Dr Fahmida Khatun on challenges for women entrepreneurs in Bangladesh

Published in The Financial Express on Sunday, 4 May 2014.

Women entrepreneurs don’t get due support from banks
Speakers tell seminar

FE Report

Women entrepreneurs of the country still face various challenges in accessing credit and running their business because of the mindset of the bankers, unfavourable business and family environments and absence of proper guidance and training.

Speakers at a seminar jointly organised by Bangladesh Bank (BB) and Bangladesh Institute of Bank Management (BIBM) on ‘Credit access for women entrepreneurs – challenges, obstacles and the way forward’ made the observation in the city Saturday.

The programme was organised under the Bangladesh Inspired (Developing SMEs) project, in partnership with Bangladesh Women Chamber of Commerce and Industry (BWCCI), Bangladesh Women Entrepreneurs Association of Bangladesh (WEAB), Federation of Bangladesh Chambers of Commerce and Industry (FBCCI), Chittagong Women Chamber of Commerce and Industry and SME Foundation funded by the European Union and the ministry of industries.

The speakers also said the women-dedicated desks are not functioning and banks are still not supportive in developing women entrepreneurs, as the banks lack confidence on women’s capability of running their business.

They demanded of the central bank and the SME Foundation to play their due roles in capacity building, counselling, and treat them equally.

They also demanded a separate fund of Tk 100 million from the corporate social responsibility (CSR) fund of the banks for the training of women entrepreneurs.

BB Governor Atiur Rahman was present at the seminar as the chief guest with Bangladesh Bank Training Academy (BBTA) Executive Director Ataur Rahman in the chair.

Centre for Policy Dialogue (CPD) research director Fahmida Khatun was present as the seminar leader.

First Counsellor and Head of Cooperation of EU delegation to Bangladesh Philippe Jaques, Deputy Governor of BB Abul Quasem, Sonali Bank Director Selima Ahmad, BIBM Director General Toufic Ahmad Choudhury, among others, were present at the seminar.

In her keynote presentation, Fahmida Khatun said most of the women entrepreneurs in Bangladesh are engaged in small and medium enterprises (SMEs) and face particular challenges in accessing credit to establish and expand their businesses.

Despite several national policies and institutional measures, access to credit by women entrepreneurs in Bangladesh is not satisfactory, she added.

Referring to BB data of 2013, Ms Fahmida said although 22.95 per cent of all commercial credit from the financial sector has been disbursed as SME loans, only 3.2 per cent of the total SME loan was sanctioned to women entrepreneurs.

She said 54 per cent of the women entrepreneurs are engaged in trading, 28 per cent in manufacturing, and 18 per cent in the service sector.

Relating to the business activities, 96 per cent women entrepreneurs keep records of daily transactions, while 50 per cent keep only income statements or profit and loss account, 17 per cent do not keep any financial statements, and 18 per cent keep all financial statements.

About various challenges, Selima Ahmad said the first challenge for women entrepreneurs in accessing credit is to present a bankable proposition. She urged the bankers to proactively teach the uneducated or ignorant aspiring women borrowers to prepare the documents, maintain books of account or ledger books.

She also said there is absence of a level-playing field in banks as some banks are not friendly towards women entrepreneurs and do not treat them equally.

Ms Ahmad complained that women-dedicated desks are not functioning in most of the banks and the designated person sitting there with a signboard is hardly aware of the responsibility.

She said women entrepreneurs are hardly defaulters but do not get support for their capacity building and are denied their various rights.

Ms Ahmad called upon the women entrepreneurs to develop the characteristics of an entrepreneur and not expect any favour from banks as a woman.

Addressing the seminar, Atiur Rahman said half of 2,000,000 fresh young job seekers entering the job market every year are women. In the face of declining capacity of the public sector as a viable employer, self- employment and SMEs have now become a potential lifeline to generate jobs.

If these women are given access to financial services and other necessary supports are provided, they will find their way to economic emancipation and play their due role in the inclusive economic development of the country, said Mr Rahman.

He said during the last five years a paradigm shift has taken place in the policy regime of BB especially in the areas of SME and agriculture financing, said the BB governor.

“We have refinanced a total of Tk 7.78 billion to 10,000 women entrepreneurs under BB refinance scheme and during the last one year, banking sector has financed Tk 3.95 billion to 3,317 new women entrepreneurs which is 5.0 per cent of the total new SME borrowers,” the governor added.

“Due to our policy support and refinance scheme, financing to women entrepreneurs have increased substantially over the last four years,” the central bank chief said.

Philippe Jaques said SME has a key role to play in Bangladesh, as it creates decent jobs, has potential to increase diversity and competitiveness of Bangladeshi products in international markets, and has been helping in poverty decline and increase in wages in rural areas.

