Dr Debapriya Bhattacharya pays tribute to late economist

বাংলাদেশে একটি সৌভাগ্যবান প্রজন্ম রয়েছে। যাদের জন্ম ব্রিটিশ ভারতে, শিক্ষাজীবন ও বেড়ে ওঠা পাকিস্তান আমলে আর কর্মজীবন শুরু স্বাধীন বাংলাদেশে। আবদুল গফুর ছিলেন সেই সৌভাগ্যবান প্রজন্মের প্রতিনিধি।

Published in The Financial Express

Rising farm wages help cut poverty: BIDS economist

FE Report

Rise in real wages in the agriculture sector played a significant role in poverty reduction in the country between 1996 and 2013.

The analysis came in a paper on ‘Inclusive Development and Agricultural Labour’ at the Abdul Ghafur Memorial Lecture 2015 at Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS).

BIDS research director Rushidan Islam presented the keynote paper at the programme in remembrance of  noted economist Abdul Ghafur.

Palli Karma Shahayak Foundation (PKSF) chairman Qazi Kholiquzzaman Ahmad was present as the chief guest, while Centre for Policy Dialogue (CPD) distinguished fellow Debapriya Bhattacharya a special speaker.

BIDS director general KAS Murshid chaired the programme.

“Agriculture has to some extent played the role of a price leader in the labour market, which resulted in the growth of real wage during last one and a half decades,” said Rushidan Islam.

She added: “Real wage in agriculture and construction increased during the 2008-2012 period…Growth of real wage in agriculture and construction has occurred mainly due to the pressure of peak season demand when surplus labour is hardly available although underemployment is observed in the slack season.” Real wage has been calculated in terms of rice equivalent of that wage available at the market price that year. But the real wage increase has been shown higher than it is practically as the price of other consumer products increased even higher.

Ms Islam said about 34 per cent families in rural areas have been identified as agriculture labourer in various statistics. If the entire matured workforce is taken into consideration, 20 per cent labourers of the country fall in daily or irregular working class category. The poverty incidence is the highest among the agriculture labourers followed by non-farm day labourers.

“These agriculture labourers are at the lowest stratum of the society,” said Ms Islam. “So it is not enough to increase the agriculture wage only to include these agriculture labourers in the same financial and social status with all. For that, agriculture must be modernised very fast instead of keeping it neglected.”

In his speech, Debapriya Bhattacharya discussed on the works and life of late economist Abdul Ghafur.

Abdul Ghafur worked in three stages: he was a pioneer economist who focused on fiscal, tax and customs duty immediately after independence. In the second stage, he focused on public expenditure and finally illegal informal trade.

Mr Ghafur was also a pioneer, who started project evaluation and monitoring in the 90s. He practised economics to bring a change to the society, Debapriya said.


Published in Prothom Alo

বিআইডিএসের আবদুল গফুর স্মারক বক্তৃতা

কৃষিশ্রমিকেরা সামাজিক মর্যাদায় সর্বনিম্ন অবস্থানে

cpd-debapriya-bhattacharya-pays-tribute-economist-abdul-gafur-2015

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএসের সম্মেলনকক্ষে গতকাল আবদুল গফুর স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে (বাঁ থেকে) সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদ, পিকেএসএফের চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ ও বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমান l প্রথম আলোবাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের প্রায় ৩৪ শতাংশ পরিবারই কৃষিশ্রমিক। এসব শ্রমিকের মজুরি বাড়লেও সামাজিক মর্যাদা বাড়েনি। তাই এখনো কৃষিশ্রমিকেরা সামাজিক মর্যাদার দিক থেকে সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছেন। এ অবস্থা বিদ্যমান রেখে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন সম্ভব নয়।

গতকাল বুধবার গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ‘আবদুল গফুর স্মারক বক্তৃতায়’ সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমান এ অভিমত তুলে ধরেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএসের সম্মেলনকক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। তাতে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং কৃষি শ্রমিকের ভূমিকা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তিনি।

মূল প্রবন্ধে রুশিদান ইসলাম আরও বলেন, শুধু মজুরি বাড়িয়ে কৃষির সঙ্গে যুক্ত শ্রমজীবী মানুষের মর্যাদা বাড়ানো যাবে না। কৃষিশ্রমিকদের মর্যাদা বাড়াতে হলে দরকার কৃষির আধুনিকায়ন। এর ফলে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীও এ পেশায় যুক্ত হতে পারে। আর তখন এর সামাজিক মর্যাদা বাড়বে।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর আর্থিক খাতের বিভিন্ন বিষয়ে নীতি-পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বড় ধরনের অবদান রেখেছেন প্রয়াত আবদুল গফুর। দেশের প্রাচীন ও স্বাধীন গবেষণা সংস্থা বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০২ সালের জানুয়ারিতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন আবদুল গফুর।

স্বাধীনতার পর রাজস্বনীতি, সরকারি ব্যয়, অবৈধ অপ্রচলিত বাণিজ্য, প্রকল্প মূল্যায়নসহ বিভিন্ন খাতের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন প্রয়াত এই অর্থনীতিবিদ। বাংলাদেশে অর্থনীতির চর্চা ও গবেষণায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। অনুষ্ঠানে আলোচকেরা তাঁর সম্পর্কে এসব মূল্যায়ন তুলে ধরেন। ৬৭ বছর বয়সে প্রয়াত এই গবেষককে নিয়ে বিআইডিএস চতুর্থবারের মতো এই স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে।

বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুরশিদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আবদুল গফুরের বন্ধু ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে প্রয়াত আবদুল গফুরের বিভিন্ন স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘গফুরের নিজের ওপর অসম্ভব আত্মবিশ্বাস ছিল। নীতির প্রশ্নে ছিল অবিচল। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে তার বিরোধিতা করেছি। তা সত্ত্বেও আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি ঘটেনি। কারণ আমাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিল। এখনকার সময়ে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ কমে যাচ্ছে।’

কাজী খলীকুজ্জমান আরও বলেন, একটা সময় ছিল যখন প্রকাশ্যে সরকারের দুর্নীতির কথা বলা যেত না। এমনকি গবেষণাকর্মেও দুর্নীতি শব্দটি ব্যবহার করা কঠিন ছিল। সে সময় আবদুল গফুরের পরামর্শে সরকারের দুর্নীতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছিল ‘লিকেজ’ নামে।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি সৌভাগ্যবান প্রজন্ম রয়েছে। যাদের জন্ম ব্রিটিশ ভারতে, শিক্ষাজীবন ও বেড়ে ওঠা পাকিস্তান আমলে আর কর্মজীবন শুরু স্বাধীন বাংলাদেশে। আবদুল গফুর ছিলেন সেই সৌভাগ্যবান প্রজন্মের প্রতিনিধি। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যেমন আবদুল গফুর সক্রিয় ছিলেন, তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ছিল তাঁর অপরিসীম অবদান। তিনি ছিলেন একজন পরিপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনীতিবিদ। স্বাধীনতার পরপরই তিনি রাজস্ব, কর, কাস্টমস শুল্ক নিয়ে গবেষণা, নীতি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এরপর তিনি মনোনিবেশ করেন সরকারি ব্যয়ের ওপর। নব্বইয়ের দশকে এসে তিনি অবৈধ অপ্রচলিত বণিজ্য ও মুদ্রার রূপান্তরব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেছেন। এমনকি সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মূল্যায়নের খুঁটিনাটি বিভিন্ন দিক তিনি আমাদের শিখিয়েছেন।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইডিএসের সাবেক গবেষক মহিউদ্দিন আলমগীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ্‌ চৌধুরী, বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রয়াত আবদুল গফুরের জীবনকর্ম নিয়ে একটি সংকলনগ্রন্থ প্রকাশেরও আহ্বান জানানো হয়।


Published in Bonik Barta

স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বক্তারা

আবদুল গফুর ছিলেন আত্মবিশ্বাসী সামষ্টিক অর্থনীতিবিদ

স্বাধীনতার পর রাজস্ব নীতি, সরকারি ব্যয়, অবৈধ অপ্রচলিত বাণিজ্য, প্রকল্প মূল্যায়নসহ বিভিন্ন খাতের নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তিনি। বাংলাদেশে অর্থনীতিচর্চা ও গবেষণায় তার অবদান অনস্বীকার্য। এক কথায় আবদুল গফুর ছিলেন একজন আত্মবিশ্বাসী সামষ্টিক অর্থনীতিবিদ।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত ‘আবদুল গফুর স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে বক্তারা তার সম্পর্কে এসব মূল্যায়ন তুলে ধরেন। প্রয়াত এ গবেষককে নিয়ে বিআইডিএস চতুর্থবারের মতো এ স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে।

স্বাধীনতার পর পর আর্থিক খাতের বিভিন্ন বিষয়ে নীতি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বড় ধরনের অবদান রেখেছেন প্রয়াত আবদুল গফুর। দেশের প্রাচীন ও স্বাধীন সংস্থা বিআইডিএসে গবেষণা পরিচালক হিসেবে সর্বশেষ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০০২ সালের জানুয়ারিতে হূদরোগে ইন্তেকাল করেন আবদুল গফুর।

বিআইডিএসের মহাপরিচালক কেএএস মুরশিদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। স্মারক বক্তৃতায় ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন এবং কৃষি শ্রমিকের ভূমিকা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইডিএসের বর্তমান গবেষণা পরিচালক রুশিদান ইসলাম রহমান।

আবদুল গফুরকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন ড. কাজী খলিকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, ‘নিজের ওপর গফুরের অসম্ভব অবিশ্বাস ছিল। নীতির প্রশ্নে ছিলেন অবিচল। ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন সময় তার বিরোধিতা করেছি। তা সত্ত্বেও আমাদের সম্পর্কের কোনো অবনতি ঘটেনি। কারণ আমাদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ছিল।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিআইডিএসের সাবেক গবেষক মহিউদ্দিন আলমগীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিআইডিএসের বর্তমান গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রয়াত আবদুল গফুরের জীবনকর্ম নিয়ে একটি সংকলন গ্রন্থ প্রকাশেরও আহ্বান জানানো হয়।