আমাদের দেশের যে অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটেছে, তা মূলত পানির ওপর ভিত্তি করে হয়েছে – ফাহমিদা খাতুন

Originally posted in বণিকবার্তা on 8 October 2024

পানির পরিসর বিস্তর। আমরা অর্থনৈতিক, সামাজিক পরিবেশগত প্রেক্ষিতে পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা উন্নয়ন নিয়ে কথা বলি কিন্তু এর সামাজিক ও পরিবেশগত দিক নিয়ে আলোচনা করি না। পরিবেশগত বিপর্যয়ের ভুক্তভোগী সব মানুষই হয়। তবে সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশ বেশি ভুক্তভোগী হয়, যার কারণে উন্নয়ন টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় না। বিগত সময়ে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিতে গিয়ে পরিবেশ ও সামাজিক খাতসহ অন্যান্য খাতের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ফলে একদিকে উন্নয়ন বেড়েছে; অন্যদিকে অসাম্য ও পরিবেশগত দূষণ বেড়েছে। এ পরিবেশগত দূষণ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের দেশের যে অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটেছে, তা মূলত পানির ওপর ভিত্তি করে হয়েছে। কৃষি, ট্যানারি, টেক্সটাইলের মতো খাতগুলো পানির ওপর বেশ নির্ভরশীল। বাংলাদেশে সুপেয় পানির সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু তার পরও সবার জন্য সমানভাবে নয়। আমাদের বড় বড় নদীর পানির পিএইচ অনেক বেশি। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গ্রাউন্ড ওয়াটারের লেভেল অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। ২০১৭-১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী, ১০ শতাংশের সামান্য বেশি পরিবার সুপেয় পানি পাচ্ছে। পানি নিয়ে আমাদের অনেক নীতিমালা আছে; অনেকগুলো অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় রয়েছে। সুতরাং একটি মাল্টিডিপার্টমেন্টাল বিষয় হিসেবে ভবিষ্যতে এগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। এটি এমন একটি উন্নয়ন যা তিনটি পিলারের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তাই অর্থনীতি, সমাজ ও পরিবেশ তিনটি শাখাকে এগিয়ে নিতে হলে টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় পানি ব্যবস্থাপনাকে হালনাগাদ করতে হবে।