বাংলাদেশের কৃষি খাতের অর্জিত ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে কৃষি বাজেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার মধ্যে দিয়ে, ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। করোনা মহামারী এবং চলমান বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও বাংলাদেশের কৃষি খাতের সাফল্য চলমান রয়েছে। ধারাবাহিক এই সাফল্যের ফলস্বরূপ বাংলাদেশ বিশ্বে আজ সর্বোচ্চ ইলিশ উৎপাদনকারী, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাছ ও পাট উৎপাদনকারী, তৃতীয় সর্বোচ্চ চাল, সবজি এবং পেঁয়াজ উৎপাদনকারী, চতুর্থ সর্বোচ্চ চা এবং ছাগল উৎপাদনকারী এবং সপ্তম সর্বোচ্চ আলু, আম এবং ছাগলের মাংস উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে স্বীকৃত।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে কৃষিখাতে ৪৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছে, যা মোট বাজেটের ৫.৭ শতাংশ। বরাবরের ন্যায়, এবারের বাজেটেও কৃষকদের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে সার, বীজ ও অন্যান্য উপকরণ ও সেচ সুবিধা প্রদানে ভর্তুকির জন্য অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার হিসেবে প্রস্তাবিত বাজেটে এই বরাদ্দের পরিমাণ ১৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।
আসন্ন অর্থবছরে কৃষিকেন্দ্রিক বেশ কিছু চলমান প্রকল্প এর পাশাপাশি নতুন প্রকল্প শুরু করার প্রস্তাবনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এ বছর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে কৃষিখাতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা। বার্ষিক এই উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো মূলত কৃষি খাতে উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পতিত জমির আবাদ ও কৃষিপণ্য বহুমুখীকরণ, কৃষকদের প্রণোদনা ও পুনর্বাসন, কৃষিপণ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানি, কৃষি গবেষণা ও উদ্ভাবন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা, স্মার্ট কৃষি খাতের বাস্তবায়ন, খাদ্য সংরক্ষণ ও বিতরণ, দেশীয় মাছের প্রজাতি সংরক্ষণ, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত উন্নয়ন ও আধুনিকায়নসহ ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রকাশকাল: জুন ২০২৩