Dr Debapriya Bhattacharya on FY2016 budgetary measures, published in Manabzamin on Friday, 5 June 2015.
‘বাস্তবায়ন দুঃসাধ্য’
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে পুরোপুরি গতানুগতিক, সাদামাটা, অবাস্তব ও অবাস্তবায়নযোগ্য বলে অভিহিত করেছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, এতটা অবাস্তব স্বপ্নের বাজেট অতীতে কখনও দেয়া হয়নি, যা বাস্তবায়ন দুঃসাধ্য। গতকাল জাতীয় সংসদে বাজেট উত্থাপন-পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অর্থনীতিবিদরা মানবজমিনকে এসব কথা বলেন। এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মীর্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক, সাদামাটা ও আগের মতোই। এর মধ্যে কিছু অবাস্তব ও অনাকাঙ্ক্ষিত টার্গেট রয়েছে। বিশাল পরিমাণ রাজস্ব আদায়ের স্বপ্ন অনেকটাই অবাস্তব। বাজেটে ২ লাখ ১১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটির টাকার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী, যা ২০১৪-১৫ অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩০.৬৬ শতাংশ বেশি। বাজেট প্রস্তাবনায় রাজস্ব আয়ের ৮৩ শতাংশ এনবিআরের জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন অর্থমন্ত্রী। বাজেটের রাজস্ব আদায়ের এ লক্ষ্যমাত্রা এতটাই অবাস্তব স্বপ্ন, যা অতীতে কখনও দেখেননি এ অর্থনীতিবিদ। তার মতে, বরাবরের মতো এবারও জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের টার্গেট অনেকটাই দুঃসাধ্য। এ ছাড়া ৩৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ব্যাংকঋণের সিদ্ধান্ত যুক্তিসংগত নয়। এর মাধ্যমে বেসরকারি খাত নিরুৎসাহিত হবে বলে মনে করেন তিনি। বাজেটে ইতিবাচক দিক হিসেবে অবকাঠামোসহ করপোরেট কর হার কমানোকে ভাল অর্থে মূল্যায়ন করেন এ অর্থনীতিবিদ।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালাগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বাজেটে আয় খাতে অর্থায়নের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। এ ছাড়া প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত নয় বলেও মনে করেন তিনি। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাজেটে আর্থিক কাঠামোর আকার বিচার করে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করে আয় সংস্থান করা হয়েছে। এ আয় সংস্থান করতে গিয়ে আয়ের উৎসে অবাস্তব ধরনের প্রাক্কলন করা হয়েছে। তিনি বলেন, বাজেটের যে স্ফীতি, বাস্তবসম্মত পরিসংখ্যান ভিত্তিতে যৌক্তিক মনে হচ্ছে না। এ বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে যে পদক্ষেপ তাও দেখছি না। তবে ন্যূনতম আয়ের যে করারোপ তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গত বছর থেকে এ দাবি জানিয়ে আসছিল সিপিডি। ব্যক্তি ও করপোরেট পর্যায়ে করের হার, সম্পদের ওপর সারচার্জ নির্ধারণ নিয়ে কোন সমস্যা দেখছি না। শিশু বাজেটও ইতিবাচক। তবে জেলাভিত্তিক বাজেট না থাকায় বিস্ময় প্রকাশ করে সিপিডি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বিশাল বাজেটে সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়নের কোন দিকনিদের্শনা নেই। তার মতে, এ বাজেট প্রয়োজনের তুলনায় ঠিক থাকলেও পুরোপুরি বাস্তবায়নযোগ্য নয়। বাজেট প্রস্তাব অনুযায়ী বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ হ্রাস পাবে। অন্যদিকে প্রায় ৯৭ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন দুঃসাধ্য হবে। একই সঙ্গে জিডিপির প্রবৃদ্ধিও অর্জন করা কষ্টকর হবে।
পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের গবেষক ড. এইচ আহসান মনসুর বলেন, এবার বাজেটে রাজস্ব আদায়ের যেসব বাধা ছিল তা দূর না করে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো হচ্ছে। ফলে আগে যা ছিল আগামী বাজেটেও তাই থাকছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, বিশাল রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের কাঠামো ও নীতিগত সংস্কার জরুরি। এ ছাড়া বিদেশী বিনিয়োগ আনতে হলে পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
Published in The New Nation
Debapriya, Zillur express concern
Mirza Azizul, Saleh Uddin call it ambitious
Abu Sazzad
“It is an ambitious budget,” said former finance adviser to the caretaker government Dr Mirza Azizul Islam, “The implementation of the budget would be difficult for the government”.
