Originally posted in প্রতিদিনের বাংলাদেশ on 27 September 2024
কী করছে প্রতিযোগিতা কমিশন
গত এক মাসের মধ্যে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা। মসুর ডালের বেড়েছে ১০ টাকা। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম হালিপ্রতি বেড়েছে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। শাকসবজি ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়ে গেছে। ওদিকে স্বর্ণের দামও বেড়েছে কয়েক দফা। ক্রেতারা বলছেন, কোনো কোনো পণ্যের দাম বেড়েছে একচেটিয়া, ব্যবসায়ীদের নিজেদের ইচ্ছায় এবং কোনো জবাবদিহি ছাড়াই।
অথচ বাজারে বিভিন্ন পণ্যের কেনাবেচায় সুস্থ প্রতিযোগিতা উৎসাহিত করতে ও অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির কোনো কাজ চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, কমিশন কাজ করলে পণ্যের দাম এমন একচেটিয়াভাবে বাড়ত না।
প্রতিযোগিতা কমিশন আইন যুগোপযোগী করা প্রয়োজন
বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে কমিশন কী কাজ করছে, তা জানতে প্রতিদিনের বাংলাদেশ কথা বলে কমিশনের সদস্য সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ব্যবসা-বাণিজ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ উৎসাহিত করতে এবং ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ, মনোপলি ও অলিগোপলি প্রতিরোধে কমিশন কাজ করছে। তবে আমাদের কাজ করতে হয় দেওয়ানি বিধিতে। অথচ অনেক বিষয় আছে ফৌজদানি। কাজ করতে হলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি দুটি ক্ষমতাই থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের মাত্র একটি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এতে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তা ছাড়া প্রতিযোগিতা কমিশন আইনটি ২০১২ সালে তৈরি। গত ১২ বছরে অনেক কিছুর পরিবর্তন ও পরিবর্ধন হয়েছে। তাই আইনটিও সংস্কার করে যুগোপযোগী করতে হবে।’
মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা দিতে হবে
কমিশনকে কার্যকর করতে মোবাইল কোর্ট ও অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা দরকার জানিয়ে কমিশনের সদস্য সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভোক্তা অধিদপ্তর যেমন নিজেরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকে, কমিশনকেও সেই ক্ষমতা দিতে হবে। যাতে অভিযান চালিয়ে সরাসরি দাম বৃদ্ধিকারীদের ধরা যায়। আমাদের বেশিরভাগ কাজ করতে হয় এমন সব বিষয়ে যার সরাসরি প্রমাণ থাকে না। যেমনÑ অলিগোপলি বা কিছু সংখ্যক অথবা মনোপলি বা একজন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান কোনো পণ্যের দাম বা সেবার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে কি না, আমাদের সেটি খুঁজে বের করতে হয়। বাস্তবতা হলো, এসব কাজ যারা করছে, তারা কোনো প্রমাণ রেখে করে না। তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া কঠিন।’ তিনি বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রথমে মামলা ও পরে তথ্যপ্রমাণ চাওয়া হয়। সে অনুযায়ী শুনানি করে রায় দেওয়া হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘কাজ করার জন্য ৭৮ জন জনশক্তি থাকার কথা থাকলেও রয়েছে মাত্র ৪২ জন। এদের মধ্যে ২০-২২ জন আবার চতুর্থ শ্রেণির। দুই বছর ধরে আইন বিষয়ক পরিচালকের পদ ফাঁকা। তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেক কাজ করা সম্ভব হয় না।’
দক্ষ জনশক্তি নেই কমিশনে
প্রতিযোগিতা কমিশনকে কেন যথাযথভাবে কার্যকর করা যাচ্ছে না?Ñ এ প্রশ্ন করা হলে কমিশনের অপর সদস্য মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের একটি মামলাকে শুনানি থেকে বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে জরিমানা করা পর্যন্ত যেতে এক বছর সময় লেগে যায়। ২০১৮ সাল থেকে কমিশনে মামলা নেওয়া শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে মামলার সংখ্যা বেড়েছে। অনেক মামলা প্রমাণের অভাবে খারিজ হয়ে গেছে। কেউ প্রতিযোগিতাবিরোধী কাজ করলে তাকে নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশনা অনানুষ্ঠানিক ও কোর্টের মাধ্যমেÑ দুভাবেই করা যায়। গত এক বছরে কিছু মামলা চূড়ান্ত শাস্তির পর্যায়ে গেছে। গত ছয় বছরে ছয়টি মামলায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ কোটি টাকার ওপর জরিমানা করা হয়েছে।’
হাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সমস্যা হচ্ছে দক্ষ জনশক্তি নেই। জরিমানা করতে হলে অভিযোগ প্রমাণ করতে হয়। সেজন্য বড় ধরনের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দরকার। দেখাতে হয়, কাজটির কারণে অর্থনীতিতে কী পরিমাণ ক্ষতি করেছে। এটাও প্রমাণ করতে হয় যে, পারস্পরিক যোগসাজশে কাজটি করা হয়েছে। এসব তথ্য জোগাড় করা খুব কঠিন। কেননা তাদের সঙ্গে কার কী আলোচনা হয়েছে তা খুঁজে বের করতে হয়।
ডিমের দাম হালিতে ১০ টাকা বেশি, রডের দাম বেড়ে গেছেÑ এসব তদারকি করা হয় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হাফিজুর রহমান বলেন, বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ে। নিয়ম হচ্ছে প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে হবে। কিছু স্থানে পলিসির কারণে দাম বেড়ে যায়। চিনি, তেলসহ বেশি ব্যবহার হওয়া পণ্যের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেয়। এখন ডিম, মুরগির ক্ষেত্রেও করা হচ্ছে। আমরা কোনো প্রমাণ না পেলে কাজে হাত দিতে পারি না। কোনো পণ্যের দাম বাড়ার ক্ষেত্রে যতক্ষণ পর্যন্ত সিন্ডিকেট ও যোগসাজশের অস্তিত্ব এবং যথাযথ তথ্য না পাওয়া যায় ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা কোনো উদ্যোগ নিতে পারি না।’
এ পর্যন্ত কমিশন যা করেছে
বাংলাদেশে ২০১২ সালে প্রতিযোগিতা আইন প্রণয়ন করা হয়। ব্যবসা-বাণিজ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ নিয়ন্ত্রণ, কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যবহারে রোধ, জোটবদ্ধতা যা দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধ করেÑ এ ধরনের সকল কর্মকাণ্ড নির্মূল করতে প্রতিযোগিতা আইন তৈরি করা হয়। আইনটিতে মোট ৪৬টি ধারা রয়েছে।
এই আইন প্রণয়নের আগে বাংলাদেশে কার্যকর ছিল ‘মনোপলিস অ্যান্ড রেসট্রিকটিভ ট্রেড প্র্যাকটিসেস (কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৭০।’ এ অধ্যাদেশটি প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২-এর মাধ্যমে বাতিল করা হয়।
প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে দুটি মামলা দায়ে ও নিষ্পত্তি করা হয়েছে। পরের বছর কোনো মামলা হয়নি। ২০২০ সালে ১০টি মামলা হয়। সেখানে একটিতে অর্থদণ্ড, ৮টিতে নির্দেশনা ও একটি মামলা চলমান আছে। পরের বছর ৪টি মামলা হয়। সেখানে একটিতে অর্থদণ্ড, ২টিতে নির্দেশনা ও একটি চলমান রয়েছে। ২০২০ সালে ৬৫টি মামলা করা হয়েছে। সেখানে ২৭টি চলমান, ৩৪টিকে নির্দেশনা ও ৪টিকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পরের বছর ১৪টি মামলা হয়ে চলমান রয়েছে। চলতি বছর ৭টি মামলা হয়েছে। সবগুলো চলমান। এ পর্যন্ত মোট ১০২টি মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৫২টি ও চলমান আছে ৫০টি। মামলা ও জরিমানার বিপক্ষে বিভিন্ন কোম্পানি ৩০টি রিট করেছে।
ছয় প্রতিষ্ঠানকে ১২ কোটি অর্থদণ্ড
প্রতিযোগিতা আইন লঙ্ঘন করে অপরাধ করার বিষয়টি প্রমাণ হওয়ায় কমিশনের উদ্যোগে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে গত ছয় বছরে ১২ কোটি ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮৯৭ টাকা জরিমানা বা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ ভিকারুন নেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সঙ্গে যোগসাজশে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এককভাবে পোশাক সরবরাহ করে প্রতিযোগিতা আইন ভঙ্গ করে। এজন্য তাকে ৭৯ হাজার ৮৯৭ টাকা জরিমানা করা হয়।
