই ৪০ মিলিয়ন মানুষ। তাদের আশঙ্কা, ২০০৮-২০০৯ সালের আর্থিক সংকটের চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে। গত বছর ডিসেম্বরে আড়াই কোটি মানুষের নতুন করে বেকার হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএলও। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় সেই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে বিশ্ব শ্রম সংস্থাটি। তারা বলছে, করোনা র তা-বে শুধু ২০২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে সারা বিশ্বে ৬.৭ শতাংশ কাজের সময় নষ্ট হবে। তবে এই আশঙ্কার মধ্যেও ভারতে বেকারত্ব হার নিয়ে ইতিবাচক রিপোর্ট দিয়েছে সিএমআইই। করোনা  পরিস্থিতিতে ভারতে বেকারত্বের হার ছুঁয়ে গিয়েছিল ২৬ শতাংশে। লকডাউন শিথিলের আগে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ১৭.৫ শতাংশ। এরপর লকডাউন শিথিল হতে সেই হার নেমে আসে ১১.৬ শতাংশে। আর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী দেশটিতে বেকারত্বের হার নেমে এসেছে ১০.৯৯ শতাংশে।

সিকিউরিটিজ রিসার্চ ফার্ম নমুরা। নমুরা জরিপ করেছে বিশ্বের ৪৫টি বড় অর্থনীতির ওপর। লকডাউন তোলার ফলে করোনা  আক্রান্ত কতটা হারে বাড়ছে, তার উপরেই সমীক্ষাটি চালানো হয়। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ বা সেকেন্ড ওয়েভের ঝুঁকি প্রবল। ১৫টি দেশের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝুঁকি প্রবল। এই সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ভারতও। ভারতের সঙ্গে নি¤œবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত আয়ের জনসংখ্যার দেশগুলোর মধ্যে এই জোনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, চিলি, পাকিস্তানের মতো দেশগুলো। এই গোষ্ঠীতে উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সুইডেন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কানাডা। অন ট্র্যাক বা ঝুঁকি প্রায় নেই, এমন গোষ্ঠীতে রয়েছে- ফ্রান্স, ইতালি ও দক্ষিণ কোরিয়া। জার্মানি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলো ঝুঁকিপ্রবণ গোষ্ঠীতে রয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ তরুণ-তরুণী চাকরির বাজারে যোগদান করে। এদের বড় একটি সংখ্যা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শেষ করে সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এমনিতেই দেশে বেকারত্বের হার অনেক। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সেই সংকট আরো বেড়েছে।

বাংলাদেশে বেকার: পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ ২০১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। এর মধ্যে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ নারী-পুরুষ আর ২৭ লাখ বেকার। আর সম্ভাবনাময় কিন্তু সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পান না এরকম ব্যক্তি (লেবার আন্ডার ইউটিলাইজেশন), যাদের ছদ্ম-বেকার বর্ণনা করা হয়, এরকম মানুষ রয়েছেন প্রায় ৬৬ লাখ। এরা চাহিদা মাফিক কাজ না পেয়ে টিউশনি, রাইড শেয়ারিং, বিক্রয় কর্মী ইত্যাদি খ-কালীন কাজ করেন। দেশে বেকারত্বের হার ৪.২ শতাংশ হলেও যুব বেকারত্বের হার ১১.৬ শতাংশ। করোনা ভাইরাসের কারণে তা কয়েকগুণে বেড়ে গেছে।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাস সংকটে বিশ্বে প্রতি ছয়জনের একজন বেকার হয়েছে আর বাংলাদেশের প্রতি চারজন যুবকের মধ্যে একজন কর্মহীন বা বেকার রয়েছে (২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ)। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই বেকারত্ব বাড়ছে। আইএলও বলছে, মহামারিতে শিক্ষার্থীরা তিনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে বেকার, সেই সঙ্গে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণও ব্যাহত হচ্ছে তাদের। এতে তাদের চাকরিতে প্রবেশ ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। আইএলও-র সংজ্ঞা অনুযায়ী, সপ্তাহে একদিন বা এক ঘণ্টা কাজের সুযোগ না পেলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়। সেই হিসাবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সংখ্যা বাস্তবে অনেক বেশি।

