জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ সারসংক্ষেপ: শিক্ষা

    উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বাজেটে শিক্ষা খাতে অগ্রাধিকারের বিকল্প নেই। বাংলাদেশ সরকার “সকল স্তরে শিক্ষার মান বৃদ্ধি” অভিলক্ষকে সামনে রেখে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনয়নে কাজ করে যাচ্ছে। একটি বিজ্ঞানভিত্তিক, প্রযুক্তি নির্ভর, দক্ষতাবর্ধক, উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতা সহায়ক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নে বর্তমানে বিভিন্নমুখী নীতি ও কার্যক্রম গ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

    ইতোমধ্যেই ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে ৩৫১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৩৭১টি কলেজ জাতীয়করণ, সরকারি বিদ্যালয়বিহীন ৩১৫টি উপজেলা সদরে অবস্থিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মডেল স্কুলে রূপান্তরণ, জেলা সদরে অবস্থিত সরকারি পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজে ১৮০টি ভবন নির্মাণ করা সহ নানামুখী উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায়, সরকারের নেওয়া চলমান উদ্যোগগুলো রূপকল্প ২০৪১ এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার চতুর্থ লক্ষ্য, ‘সবার জন্য মান সম্মত শিক্ষা’ অর্জনে সহায়ক হবে।

    চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ ছিল ৭০ হাজার ৫০৭ কোটি, যা মোট সংশোধিত বাজেটের ১০.৭ শতাংশ। আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রণীত বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাবনা করা হয়েছে, যা প্রস্তাবিত মোট বাজেটের ১১.৬ শতাংশ। উক্ত বরাদ্দ নির্ধারিত রয়েছে শিক্ষাখাতে অন্তর্ভুক্ত তিনটি মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের জন্য- (ক) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, (খ) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, এবং (গ) কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।

    আসন্ন অর্থবছরে শিক্ষা খাতে বেশ কিছু প্রকল্প চলমান এবং নতুন প্রকল্প শুরু করার প্রস্তাবনা রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে শিক্ষা খাতের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ২৮ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। শিক্ষা খাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে – দক্ষতা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান, নারী শিক্ষার্থীদের বিশেষ সহায়তা প্রদান, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও স্থাপিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সমূহের অবকাঠামো উন্নয়ন, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্যে আর্থিক সহায়তা প্রদান, শিক্ষার্থীদের পুষ্টি, মানসিক ও প্রজনন স্বাস্থ্য, শারীরিক শিক্ষা ও সেবা প্রদান, শিক্ষকদের কার্যকরি প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা স্মার্ট ও ডিজিটালাইজেশনকরণ, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সজ্জিত করার মাধ্যমে আনন্দঘনকরণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি ইত্যাদি।

    প্রকাশকাল: জুন ২০২৩

    Download Presentation