Originally posted in বণিকবার্তা on 13 April 2025
উচ্চ সুদহারেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি
ব্যবসার উচ্চ খরচে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর একটি কম্বোডিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার এখনো ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও কম।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর একটি কম্বোডিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এ দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার এখনো ৫০ বিলিয়ন ডলারেরও কম। আকারে এত ছোট অর্থনীতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও গত বছর প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করতে পেরেছে। এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন, সুশাসন ও নামমাত্র সুদহার। বর্তমানে কম্বোডিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সুদহার ১ শতাংশেরও কম। গত মাসে উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশটির মূল্যস্ফীতির হারও ছিল ১ শতাংশের নিচে।
বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টের ক্ষেত্রে সামনের সারিতে রয়েছে একই অঞ্চলের আরেক দেশ থাইল্যান্ড। ২০২৪ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি ১ দশমিক ১৪ ট্রিলিয়ন বাথ (প্রায় ৩৩ বিলিয়ন ডলার) বিদেশী বিনিয়োগ পেয়েছে। গত বছর তাদের এফডিআই বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ, যা ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী থাইল্যান্ডের নীতি সুদহার ও মূল্যস্ফীতি ২ শতাংশের ঘরে।
কেবল থাইল্যান্ড কিংবা কম্বোডিয়া নয়, বরং প্রতিদ্বন্দ্বী কিংবা এ অঞ্চলের বড় অর্থনীতির প্রতিটি দেশের নীতি সুদহার ও মূল্যস্ফীতি এখন বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত নীতি সুদহার (রেপো রেট) ১০ শতাংশ। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারতের নীতি সুদহার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, নেপালের ৬ দশমিক ৫ ও শ্রীলংকার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেবল পাকিস্তানের নীতি সুদহার (১২ শতাংশ) এখন বাংলাদেশের তুলনায় বেশি। যদিও এক বছর আগে ছিল ২৩ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসার সঙ্গে সঙ্গে নীতি সুদহারও কমিয়ে এনেছে পাকিস্তান।
বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতির দেশ ভিয়েতনামের নীতি সুদহার এখন মাত্র ৩ শতাংশ। বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনের সুদহার ৩ দশমিক ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। সুদহার কমিয়ে ৪ দশমিক ৩৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে যুক্তরাষ্ট্রও।
উন্নয়নশীল ও উন্নত বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২০ সালে করোনা মহামারী শুরুর পর প্রায় সবক’টি দেশের নীতি সুদহার কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু ২০২১ সালের শুরুর দিকে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে আবার তা বাড়ানো হয়। এরপর গত দুই বছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলে সুদহার কমিয়ে দেয় দেশগুলো। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ করেছে ঠিক তার উল্টো।
বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয় ২০২২ সালের শুরুতে। তখন অর্থনীতিবিদরা আহ্বান জানালেও নীতি সুদহার বাড়াতে উদ্যোগী হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে নীতি সুদহার বাড়িয়ে দেয়া হয়। সাড়ে ৪ থেকে তা উন্নীত করা হয়েছে ১০ শতাংশে। আর ব্যাংক ঋণের সুদহার ছাড়িয়ে যায় ১৪-১৫ শতাংশ। যদিও সুদহার বাড়ানোর সুফল থেকে এখনো বঞ্চিত রয়ে গেছে বাংলাদেশের মানুষ। সর্বশেষ মার্চেও মূল্যস্ফীতি না কমে উল্টো বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারিতে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ থাকলেও গত মাসে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে কেবল নীতি সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল। এ কারণে মূল্যস্ফীতি না কমে অর্থনীতিতে মন্থরতার পাশাপাশি বিনিয়োগেও নেমে এসেছে স্থবিরতা। দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বাজারে সরবরাহ সংকট, সিন্ডিকেট ও মাফিয়াতন্ত্রের কারণে। শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পরও সে সংকটগুলো বহাল রয়েছে। এ কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না। আবার বিনিয়োগ খরায় অর্থনীতির গতিও বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবসার পরিচালন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ।
সিদ্ধান্তহীনতা ও বাজার অব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে মনে করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। বণিক বার্তাকে এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘বিশ্বের প্রায় সব দেশ যখন নীতি সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে, তখন বাংলাদেশ ব্যাংক সময়ক্ষেপণ করেছে। এ কারণে অন্য দেশগুলোয় মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলেও আমাদের আসেনি। আবার একসময় আমাদের নীতিনির্ধারকরা সুদহার বাড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করা, বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনা এবং সিন্ডিকেট ভাঙায় মনোযোগ দেয়া হয়নি।’
ফাহমিদা খাতুন আরো বলেন, ‘উচ্চ সুদহার ছাড়াও বাংলাদেশে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার অভাব নেই। এখানে ঘুস-দুর্নীতি, লালফিতার দৌরাত্ম্য অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। এ কারণে বিদেশী বিনিয়োগ যেমন আসেনি, স্থানীয় বিনিয়োগও উৎসাহিত হয়নি। এখন মূল্যস্ফীতি কমিয়ে সুদহার সহনশীল পর্যায়ে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা হিসাব করে দেখেছি, উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পণ্যের দাম বেশি।’
দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্টের চেষ্টা করছে সরকার। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকেও দেশ-বিদেশে অনেক বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব আয়োজন বিদেশীদের আকৃষ্ট করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে নিট এফডিআই প্রবাহ ছিল মাত্র ১৬৫ কোটি বা ১ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এটি ১ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদেশী বিনিয়োগ আরো কমেছে। অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) দেশে নিট এফডিআই এসেছে মাত্র ৮২ কোটি ডলার, যেখানে বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বী অর্থনীতির দেশ ভিয়েতনামে কেবল ২০২৪ সালেই গেছে ২৫ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার, আগের বছরের তুলনায় যা ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
ভিয়েতনামের নীতি সুদহারও এখন বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। কভিড-পরবর্তী অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় নীতি সুদহার আড়াই থেকে ৪ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছিল দেশটি। কিন্তু গত দুই বছরে এ হার কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। চলতি বছরের মার্চে দেশটির মূল্যস্ফীতির হারও ছিল মাত্র ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, যেখানে বাংলাদেশের নীতি সুদহার ১০ শতাংশ ও মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির হার বেশি হওয়ার কারণেই ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়াতে হয়েছে বলে জানান মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় অঞ্চলের যেকোনো দেশের তুলনায় বর্তমানে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি। মূল্যস্ফীতিই যেখানে প্রায় ১০ শতাংশ, সেখানে ঋণের সুদহার হওয়া উচিত ১৩-১৪ শতাংশ। বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির অন্যতম কারণ সরবরাহ সংকট। এ কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ী সুদহার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানো যায়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের ব্যবসায়ীদের ঋণের জন্য বেশি সুদ দিতে হলে তাদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমাটাই স্বাভাবিক।’
দেশে বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে গত সপ্তাহে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। সম্মেলনে বাংলাদেশের বেসরকারি খাত নিয়ে ‘কান্ট্রি প্রাইভেট সেক্টর ডায়াগনস্টিক (সিপিএসডি)’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্বব্যাংকের বেসরকারি খাতবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি)। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচটি বাধা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এগুলো হলো বিদ্যুতের সমস্যা, অর্থায়নের সীমিত সুযোগ, দুর্নীতি, অনানুষ্ঠানিক খাতের আধিক্য ও উচ্চ করহার।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের তথ্যের ভিত্তিতে কোন দেশ কত বিদেশী বিনিয়োগ পায়, তা তুলে ধরা হয়। সংস্থাটির ২০২৪ সালের বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ পৌনে ২ শতাংশ কমলেও বাংলাদেশের কমেছে পৌনে ১৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৩০০ কোটি ডলারের বিদেশী বিনিয়োগ পেয়েছে; যেখানে ভারত ২ হাজার ৮১৬ কোটি, ভিয়েতনাম ১ হাজার ৮৫০ কোটি, ইন্দোনেশিয়া ২ হাজার ১৬৩ কোটি, কম্বোডিয়া ৩৯৬ কোটি ও পাকিস্তান পায় ১৮২ কোটি ডলার। বাংলাদেশে আসা বিদেশী বিনিয়োগ সবসময়ই প্রত্যাশার চেয়ে কম বলে গণ্য করা হয়।
আইএফসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে জিডিপির অনুপাতে বিদেশী বিনিয়োগ মাত্র দশমিক ৪ শতাংশ (২০২৩)। আবার যে বিনিয়োগ আসছে, তা মূলত দেশে ব্যবসারত বিদেশী কোম্পানিগুলোই করছে। নতুন কোম্পানি কম আসছে।
বিদেশী বিনিয়োগ জরিপ ২০২৪-এর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে রেগুলেটরি বা নিয়ন্ত্রণমূলক সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা, নীতির ঘন ঘন পরিবর্তন, সুশাসনের অভাব, আইনের জটিলতা, প্রাতিষ্ঠানিক অদক্ষতা ও সমন্বয়ের অভাবের মতো বিষয়গুলো রয়েছে।
উচ্চ সুদহারের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতিই সবচেয়ে বেশি। অথচ গত মার্চে শ্রীলংকায় এ হার ছিল ঋণাত্মক ২ দশমিক ৬০ শতাংশ। যেখানে দুই বছর আগেও নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্রটির মূল্যস্ফীতি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছিল। শ্রীলংকার মতোই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নজিরবিহীন সাফল্য পেয়েছে পাকিস্তান। মার্চে দেশটির মূল্যস্ফীতি দশমিক ৭০ শতাংশে নেমেছে, যা এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। অথচ এক বছর আগেও পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ছিল ২০ শতাংশের বেশি। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়া এ দুটি দেশের মতো দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মূল্যস্ফীতির হারও বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। এর মধ্যে গত মাসে ভারতের মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ।
বাংলাদেশে সুদহার থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন খরচ সবকিছুর ব্যয়ই অনেক বেশি বলে জানান বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘দেশে ব্যাংক ঋণের সুদহার এখন ১৫ শতাংশের বেশি। এত সুদ দিয়ে এখানে বিনিয়োগ করবে কে? উচ্চ সুদ ছাড়াও আমাদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন ব্যয়ও প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর তুলনায় বেশি। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কথা না হয় বাদই দিলাম। এ অবস্থায় বিদেশীরা এখানে কেন বিনিয়োগ করতে আসবে?’
তিনি বলেন, ‘বিদেশীরা বাংলাদেশের ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নেয় না। স্থানীয় বিনিয়োগকারীরাই অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্র থেকে ঋণ নেয়। তবে বিদেশীরা তখনই বিনিয়োগ করে, যখন স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসে। স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা এখন নানা কারণে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে না। আমরা যদি না করি, তাহলে বিদেশীরাও আগ্রহী হবে না।’