Published in যুগান্তর on Monday, 28 May 2018
একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোই বাজেটের বড় চ্যালেঞ্জ
উচ্চহারে জিডিপি প্রবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু ব্যক্তি বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, আয় বৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচনে আশানুরূপ ফল দেখা যাচ্ছে না। এজন্য আগামী বাজেটে বড় চ্যালেঞ্জ হবে প্রবৃদ্ধির গুণগতমান পরিবর্তন করে কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর কৌশল প্রণয়ন।
পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার ক্ষেত্রে যেসব চাপ সৃষ্টি হচ্ছে তা মোকাবেলা করা। যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন।
তার মতে, নির্বাচনী বছরে সংযত নীতিতে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। ফলে বাজেটের মধ্য দিয়ে এ বাস্তবতা কীভাবে মোকাবেলা করা হবে এর পথ বের করতে হবে। দেবপ্রিয়র মতে নির্বাচন সামনে রেখে গণতান্ত্রিক উত্তরণের সঙ্গে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে।
ইতিমধ্যে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় চিড় ধরেছে। বিশেষ করে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থানের অভাব, ব্যাংকিং খাতে সুশাসনের ঘাটতি এবং বিদেশে টাকা পাচার বাড়ছে। এ অবস্থায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংযত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় যেতে হবে।
এ অর্থনীতিবিদের মতে, গত কয়েক বছরে বিশ্ব অর্থনীতির কারণে দেশের অর্থনীতি সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। বিশেষ করে জ্বালানি তেল, চাল ও সারের দাম ছিল নিুমুখী। এতে আমদানি ব্যয় এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে।
যা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় ঝুঁকি তৈরি করবে। অন্যদিকে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ছাড়া ঋণের সুদের হার কমানো, অর্থপাচার রোধ করা এবং বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব নয়। আর অর্থ পাচার বন্ধে সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আছে কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করেন বিশিষ্ট এ অর্থনীতিবিদ।
এছাড়াও বাজেটে দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেয়ার ক্ষেত্রে জোর দেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মনির হোসেন
যুগান্তর : নির্বাচনের আগে শেষ বাজেটে সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ কী?
ড. দেবপ্রিয় : গত কয়েক বছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি মোটামুটি শোভন অবস্থায় থাকার পরও সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতায় অল্প অল্প করে চিড় ধরছে। যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে, তাতে মানুষের কর্মসংস্থান, আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য বিমোচনে আশানুরূপ ইতিবাচক ফল দেখছি না। ফলে আগামী অর্থবছরে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে প্রবৃদ্ধির গুণগতমান বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর বিদ্যমান চাপ মোকাবেলা করা। একটি বিষয় লক্ষণীয়, চলতি বছরে ৭ দশমিক ৬৫ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ হার এত উচ্চ হওয়া সত্ত্বেও কেন কর্মসংস্থান বা আয়ের ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আসছে না? অপরদিকে বৈষম্য বাড়ছে। ক্রমেই ভোগ বৈষম্য, আয় বৈষম্য ও সম্পদের বৈষম্য বাড়ছে। শিক্ষিত যুবকরা কর্মসংস্থান থেকে সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত। ফলে আগামী বাজেটে বড় একটি চ্যালেঞ্জ থাকবে, প্রবৃদ্ধির গুণগতমান পরিবর্তন করে মানুষের কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ানোর কৌশল প্রণয়ন করা। তুলনামূলক কম প্রবৃদ্ধি হলেও কর্মসংস্থান ও আয় বৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য ভালো কিনা তা বিবেচনা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার ক্ষেত্রে যেসব চাপ সৃষ্টি হচ্ছে তা মোকাবেলা করা।
যুগান্তর : এ সমস্যার সমাধানে আপনার সুপারিশ কী?
ড. দেবপ্রিয় : প্রথমটির ক্ষেত্রে সমাধান হল শিল্পখাতে ব্যক্তি বিনিয়োগ বাড়ানো। কারণ ব্যক্তি বিনিয়োগ না বাড়লে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি হবে না। বর্তমানে যে প্রবৃদ্ধি আমরা দেখছি তা অনানুষ্ঠানিক ও সেবামূলক খাতে। অথবা এমন কোনো উচ্চপর্যায়ের আধুনিক খাতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, যেখানে উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে নতুন কর্মসংস্থান হচ্ছে না। কিন্তু শ্রমঘন শিল্পখাতে প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানে গতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এ গতি যতক্ষণ না আনা যাবে, ততক্ষণ সমস্যার টেকসই সমাধান হবে না। আর এ শ্রমঘন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে দেশীয় শিল্পকে প্রাধান্য দিতে হবে। অর্থনীতিতে রফতানি অব্যশই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হল অভ্যন্তরীণ যে বাজার গড়ে উঠছে, তাকে সমর্থন দেয়া। ফলে আগামী বাজেটে রফতানিতে গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি দেশীয় বাজারমুখী শিল্পকে গুরুত্ব দিতে হবে।
যুগান্তর : সামষ্টিক অর্থনীতিতে কী ধরনের চাপ রয়েছে?