In the proposed budget, the target of gross domestic product (GDP) growth has been set at seven percent. Talking about achieving the GDP target, Azizul Islam said, the investment flow must be increased by 31 one per cent.
The government may face a trouble to achieve the tax target. He claimed, the NBR is not capable of collecting this huge revenue on which government plans development projects. The government has set the revenue target of Tk 2,08,443 crore of which NBR tax will be Tk 1,76,370 crore, Non-NBR Tax will be Tk 5,874 crore and Non Tax Receipt will be Tk 26,199 crore.
The implementation of the Annual Development Programme (ADP) may be a great challenge for the government, said the former Bangladesh Bank Governor Dr Saleh Uddin Ahmed.
The government has set the non-development expenditure for Tk 1,64,571 crore.
On the other hand, development expenditure at Tk 1,02,559 crore of which Annual Development Programme is Tk 97,000 crore.
Talking about budget deficit, the former governor said that borrowing from the banking sector create problem for its development.
Meanwhile, the Centre for Policy Dialogue (CPD) on Thursday expressed concern over the lack of equilibrium between the income and expenditure budget proposed for the fiscal 2015-2016.In an instant reaction over budget, CPD distinguished fellow Dr Debapriya Bhattacharya yesterday said the government has estimated the income budget to accommodate its ‘big expenditures’.
This is a serious concern against the backdrop of 50 percent reduction of the foreign aid, he noted.
However, CPD welcomes various moves in the proposed budget, including reducing the corporate tax, coordinating the corporate tax with the personal tax, increasing the ceiling of tax-free income to Tk 2.50 lakh from Tk 2.20 lakh.
Dr Debapriya, however, thanked the government for keeping up with the gender budget. “The proposed budget is as usual which lack of big-bang reforms,” said Dr Hossain Zillur Rahman, former adviser of caretaker government and also a leading economist of the country. He said the GDP growth remained stagnant at an average 5.0 to 6.0 per cent for the last few years due to lack of private sector investment. But the government fails to radically reshape its economic policies to accelerate the private sector investment.
“Like previous year, the government this time will also face challenge to boost such investment,” he noted.
Reported by UNB
CPD concerned; FBCCI happy over budget
UNB
Centre for Policy Dialogue (CPD) on Thursday expressed concern over the lack of equilibrium between the income and expenditure budget proposed for the fiscal 2015-2016.
In his immediate budget reaction, CPD distinguished fellow Dr Debapriya Bhattacharya said the government has estimated the income budget to accommodate its ‘big expenditures’.
This is a serious concern against the backdrop of 50 percent reduction of the foreign aid, he noted.
However, CPD welcomes various moves in the proposed budget, including reducing the corporate tax, coordinating the corporate tax with the personal tax, increasing the ceiling of tax-free income to Tk 2.50 lakh from Tk 2.20 lakh.
He also thanked the government for keeping up with the gender budget.
Debapriya was speaking at a press conference at CPD office in the capital.
Meanwhile, the Federation of Chambers of Commerce and Industries (FBCCI) president Abdul Matlub Ahmed told reporters at FBCCI office that the proposed budget will promote private sector investment and the expansion of the local industries.
Asked whether the government’s target to borrow heavily from the banks –– proposed as Tk 38,523 crore – will create any negative impact on the private sector investment, the FBCCI president replied the negative
There has been huge idle money in the banks and the business community can apprehend a huge industrial boom in the country in the coming days, he said.
Published in Samakal
লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পদক্ষেপ নেই
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য অর্থমন্ত্রী ঘোষিত বাজেট বিষয়ে তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে বলেন, বাজেটে আর্থিক কাঠামোর আকার বিচার করে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করে আয় সংস্থানের কিছু প্রাক্কলন করেছেন অর্থমন্ত্রী। এই আয়ের উৎসে গিয়ে অবাস্তব প্রাক্কলন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাজেটের যে স্ফীতি, তা বাস্তবসম্মত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে না। এ বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বাস্তবসম্মত যেসব পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ছিল, তাও দেখছি না। এ ছাড়া এবারের বাজেটে জেলাভিত্তিক বাজেট না থাকায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন।
ড. দেবপ্রিয় গতকাল সিপিডি কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক এ প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। তবে আজ সিপিডির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।