চাকরির বিজ্ঞাপন কমে গেছে : করোনা ভাইরাসের কারণে তৈরি হওয়া মন্দায় ব্যাংকিং, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান কর্মীদের বেতন কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান খরচ কমাতে কর্মী ছাঁটাই করছে। আর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই নতুন কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। চাকরি সংক্রান্ত একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী একেএম ফাহিম মাশরুর জানান, ফেব্রুয়ারির পর থেকে চাকরির বিজ্ঞাপন অনেক কমে গেছে। যেসব চাকরির বিজ্ঞাপন আসছে, সেখানে অভিজ্ঞ লোক চাওয়া হচ্ছে, ফ্রেশ গ্রাজুয়েটদের চাহিদা অনেক কমে গেছে। এদিকে দেশের ব্যাংক, বহুজাতিক বা বড় কোম্পানিগুলো গত কয়েকমাস ধরে ব্যবসা না হওয়ায় কর্মী ছাঁটাই বা বর্তমান কর্মীদের বেতন কমিয়ে দিচ্ছে। ব্যাংকগুলো বলছে, আগে থেকেই খেলাপি ঋণের চাপ, তারল্য সংকট, তার ওপর ব্যবসা বাণিজ্যের অবনতির কারণে করোনা ভাইরাসের এই প্রাদুর্ভাবে তাদের ব্যবসা খাদের কিনারে। ব্যয় কমানো ছাড়া তাদের সামনে কোনো বিকল্প নেই। বেতন না কমালে ছাঁটাই করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় প্রতিষ্ঠানগুলো হয়তো লোক ছাঁটাই করছে না, কিন্তু ছোট বা মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু অনেক কর্মী ছাঁটাই করছে। এখন ডেভেলপমেন্ট সেক্টর, এনজিও বা ই-কমার্স কোম্পানি ছাড়া আর কেউ এখন কর্মী নিয়োগ করছে না। করোনা ভাইরাসের ক্ষতি তো সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপরেই পড়েছে। আগের তুলনায় ব্যবসা অনেক কমে গেছে।

জানতে চাইলে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, যেহেতু আমাদের ব্যবসাটা আগের তুলনায় অনেক কমে আসছে, তাই নতুন করে কর্মী নিয়োগ আপাতত আগের মতো আর হচ্ছে না। বরং কাউকে কাউকে অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে। কর্মী নিতে হলে, বেতনভাতা দিতে হলে সেজন্য তো ব্যবসা করতে হবে, আয় করতে হবে। অর্থনৈতিক অবস্থা যদি ঠিক না হয়, ব্যবসা যদি ভালো না হয়, তাহলে তো আর কোন প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই নতুন করে কর্মী নেয়া সম্ভব হয় না। একাধিক প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অত্যন্ত জরুরি না হলে তাদের প্রতিষ্ঠানে আপাতত কয়েকমাস কোন রকম নিয়োগ কার্যক্রম না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে শীর্ষ পর্যায় থেকে।

সরকারের প্রতিবছর অনেকগুলো সার্কুলার থাকে। এই বছর ছয়মাস হয়ে গেল, সরকারি কিন্তু কোন নিয়োগ নেই। আবার বেসরকারি খাতে পুরোটাই বন্ধ আছে। যারা চালু আছে, তারাও সীমিত লোক নিয়ে কাজ করছে। ফলে নতুন করে লোকবল নিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পড়াশোনা শেষ করেছেন, এরকম তরুণ-তরুণীরা তাদের কর্মজীবন শুরু করা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন। দীর্ঘায়িত হতে পারে বেকারত্বের সংকট। করোনা ভাইরাস মহামারি কবে শেষ হবে, তা এখনো সুনির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, মহামারির কারণে আর্থিক মন্দা বহাল থাকবে আরো কিছুদিন। যার প্রভাব ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি পড়বে চাকরির বাজারেও।