ড. দেবপ্রিয় : বিশ্ব অর্থনীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কিছু সুবিধা আমরা পেয়েছি। এর মধ্যে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, চাল ও সারের দাম নিুমুখী ছিল। এতে আমদানি ব্যয় কম ছিল এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। এরই মধ্যে অশোধিত তেলের ব্যারেল ৭০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। একইভাবে সার ও চালের দাম বাড়ছে। ফলে আগামী দিনে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত দুই খাতেই মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা রয়ে গেছে। অন্যদিকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে যে ঋণ নেয়া হচ্ছে, সেটা অবশ্যই জাতীয় দায়দেনা পরিশোধের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। সামষ্টিক অর্থনীতির চাপের বড় একটি দিক হল সম্পদ আহরণ। এক্ষেত্রে গত বছর রাজস্বের প্রাক্কলন করা হয়েছে, আমরা বলেছি ৫০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে। তার মানে হল, এখানে অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আর এ লক্ষ্যমাত্রার ওপর নির্ভর করেই ব্যয়ের কাঠামো ধরা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ পরিমাণ আয় না হওয়ায় অতিরিক্ত ব্যয় মেটাতে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ করতে হচ্ছে। প্রত্যক্ষ আয়ের ক্ষেত্রে দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। আগামী বাজেটেও করের জাল বিস্তৃত করে হয়রানি কমিয়ে আয় বাড়াতে পারবে কি না, সেটি একটি চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে কর্পোরেট কর কমানোর কথা বলা হচ্ছে। এ কর কমানো হলে আয়করের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের ওপর চাপ আরও বাড়বে।
যুগান্তর : সাম্প্রতিক সময়ে একটি বিষয় সামনে চলে আসছে, তা হল টাকা পাচার। নির্বাচনী বছরে এ আশঙ্কা আরও বেশি। এক্ষেত্রে করণীয় কী?
ড. দেবপ্রিয় : ইংরেজিতে এ বিষয়ে তিনটি শব্দ ব্যবহার করা হয়, যা হল- লিকেজ, ইভেশন এবং মানি লন্ডারিং। লিকেজ হল কর আদায় দুর্বলতা। কিছু লোক কিছু কর দেয়। ইভেশন হল কিছু লোক কিছুই দেয় না। আর মানি লন্ডারিং হল কিছু লোক টাকা না দিয়ে তা দেশের বাইরে পাচার করে। দেশের ভেতরে অস্থিতিশীলতার কারণে নির্বাচনকালীন টাকা পাচার বৃদ্ধি পায়। টাকা পাচার বন্ধের ব্যাপারে সরকারের কোনো দৃঢ় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আছে বলে আমাদের কাছে মনে হয়নি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত থাকলে পানামা পেপারস এবং প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম আছে, তাদের বিষয়ে তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হতো। পত্রিকায় নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত ছাপা হয়েছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। রাষ্ট্রীয় সংস্থা এত লোকজনের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়, কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কোনো খোঁজখবর নিল না। আর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না থাকলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) যতই বাহ্যিক তৎপরতার কথা বলুক না কেন, তাতে কোনো লাভ হবে না। টাকা পাচারে রোধে নির্বাচনের আগে কিছু করবে, অথবা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে তা উল্লেখ থাকবে কি না, সেটি দেখার বিষয়।
যুগান্তর : অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় সরকার কী কৌশল নিতে পারে?
ড. দেবপ্রিয় : একটি দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা কতটা সংহত, তা তিনটি সূচক দিয়ে বোঝা যায়। এগুলো হল- মূল্যস্ফীতির হার, ব্যাংক ঋণের সুদের হার এবং মুদ্রার বিনিময় হার। সরকারকে সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনার জন্য এ তিনটি বিষয়ে নজর দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংকিং খাতের সমস্যার কারণে সুদের হার বাড়বে। এছাড়াও রফতানি বৃদ্ধির হার ওঠানামা করছে। রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি কম। এতে চলতি হিসাবের ভারসাম্য নেতিবাচক। ফলে রিজার্ভ বেশি থাকার পরেও টাকার মান কমছে। আগামী দিনে টাকার বিনিময় হার আরও দুর্বল হতে পারে। এ কারণে সরকারকে সংযত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় যেতে হবে। কিন্তু নির্বাচনী বছরে রাজনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে সংযত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা যায় না।
যুগান্তর : নির্বাচনী বছরে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে বাজেট বাস্তবায়নে কী ধরনের পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে?
