Published in বাংলাদেশ প্রতিদিন on Friday, 11 March 2016
আর্থিক খাতে আরও সতর্ক হতে হবে
মানিক মুনতাসির
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, সামগ্রিক আর্থিক খাতের নিরাপত্তাবিধান করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরও সতর্ক হতে হবে। কেননা বাংলাদেশ ব্যাংকই দেশের আর্থিক খাতের সবচেয়ে বড় অভিভাবক। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে খোয়া যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ পুনরুদ্ধারেও উভয় পক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে দায়িত্বটা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকেরই বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারর্মেশন ছাড়া বা রি-কনফার্মেশন না নিয়ে অর্থ ছাড় করা ঠিক হয়নি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে খোয়া যাওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ পুনরুদ্ধারেও উভয় পক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে দায়িত্বটা ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকেরই বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারর্মেশন ছাড়া বা রি-কনফার্মেশন না নিয়ে অর্থ ছাড় করা ঠিক হয়নি ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের। এ ক্ষেত্রে তাদের কারও কোনো অবহেলা ছিল কিনা তা-ও দেখতে হবে। সবার আগে দোষীকে চিহ্নিত করতে হবে। এরপর টাকা উদ্ধার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে নিতে হবে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনা থেকে আমাদের সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংককে আগে শিক্ষা নিতে হবে। কেননা এর আগে অভ্যন্তরীণ খাতে বিভিন্ন জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর কোনো সুরাহা হয়নি। মাত্র কয়েক দিন আগে এটিএম বুথ থেকে মোটা অঙ্কের আর্থিক জালিয়াতি ঘটেছে। সে ঘটনারও সম্পূর্ণ সুরাহা হয়নি। যদিও কয়েকজন সন্দেহভাজন ধরা পড়েছেন। এরই মধ্যে দেশের বাইরে গচ্ছিত রাখা রিজার্ভ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন হ্যাকাররা। এটা অবশ্যই উদ্বেগজনক। এ ধরনের ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তিগত সমস্যা থাকলে তার সমাধান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যদিও রিজার্ভ ব্যাংকের দায়িত্বটাই বেশি। তাদের কাছে তো আমরা অর্থ গচ্ছিত রেখেছি। সে ক্ষেত্রে কনফার্মেশন ছাড়া আমাদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ ছাড় করাটা তাদের উচিত হয়নি বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। তবে সবার আগে সমস্যা কোথায় হয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে। এরপর খোয়া যাওয়া অর্থ উদ্ধার করা যায় কীভাবে তা নিয়ে কাজ করতে হবে। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফ কোড চুরির যে কথা বলা হচ্ছে তা যদি চুরি হয়ে থাকে সে বিষয়ও তদন্ত করে দেখা দরকার। এ ধরনের ঘটনার ফলে দেশের আর্থিক খাতের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে কিনা— জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ খাতে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং এর আগে দেশের এটিএম থেকে টাকা চুরির ঘটনায় সাধারণ গ্রাহকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সে বিষয়েও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে আরও সতর্ক হতে হবে। সমগ্র আর্থিক খাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে বলে মনে করেন ড. মোস্তাফিজুর রহমান।