‘টেকসই ব্যবসা প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।’ সাইটেইনিবিলিটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের মানের ভিত্তিতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
Published in Dhaka Tribune on Friday, 18 September 2015.
Concerted efforts stressed to ensure business sustainablity
Tribune Report
Telenor Head of Corporate Affairs Katja Nordgaard speaks at a seminar on business sustainability at the Westin Hotel in the capital yesterday
The government and corporate sectors of any country should work collaboratively to ensure sustainable business practices that bring good to the country, speakers said at a programme yesterday.
They said this at the seminar titled “Business sustainability – perspective on creating shared value” at the Westin Hotel in the capital.
Telenor Group, in association with the Norwegian Embassy, Dhaka, hosted the programme.
Katja Nordgaard, executive vice-president & head of Corporate Affairs at Telenor, delivered her keynote speech on sustainable business practices and long term perspective of shared value creation for business and society across Asia.
The keynote was followed by a panel discussion on recent developments in the areas of business and sustainability.
Merete Lundemo, Norwegian Ambassador to Bangladesh; Matlub Ahmed, FBCCI president, Dr Debapriya Bhattachariya, distinguished fellow, Centre for Policy Dialogue (CPD), Nooruddin Chowdhury, country manager of DHL; and Hans Henrichsen, chief representative officer, Telenor Country Office, Bangladesh, were present as panellists.
The seminar provided insight into how the Norwegian company focuses on sustainable initiatives that create a long-term shared value for business, customers and society at large.
Today the telecommunication industry in Bangladesh accounts for almost 4% of the country’s Gross Domestic Product (GDP), apart from creating over 1 million indirect employment opportunities.
Since its footing in Bangladesh 18 years ago, Telenor has been interested in working closely with the government in developing the country.
In her address Katja Nordgaard said: “As the industry leader, GP is at an important position of influence in leading business sustainability in Bangladesh.”
The cellphone industry has been contributing both by extending benefits of mobile communications to everyone as well as ensuring responsible business practices, added the Telenor high-up.
“With Grameenphone being the leading commercial player in Bangladesh, Telenor is aware of its responsibilities to lead by example and demonstrate business sustainability locally,” Katja said.
According to Norwegian Ambassador Merete Lundemo, the government and corporate sector should work together for introducing the business sustainability.
“FBCCI, the apex body of business people in Bangladesh, is planning to introduce an award on business sustainability in four categories,” said Matlub Ahmed.
“We will focus on small business entities for sustainability for the sake our own business interest,” he added.
CPD distinguished fellow Dr Debapriya Bhattacharya suggested participatory coordination management system necessary to introduce business sustainability in developing countries.
DHL’s Nooruddin Chowdhury said business sustainability is a part of strategy, and by introducing this, it is possible to increase employees’ skill.
Prof Dr Syed Ferhat Anwar of the Institute of Business Administration (IBA), University of Dhaka, moderated the panel discussion.