ড. দেবপ্রিয় : রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূল নয়। কেউ কেউ মনে করতে পারেন, রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতি স্বল্পমেয়াদি সমস্যা। আর অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মধ্যমেয়াদি। ফলে নির্বাচন শেষ হয় গেলে সমস্যা সমাধানের চিন্তা করছেন। কিন্তু আমরা মনে করছি, এটি ক্যালকুলেটেড রিস্ক। এর মানে হল, হিসাব করে আপনি ঝুঁকি নিচ্ছেন। আর এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে অর্থনীতিতে ডামাডোল সৃষ্টি হবে। গণতান্ত্রিক উত্তরণের সঙ্গে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে, আগামী অর্থবছরের বাজেটের মধ্য দিয়ে এটি কীভাবে পার হব, সেটি দেখার বিষয়।
যুগান্তর : ব্যাংকিং খাতে একধরনের বিশৃঙ্খলা চলছে। শৃঙ্খলা ফেরাতে বাজেটে কী ধরনের পদক্ষেপ আশা করছেন?
ড. দেবপ্রিয় : নির্বাচন সামনে রেখে কোনো প্রগতিশীল সংস্কার আশা করছি না। ফলে এবারের বাজেটেও ব্যাংকিং খাতের জন্য ভালো কিছু দেখছি না। মন্ত্রী মাঝেমধ্যে বলেন কমিশন বানাবেন। বর্তমানে এ খাত থেকে যেসব তথ্য-উপাত্ত আসছে, এর কোনোটাই নির্ভরযোগ্য নয়। প্রকৃত সমস্যা আরও ভয়াবহ। তিনি বলেন, সমস্যা সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা হচ্ছে না। এক্ষেত্রে স্বাধীন কমিশন বানানোর জন্য তিন-চার বছর সিপিডি সুপারিশ করে আসছে। কিন্তু তার বাস্তবায়ন নেই। দীর্ঘমেয়াদি নয়, স্বল্পমেয়াদি একটি কমিশন বানাতে হবে। এ কমিশনের কাজ হবে ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা আনা। এক্ষেত্রে প্রথম কাজ হবে ব্যাংকিং খাতের বাস্তব অবস্থা নির্ণয় করা। সুনির্দিষ্ট কিছু তথ্য তুলে ধরতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে- আসলে ব্যাংকে খেলাপি ঋণ কত এবং সেখানে কতটাকা পুনঃতফসিলি করা হয়েছে। এ ঋণখেলাপি কারা, কত টাকা মাফ করে দেয়া হয়েছে, কোন ব্যাংকের পুঁজি ঘাটতি কত, তার নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতি আছে কিনা।
যুগান্তর : সংস্কার কমিশন গঠন না করে উল্টো আইন সংশোধন করে ব্যাংকের পর্ষদে পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন কী?
ড. দেবপ্রিয় : মনে হচ্ছে ব্যাংকের মালিকদের বা নিয়ন্ত্রণকারীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে বলে কমিশন গঠন করা হয়নি। বর্তমানে এ খাতে যা করা হচ্ছে, তা রোগ নির্ণয় না করে রোগের উপসর্গের পেছনে দৌড়ানো হচ্ছে। ব্যাংকে তারল্য সংকটের কথা হচ্ছে। এরপর সিআরআর (বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাংকগুলোর নগদ জমার হার) কমানো হল। এক্ষেত্রে যেসব সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে, তা একেবারে ভ্রান্ত। প্রকৃত সমস্যা হল- ব্যাংকের কোনো সুশাসন নেই, ভুয়া ঋণ দেয়া হয়েছে, টাকা আদায় করা হয় না। বর্তমানে যত টাকা জমা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি ঋণ দেয়া হচ্ছে। এটি রোগ। এ রোগের চিকিৎসা না করে উপসর্গ দিয়ে কতদিন পার করা যায়? অন্যদিকে এবারের বাজেটেও আবার সৎ করদাতাদের টাকা দিয়ে অসৎ ঋণগ্রহীতাদের ভর্তুকি দেয়া হবে। এটা অনৈতিক এবং অর্থনীতির মৌলিক নীতিমালার পরিপন্থী এবং সুশাসনের ব্যত্যয়।