Published in Sangbad on Sunday, 20 September 2015.
রিপোর্টারের সাতকাহন
আমলাদের পরামর্শেই কি সিদ্ধান্ত!
সালাম জুবায়ের
সম্প্রতি কিছু ঘটনার প্রেক্ষাপটে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে যে, ঘুণেধরা আমলাতন্ত্র এবং চরম উচ্চাভিলাষী আমলাদের নানা রকম কারসাজি সরকারের বিভিন্নমুখী সাফল্যকে কিছুটা মস্নান করে দিচ্ছে। এটা সরকারের নীতিনির্ধারকরা বুঝেও না বোঝার ভান করলেও জনগণ ঠিকমতো নিচ্ছে না। এই যে, সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত জনগণ ঠিকমতো গ্রহণ করছে না, তার ফলশ্রুতি হচ্ছে সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়তে পারে। আমলাদের কারণে সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
গণতান্ত্রিক এবং সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালনা করেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ, সংসদ সদস্য এবং তাদের মাধ্যমে মনোনীত মন্ত্রীরা। সব গণতান্ত্রিক দেশে আমলারা কাজ করেন মন্ত্রীদের নির্দেশে। মন্ত্রিপরিষদ সভার নির্দেশ, পরামর্শ এবং সিদ্ধান্তের আলোকে মন্ত্রণালয়ের সব ধরনের কর্মকা- সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার একমাত্র মন্ত্রীদের। এভাবেই চলছিলও। কিন্তু ইদানিং দেখা যাচ্ছে আমলারা অনেক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছেন মন্ত্রী এবং সরকারের ওপর। আমলারা সুকৌশলে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিলেও সেই সিদ্ধান্তের ফলে কোন বিরূপ পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তার দায় কোন আমলাই গ্রহণ করেন না। তখন সব দায়-দায়িত্ব জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে সরকার এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের ওপর। কোন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সরকারকে পিছু হটে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে এবং ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে সরকার প্রেস্টিজ ইস্যু মনে করে সিদ্ধান্ত ভুল হলেও গো ধরে অবস্থান পাল্টান না। তবে আমলারা এর কোনটারই দায় গ্রহণ করেন না। বরং সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের সমালোচনায় তারাও যোগ দেন।
সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে এমন ঘটনা ঘটেছে। সরকারের নীতিনির্ধারকরা বিষয়টি উপলব্দি করতে পারছেন কিনা জানি না, তবে সরকার যে তাতে সমালোচনার মুখে পড়ছেন তা নিশ্চিত।
এক্ষেত্রে অতিসম্প্রতি যা ঘটল সেটি নিয়েই প্রথমে কথা বলা যায়। তা হলো_ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট আরোপ করা। এ নিয়ে সরকার নাকানি-চুবানি খাওয়ার পর সবাই উপলব্দি করলেন যে, দেশের শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে কোন লোকই এভাবে উচ্চ শিক্ষাক্ষেত্রে ভ্যাট আরোপ করাকে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত বলে মেনে নেননি। বরং সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার মতো একটি কাজ বলে উল্লেখ করেন। ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে সরকার সমর্থক শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী কেউই সরকারের এমন উদ্ভট সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হননি এবং এইসব দলীয় নেতা, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী তাদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ্যে, কেউ সংবাদপত্রে কলাম লিখে, কেউ টিভির টকশো’তে তাদের সব ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আর সারাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাতো পথে নেমে তুলকালাম কা- ঘটিয়ে দিল, যার ভুক্তভোগী হলেন লাখ লাখ মানুষ। এ নিয়ে পত্রিকার পাতায় যখন প্রতিদিনই সরকারকে দোষারোপ করে খবর প্রকাশিত হতে শুরু করল তখন সরকারের টনক নড়ে এবং সিদ্ধান্তটি ঠিক হয়নি মনে করে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলেন। কিন্তু তার আগেই ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। দু’ধরনের ক্ষতি হলো এতে- প্রথমত মানুষ বুঝলেন বর্তমান সরকার কোন সিদ্ধান্তের ফল বা প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে তার সাতপাঁচ না ভেবেই আমলাদের পরামর্শে হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন এবং এর ফলে সরকারের ওপর মানুষের আস্থায় কিছুটা হলেও চিড় ধরেছে। অন্যদিকে মানুষ অবাক হয়েছেন, যা তারা প্রকাশ্যে বলেছেনও। তাহলো_ যে সরকার সময়মতো একের পর এক ভালো সিদ্ধান্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছেন, বলা যায় বিপ্লব সাধন করেছেন, সেই সরকারই কোন চিন্তায়, কোন গণবিরোধী আমলার পরামর্শে শিক্ষাক্ষেত্রে এমন অপ্রয়োজনীয় একটি সিদ্ধান্ত নিলেন?