পারস্পরিক যোগসাজশে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়ে ৫১৮ কোটি টাকা লুট করায় সাগুনা ফুন্ড অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডকে তিন বছরের গড় টার্নওভারের ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ হিসেবে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২২ সালের ৫ থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত পারস্পরিক যোগসাজশে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়ানোর কারণে কাজী ফার্ম লিমিটেডকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। তা ছাড়া সি পি বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডকে একই অপরাধে এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। ডায়মন্ড এগ লিমিটেডকে সমধর্মীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে ২০২২ সালের ৫ থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ডিমের দাম অস্বাভাবিক বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কর্তৃত্বময় অবস্থানের অপব্যহারের কারণে ফুডপান্ডা বাংলাদেশ লিমিটেডকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ অভিমত
ফায়ার ফাইটিং ইক্যুইপমেন্ট বিজনেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মরগান গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. নিয়াজ আলী চিশতী বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সহনশীল পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করবে, যাতে বাজারে ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে পারে। কিন্তু দেশে সেই অবস্থা নেই। যার যখন যেভাবে খুশি দাম বাড়িয়ে দেয়। ভোক্তা অধিদপ্তর কিংবা প্রতিযোগিতা কমিশন কেউই যথাযথভাবে তদারকি করছে না। দেশে কয়েক দফা সোনার দাম বেড়েছে, অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে। তার অর্থ প্রতিযোগিতা কমিশন তদারকি করছে না। বাজার মূল্যায়নে তাদের সক্ষমতাকে কাজে লাগাচ্ছে না।’
কমিশনের কোনো কাজ দৃশ্যমান হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সভা-সেমিনার ছাড়া কমিশনকে দেখা যায় না। তাদের কোনো কার্যক্রম এখনও সাড়া ফেলেনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের কার্যক্রমও চোখে পড়ে না। বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কাজও দৃশ্যমান নয়। এমন অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলোর কাজ দেখা যায় না। দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির মতো প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত সভাপতি ছিল না। প্রতিষ্ঠানটি তাই অন্যদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসব সমস্যা থেকে উত্তরণে প্রতিটি ক্ষেত্রে যার যা কাজ তা সঠিকভাবে করতে হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সিস্টেমে পরিবর্তন আনতে হবে। যাতে প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথভাবে নিজেদের কাজ করতে পারে। কাজ না করলে তাদের যাতে জবাবদিহির মধ্যে আনা যায়।’
প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রতিযোগিতা কমিশন তৈরির উদ্দেশ্য হচ্ছে, বাজারে পণ্যের স্বাভাবিক প্রতিযোগিতা বজায় রাখা। সিন্ডিকেট ও মজুদ করে কেউ যেন বাজার অস্থিতিশীল করতে না পারে, সেটি মনিটরিং করা। সব ধরনের পণ্যের জন্য বাজার ব্যবস্থা সমান রাখার বন্দোবস্ত করা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। ২০১৮ সালে কাজ শুরু করলেও তাদের কার্যক্রম চোখে পড়ার মতো না। এসবের পেছনে জনবল সংকট ও দক্ষ জনবল একটি প্রধান কারণ।’
তিনি বলেন, ‘কমিশনের পক্ষে এককভাবে কাজ করা সম্ভব নয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করলে কমিশন দ্রুত সুফল পাবে।’
এক্ষেত্রে দেওয়ানির পাশাপাশি কমিশনকে ফৌজদারি ক্ষমতাও দেওয়া যায় কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুটি ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠানটির ক্ষমতায়ন করতে হলে বিশদ আলোচনা দরকার। কেননা এর নেতিবাচক দিকও আছে, বাজারে এর প্রভাবও আছে।’ তার মতে, ‘কমিশন যেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করবে, সেগুলোর মধ্যে নীতির সমন্বয়হীনতা দেখা গেলে, কমিশনকে তার সমাধান করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। দায়বদ্ধতা থেকে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে যে ধরনের সক্ষমতা থাকা দরকার, কমিশনকেই তা অর্জন করতে হবে।’