Published in Prothom Alo
ব্যবসা টেকসই করা নিয়ে টেলিনরের সেমিনার
টেকসই ব্যবসা প্রবৃদ্ধিতে দরকার নীতি প্রণোদনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
করপোরেট খাতে ব্যবসায়িক মুনাফার পাশাপাশি এখন সমান গুরুত্বপূর্ণ টেকসই ব্যবসা প্রবৃদ্ধি। সমাজ ও রাষ্ট্রের সামগ্রিক কল্যাণের জন্য টেকসই ব্যবসা প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে করপোরেট খাতের যেমন দায়িত্ব আছে, তেমনি রাষ্ট্রকেও এ ক্ষেত্রে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
টেকসই ব্যবসা প্রবৃদ্ধি নিয়ে নরওয়ের বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিনর ও নরওয়ে দূতাবাস আয়োজিত এক সেমিনারে এমন মতই উঠে এসেছে। রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত এ সেমিনারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘বিজনেস সাসটেইনিবিলিটি-পারসপেক্টিভ অন ক্রিয়েটিং শেয়ারড ভ্যালু’। বাংলাদেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের মূল মালিকানা প্রতিষ্ঠান হলো টেলিনর।
সেমিনারে মূল বক্তা ছিলেন টেলিনর গ্রুপের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও করপোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রধান কাটইয়া নর্ডগ্রাদ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যবসায় টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে গ্রামীণফোন সব সময় কাজ করে এসেছে। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সবার জন্য ইন্টারনেট, অনলাইন স্কুল, টেলিচিকিৎসা, মুঠোফোনভিত্তিক জীবনবিমার মতো বিষয়গুলো এ দেশে চালু করেছে গ্রামীণফোন।’
সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারের সঞ্চালনায় একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘টেকসই ব্যবসা প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।’ সাইটেইনিবিলিটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের মানের ভিত্তিতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুরস্কৃত করা যেতে পারে বলে তিনি মনে করেন।
আলোচনায় এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, টেকসই ব্যবসা প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে করপোরেট খাতের পাশাপাশি এসএমই খাতকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মারেটে লুন্ডেমো বলেন, টেকসই ব্যবসা প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হলে করপোরেট খাতে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
Published in Samakal
টেলিযোগাযোগ খাতের সব পক্ষের সমন্বয় বাড়াতে হবে
সমকাল প্রতিবেদক
টেলিযোগাযোগ খাতে টেকসই উন্নয়নে অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। বহুমুখী অংশীদারত্বেরও অভাব রয়েছে এ খাতে। তথ্য প্রকাশে কোম্পানিগুলোর মধ্যে যথেষ্ট স্বতঃস্ফূর্ততা নেই। এ অবস্থায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কথা বলেছেন এ-সংক্রান্ত এক সেমিনারে বক্তারা। গতকাল রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এ সেমিনারের আয়োজন করে টেলিনর গ্রুপ এবং ঢাকায় নরওয়ে দূতাবাস। ‘বিজনেস সাসটেইনিবিলিটি :পারসপেক্টিভ অন ক্রিয়েটিং শেয়ারড ভ্যালু’ শিরোনামের সেমিনারে বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ পাঠ করেন টেলিনর গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স কাটইয়া নর্ডগ্রাদ। সেমিনার পরিচালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ ফরহাত আনোয়ার।
সেমিনারের প্যানেল আলোচক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে ব্যবসার টেকসই উন্নয়নে স্থায়ী অবকাঠামো হচ্ছে মূল বিষয়। এ খাতের সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে সরকার গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সুতরাং স্থায়ী উন্নয়ন কাঠামোর বিষয়টি সরকারকে বুঝতে হবে। তবে সেসব বিষয়ের চেয়ে কোম্পানিগুলোর মধ্যে কর ছাড় চাওয়ার প্রবণতাই বেশি।
ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ে রাষ্ট্রদূত মারেটে লুন্ডেমো বলেন, টেকসই ব্যবসা উন্নয়নে সরকার এবং করপোরেটকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। নতুন পণ্য এবং সেবার আওতা বাড়ানো প্রয়োজন। এ ছাড়া জনবলও মেধাসম্পন্ন হওয়া দরকার। বিশেষ করে নারীকর্মী নিয়োগের কথা বলেন তিনি।
এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বেসরকারি খাত দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি । তবে ব্যবাসার টেকসই উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে অনুসরণে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ শাড়ি, লুঙ্গি থেকে শুরু করে রফতানিমুখী বস্ত্র ও পোশাক খাত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) আওতাভুক্ত। টেলিযোগাযোগ খাতে এসএমই কীভাবে অবদান রাখতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
প্রবন্ধে কাটইয়া নর্ডগ্রাদ বলেন, টেলিকম খাতে প্রধান সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশে টেকসই ব্যবসা উন্নয়নে গ্রামীণফোনের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান ৪ শতাংশ। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ১০ লাখের বেশি কর্মসংস্থান রয়েছে এ খাতে। প্রশ্নোত্তর পর্বে দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে টেলি সেবার আওতায় আনতে পরিত্যক্ত টেলিফোন হ্যান্ডসেট রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করার বিষয়ে একাধিক প্রস্তাব উঠে আসে সেমিনারে।