আইএলও-র একটি প্রতিবেদনে বলছে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে এসে আগামী তিন মাসের মধ্যে সাড়ে ১৯ কোটি মানুষ তাদের পূর্ণকালীন চাকরি হারাতে যাচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের পূর্ণ বা খণ্ডকালীন মোট কর্মশক্তির প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনের পেশা কোন না কোনভাবে কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই ক্ষতির শিকার বড় একটি অংশ তরুণ-তরুণীরা। আইএলওর মহাপরিচালক গাই রাইডার বলেছেন, জরুরিভিত্তিতে তরুণদের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু করা না গেলে এই ক্ষতির জের টানতে হতে পারে পরবর্তী কয়েক দশক ধরে।

এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) প্রধান নির্বাহী ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, নতুন চাকরি তো নেই, যারা ছিল, তাদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। তার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ছে তরুণদের ওপর। যতদিন পর্যন্ত অর্থনীতি ঠিক না হবে, ততদিন তাদের সবার শ্রমবাজারে প্রবেশ করাটা কঠিন হবে। এমনকি করোনা  পরবর্তী সময়েও যেসব কাজের সৃষ্টি হবে, সেগুলোর ধরণ কিন্তু অন্যরকম হবে। এখন যেমন বেশিরভাগ কাজকর্ম ঘরে বসে হচ্ছে। ফলে ডিজিটাল বা আইটিবেজড কাজ বেশি হবে। ফলে আগের গতানুগতিক শিক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়া যাবে না। বাজার উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষন, সেই সঙ্গে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার দরকার হবে। যুবকদের এই সমস্যা ও সংকটের ব্যাপারে এখনি গুরুত্ব দেয়া উচিত।

এ ছাড়া দীর্ঘদিন শ্রমবাজারের বাইরে অনেকদিন থাকলে তাদের মধ্যে হতাশার জন্ম নেবে, সামাজিক একটা প্রভাব তৈরি করবে। এর ফলে যে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে, তাই নয়, এর ফলে সমাজের ওপরেও সামগ্রিকভাবে একটা প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা গত কয়েক বছরের মধ্যে পড়াশোনা শেষ করেছেন, নতুন চাকরির চেষ্টা করছেন, তাদের উচিত হবে শুধুমাত্র কাঙ্খিত চাকরির জন্য বসে না থেকে যা পাওয়া যায়, সেটা দিয়েই কর্মজীবন শুরু করা। নতুন গ্র্যাজুয়েটদের প্রচলিত শিক্ষার ওপর নির্ভর করে না থেকে তাদের কোয়ালিটি বৃদ্ধি করতে হবে। বেকার থাকার চেয়ে বেগার খাটা ভালো। এই দুঃসময়ে বসে না থেকে, যা পান, তাই নিয়ে শুরু করে দিন, অভিজ্ঞতা হোক। পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অন্য চাকরির জন্য চেষ্টা করতে পারেন।

‘কোভিড-১৯ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক: ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড রেসপন্সেস’ কিরোনা মের প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) জানিয়েছে, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে পরিস্থিতি সামলাতে হবে। মূলত তিনটি বিষয়ে নজর দিতে হবে সব কর্মীকে আর্থিক নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া, কর্মক্ষেত্র, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানগুলোকে সাহায্য, চাকরি ও আয়ের উপায়কে সামাল দেওয়া। আইএলও জানায়, সরকারকেই নিরাপত্তা দিতে হবে। নতুন কাজ তৈরি করতে হবে, সবেতন ছুটি দিতে হবে, অন্যান্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করতে হবে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বড়-মাঝারি-ছোট সংস্থাগুলোকে করছাড় দেওয়ার কথাও ভাবতে হবে।