জনপ্রিয় অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য একটি চিভি টকশো’তে অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ভ্যাট আরোপের অসুবিধা, অপ্রয়োজনীয়তা, ভ্যাটের মাধ্যমে সরকারের কতটা আয় বাড়বে এবং ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের ইতিপূর্বে গৃহীত ভালো সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপের কতটা বিরোধী- এসব বিস্তারিত তুলে ধরে ক্ষুব্ধ হয়ে বলেই ফেললেন, খুঁজে বের করা দরকার সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা এমন গণবিরোধী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার এই লোকগুলো কারা?
প্রায় একই ধরনের আরেকটি কা- ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ক্ষেত্রে। বহু আলোচিত সম্প্রতি ঘোষিত ৮ম জাতীয় পে-স্কেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মর্যাদা এক ধাপ নামিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি অবশ্য ভিন্নভাবেও ব্যাখ্যা করা যায়। তা হলো_ আমলারা সুকৌশলে তাদের বেতন কাঠামো এমনভাবে নির্ধারণ করেছেন যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন এক ধাপ নিচে থাকতেই থেমে যাবে। অর্থাৎ আমলারা বেতন-ভাতার দিক দিয়ে সর্বোচ্চ ধাপে উঠবেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা সেই ধাপে উঠতে পারবেন না। এর অর্থ দাঁড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বেতন-ভাতার দিক দিয়ে আমলাদের চেয়ে এক ধাপ নিচে থাকবেন। আগের পে-স্কেলে এমন বৈষম্য ছিল না, তখন একজন আমলা যখন সর্বোচ্চ বেতন পেতেন একই বেতন পেতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকও। ৮ম পে-স্কেলে বিষয়টি নতুন করে ঢেলে সাজিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা দুটিই নিচে রাখা হয়েছে। তাদের আরও ওপরের ধাপে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমলাদের পরামর্শে গৃহীত এ সিদ্ধান্ত অবশ্যই সরকারের নিজের পায়ে কুড়াল মারার মতো একটি সিদ্ধান্ত।
সমগ্র বিশ্বেই শিক্ষকদের মর্যাদা সাধারণত অন্য সাধারণ পেশার মানুষের চেয়ে একটু ওপরে রাখা হয়। শিক্ষার মতো একটি মহান পেশায় যাতে সবচেয়ে প্রতিভাবান ছাত্ররা আসতে অনুপ্রাণিত হয় সেজন্যই তাদের বেতন-ভাতা এবং পেশাগত মর্যাদা সাধারণ চাকুরেদের চেয়ে একটু ওপরে রাখা হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সঙ্গে গবেষণার বিষয়টি ওঁৎপ্রোতভাবে জড়িত। শিক্ষকরা যদি ভালো বেতন-ভাতা না পান তবে তাদের গবেষণার দিকে নেয়া যাবে না। আর গবেষণা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় তার জাত-মান ধরে রাখতে পারবে না। যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একই সঙ্গে পড়াশোনা ও গবেষণার ক্ষেত্রে প্রতিভার পরিচয় না দেন সে বিশ্ববিদ্যালয় কখনোই ভালো বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে সুনাম কুড়াতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম চোখে পড়ে। শেখ হাসিনার সরকার কথায় নয় বাস্তবেই শিক্ষাক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেন। উন্নয়ন প্রকল্পও এক্ষেত্রে বেশিই। কিন্তু তারপরও একথা বলা যাবে না যে, শিক্ষকরা অন্যদের চেয়ে বেশি সুবিধা পায়। শিক্ষকদের ভালো বেতন-ভাতা দেয়ার অনেক উদাহরণ আমাদের পার্শ্ববর্তী সব দেশেই আছে। সরকারি অর্থে পরিচালিত সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন’র সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর এএসএম মাকসুদ কামাল সম্প্রতি এক টিভি টকশো’তে তাদের দাবি-দাওয়ার কথা বলতে গিয়ে আমাদের পাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ইত্যাদি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা বাংলাদেশের চেয়ে বেশি বেতন পাওয়ার উদাহরণ তুলে ধরেন। বাংলাদেশে এর ব্যতিক্রম কেন হচ্ছে সে প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
এখন কথা হচ্ছে এই শিক্ষকদের সঙ্গে এভাবে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হলো তার পরিণাম কি ভালো হবে? অবশ্যই না। প্রতিটি সচেতন মানুষ এজন্য আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। সরকার তার ভালো-মন্দের দিকটি না ভেবেই আমলাদের কুপরামর্শ গ্রহণ করে নিজের বিপদ ডেকে এনেছেন। এতে সরকারের অর্থনৈতিক কোন লাভ-লোকসান নেই। তারপরও কেন সরকার এভাবে সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অপমান করলেন শুধু আমলাদের খুশি করতে গিয়ে। এটা একটি দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো ফল বয়ে আনবে না- এ কথা হলফ করে বলা যায়।
