জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ সারসংক্ষেপ: স্বাস্থ্য

    দেশের জাতীয় পরিকল্পনা, নীতি এবং কৌশলপত্র অনুযায়ী জনস্বাস্থ্য বর্তমান সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকার খাত। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় এবং কোভিড ১৯ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ ও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। গত দেড় দশকে স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। মাতৃমৃত্যু হার ২০০৭ সালের প্রতি লক্ষে ৩৫১ থেকে হ্রাস পেয়ে ১৩৬ হয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যু হার ২০০৭ সালের প্রতি হাজারে ৬০ থেকে বর্তমানে ৩৩-এ নেমে এসেছে। নবজাতকের মৃত্যু হার ২০০৭ সালের প্রতি হাজারে ২৯ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০ হয়েছে। প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল ২০০৭ এর ৬৬.৬ বছর থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৭২.৩ বছরে উন্নীত হয়েছে (২০২৪)।

    স্বাস্থ্য খাতের সকল অর্জনের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ২০২৩ সালে ১০ হাজার ৫০০ জন চিকিৎসক, ১৫ হাজার নার্স, ১ হাজার মিডওয়াইফ, এবং ৬৫০ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। সারাদেশে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার ৩১১ টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া, ২৪টি বিশেষায়িত হাসপাতাল, ১৫ টি জেলা হাসপাতাল এবং ৫৭টি উপজেলা হাসপাতালসহ ৯৬টি হাসপাতালে উন্নতমানের টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বাতায়ন নামে একটি হেলথ কল সেন্টার (১৬,২৬৩) চালু রয়েছে। ৪২৩টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র নির্মান এবং ১০৪টি কেন্দ্র পুননির্মাণ করা হয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০ শয্যাবিশিষ্ট ১৫৯টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং উক্ত সেবা কেন্দ্রে সেবা প্রদানের জন্য ১,৫৯০টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।