Originally posted in দৈনিক জনকন্ঠ on 9 June 2022
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেছেন, এবারের বাজেট আসছে ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের প্রেক্ষিতে তাই সবকিছুর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বাজেট পেশ করা হবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি। ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে মূল্যস্ফীতির চাপ, অন্যদিকে কোভিড থেকে আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে, তাই বিনিয়োগে আরও চাঞ্চল্য প্রয়োজন। এছাড়াও বাজেটে সরকার যে ভর্তুকি নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের জোগান রাখা, যাতে ভর্তুকির চাপ ভোক্তা ও উদ্যোক্তার ওপর কম পড়ে। কোভিডের পরে মানুষের ওপর বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তাই সামাজিক সুরক্ষা খাতে যথেষ্ট পরিমাণে বরাদ্দ রাখা। যাতে প্রান্তিক ও নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পায়। বাজেটে শুল্ক ও অন্যান্য যেসব প্রস্তাব থাকবে সেগুলো যেন এমনভাবে করা হয় যাতে ভোক্তা ও উদ্যোক্তার স্বার্থ বজায় থাকে। যেভাবে ভোজ্য তেলে শুল্ক সমন্বয় করা হয়েছিল সেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক নির্ধারণ করলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কমবে। আবার নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, বাজারে জিনিসপত্রের দামও অনেক, এজন্য করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ থেকে আরও ১ লাখ বাড়ালে ভাল হয়। কর্পোরেট ট্যাক্স পূর্বের ন্যায় অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। সর্বোপরি বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে এক ধরনের অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে তাই রফতানিমুখী শিল্প এবং রেমিটেন্স যাতে ঠিকভাবে আসে এবং আমাদের সম্পদ যেন বিদেশে না যায়, সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক যেসব সক্ষমতা প্রয়োজন সেসব খাতে বিনিয়োগ করা দরকার। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদায় একটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে এজন্য উন্নয়ন বাজেটে বিলাসবহুল পণ্যের ওপরে রেগুলেটরি ডিউটি (নিয়ন্ত্রণ শুল্ক) বাড়িয়ে আমদানি অনুৎসাহিত করা। অন্যদিকে বৈদেশিক আমদানি নির্ভর নতুন প্রকল্প না নিয়ে সমাপ্ত প্রকল্প অথবা চলমান প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেয়া। তাই প্রজেক্ট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সর্বোপরি, আমাদের যে রেভিনিউ বাজেট সেখানে বেশি অর্থায়ন করে ভর্তুকি, সামাজিক সুরক্ষা এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতের মতো খাতগুলোতে যাতে করে বরাদ্দ বেশি দেয়া যায় সেই সঙ্কুুলান করা।