অতি সম্প্রতি সরকার আরেকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তা হলো_ দেশের মানুষের হাতে হাতে যে সব মোবাইল ফোন চলছে তার সবগুলো সিম আবার রেজিস্ট্রেশন করতে নির্দেশ দেয়া। কেন সরকার হুট করে এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তার হদিস পাচ্ছেন না সচেতন দেশবাসী। আর মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশন করতে নির্দেশ দেয়ার আগে টেলিফোন মন্ত্রী (প্রতিমন্ত্রী) এবং আমলারা যে কা-কারখানা করলেন তা সাধারণ সচেতন মানুষের হাসির খোরাক হয়েছে। একবার বললেন সব সিম পুনঃরেজিস্ট্রেশন করতে হবে, পরে আবার বললেন যাদের রেজিস্ট্রেশন নেই তাদের সিম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সরকারের এক কর্মকর্তা মন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বললেন। এভাবে একাধিক বক্তব্য দিয়ে মন্ত্রী এবং আমলারা পুরো বিষয়টি তালগোল পাকিয়ে ফেললেন। মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা একেক জনের মুখে একেক রকম কথা শুনে দিন কয়েক চরম বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন। এখনও সবাই নিশ্চিত করে জানেন না আসলে তাদের কি করতে হবে। তবে একটি বিষয়ে সবাই নিশ্চিত যে, সরকারের এমন বিভ্রান্তিকর এবং মন্ত্রী-আমলার উল্টাপাল্টা কথাবার্তায় মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই ক্ষুব্ধ, শুধু ক্ষুব্ধ নয়, চরম ক্ষুব্ধ। সচেতন মোবাইল ব্যবহারকারীরা মনে করেন সরকারের টেলিফোন মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা চিন্তা করে না, মন্ত্রণালয় চলে আমলাদের কথায়। কেন মন্ত্রণালয় এমন উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত এবং বিভ্রান্তিমূলক নির্দেশনা দিল? পুরো ঘটনায় সরকার ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে না কমবে? এসব নিয়ে তাদের জবাবদিহি করতে বলা উচিত।
এখন সবার প্রশ্ন হচ্ছে_ কেন সব মোবাইল ব্যবহারকারীকে আবার সিম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে, কি অপরাধ তাদের? সবাইতো সিম কেনার সময় রেজিস্ট্রেশন করেই সিম কিনেছেন। যদি কেউ রেজিস্ট্রেশন চাড়া সিম কিনে থাকে শুধু তাদেরই নির্দেশ দেয়া উচিত ছিল। তা না করে কেন সবাইকে নির্দেশ দেয়া হলো? কেন সবাইকে আবার টাকা খরচ করে দোকানে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে? এভাবে গ্রাহকদের কেন বিড়ম্বনা এবং কষ্টের মধ্যে ফেলা হচ্ছে?
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী দেশে এখন সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার। তাদের সবাইকে শহরে মোবাইল ফোন কোম্পানির দোকানে গিয়ে পুনঃরেজিস্ট্রেশন করতে যে কষ্ট করতে হবে তার দায় নেবে কে? সিম পুনঃরেজিস্ট্রেশনের জন্য ১২ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহককে গাড়িভাড়া খরচ করে দোকানে যেতে হয় তবে মোট কথা টাকা খরচ হবে তার একটি হিসাব একজন সচেতন নাগরিক তার ফেসবুকে তুলে ধরেছেন। ফেসবুক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, ‘একজন গ্রাহকের যদি যাতায়াত বাবদ গড়ে ২০ টাকা করেও খরচ হয় তাহলেও ২৪০ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ হবে। সময় আর ঝক্কি ঝামেলার কথা নাই বা বললাম। ১২ কোটি ১৮ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহকের সবাই কি চোর ডাকাত! রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, বিচারপতি, পুলিশ, র?্যাব, সচিব সবার সিমও আবার নিবন্ধন করতে হবে। তার মানে উনারা সন্দেহের ঊধর্ে্ব নন! ১৭ বছর ধরে মোবাইল ব্যবহার করছি। দেশের অধিকাংশ সিমই নিবন্ধিত। যেগুলোর নিবন্ধন নেই বা ভুয়া আইডি নাম্বার দেয়া হয়েছে সেগুলোর কানেকশন অফ করে দিলেই তো হয়।’
এভাবে অনেক মানুষই মনে করেন আবার সিম রেজিস্ট্রেশন করতে নির্দেশ দিয়ে সরকার মানুষকে বেহুদা কষ্ট এবং খরচের মধ্যে ফেলছেন এবং এসব করা হচ্ছে স্রেফ আমলাদের পরামর্শে। আমলারা যদি রাজনীতিবিদদের পরামর্শ দিয়ে বেকায়দায় ফেলেন তবে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা কেন সেসব পরামর্শ কানে তুলবেন? বরং আমলাদের চেয়ে দেশের মানুষ যারা ভোট দিয়ে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দেন একটি রাজনৈতিক দলকে, তাদের কথা বেশি করে ভাবা উচিত। কারণ আমলারা ভোট দিয়ে কাউকে ক্ষমতায় বসাতে পারে না। জনগণ ভোট দিয়ে সরকার বানায়, আর সেই সরকার চলবে আমলাদের কথায় এমন ব্যবস্থা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নের পথে ধাবমান একটি দেশের জন্য কোনভাবেই সম্মাজনক নয়।