Abul Quasem said women entrepreneurs in Bangladesh face some special problems compared to their male counterparts. Bankers often ask for their husband to be their guarantor while a man is never asked for his wife to be his guarantor.


Published in the Daily Janakantha

নারী উদ্যোক্তাদের ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস করার নির্দেশ

রিস্ক গ্যারান্টি স্কিম চালু করার আহ্বান গবর্নরের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ পেতে এ খাতে রিস্ক গ্যারান্টি স্কিম চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান। এ ঋণের ক্ষেত্রে গ্রেস পিরিয়ড ৩ মাস থেকে বাড়িয়ে ৬ মাস করার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের সুদের হার এক অঙ্কে বেঁধে রাখার কথা উল্লেখ করে গবর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। শনিবার সকালে ব্যাংকের ট্রেনিং একাডেমিতে ‘ক্রেডিট এক্সেস ফর ওম্যান এন্টারপ্রেনার চ্যালেঞ্জ : অবস্ট্যাকল এ্যান্ড দ্য ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ফার্স্ট কাউন্সিলর ফিলিপ জেকস, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর আবুল কাশেম, নারী ব্যবসায়ী সেলিমা আহমেদ, নাসরিন আউয়াল মিন্টু, বিআইবিএমর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. সৈয়দ ইহসানুল করিম, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেইনিং একাডেমির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আতাউর রহমান।

গবর্নর বলেন, অভিযোগ রয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের ঋণের সময়সীমা ৩ মাস রয়েছে। কিন্তু সেটি পরিপালন হয় না। এটি বাড়িয়ে ৬ মাস করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। একই সঙ্গে তা পরিপালন করতে হবে। গবর্নরের মৌখিক নির্দেশই আদেশ হিসেবে দেখতে হবে। আতিউর রহমান বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য রিস্ক গ্যারান্টি স্কিম চালুর বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে। কিন্তু এর শেষ হওয়া দরকার। এটি দ্রুত চালু করতে হবে। দাতাসংস্থাগুলো আসুক বা না আসুক আমরা নিজেরাই চালু করতে পারি। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য পুন?র্অর্থায়ন প্রকল্প থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য ১৫ শতাংশ বরাদ্দ প্রসঙ্গে আতিউর রহমান বলেন, ৫ বছর আগে এর পরিমাণ ১৫ শতাংশ ছিল। কিন্তু এটি বাড়িয়ে এখন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ করা যেতে পারে। এ সময় তিনি নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণের সুদ হার এক অঙ্কে বেঁধে রাখারও আহ্বান জানান। আবার নারী উদ্যোক্তাদেরও মানসিকতার কিছুটা পরিবর্তন জরুরী। তিনি নারী উদ্যোক্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার অনুরোধ করে বলেন, নারী হলেই ঋণ পাওয়া যাবে এ মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংকের কাছের ঋণের জন্য যেতে হবে এবং নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে ভাবতে হবে। গবর্নর বলেন, ব্যাংকগুলোকে ওপর থেকে কিছুটা নামতে হবে। ব্যাংকারদের স্যুট খুলে রেখে বাইরে যেতে হবে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তিনি আরও বলেন, গত ৫ বছরে ব্যাংকারদের মানসিকতার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অনেক চড়াই উৎরাই এর মধ্য দিয়ে গেলেও এটি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর আবুল কাশেম বলেন, নারী উদ্যোক্তারা কখনই ঋণ খেলাপী হতে পারেন না। কারণ তাঁরা পুরুষ উদ্যোক্তাদের চেয়ে আলাদা। নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় আন্তরিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনাদের যে কোন সমস্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের টেলিফোন নাম্বারে ফোন দিয়ে অভিযোগ জানাবেন। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোঃ ইহসানুল করিম বলেন, আমাদের একটা স্বতন্ত্র বিভাগই আছে নারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করার জন্য। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন নতুন খাত চিহ্নিত করতে নিয়মিত গবেষণা করা হচ্ছে। সম্প্রতি নারী উদ্যোক্তাদের ডে-কেয়ার সেন্টার গড়তে উৎসাহী করা হচ্ছে। এটা যেমন নতুন ধারণা, তেমনি উদ্যোক্তাদের জন্য লাভজনকও। নারী উদ্যোক্তাদের আমরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছি, নক্সাসহ নানা ধরনের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি। আবার তাঁদের পণ্যের বিপণনেও সহায়তা করা হচ্ছে। নারী উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে প্রতিবছর এসএমই ফাউন্ডেশন জাতীয় নারী উদ্যোক্তা পুরস্কার দিয়ে আসছে।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের (এসএমই) উৎপাদিত পণ্য বিপণন একটি বড় সমস্যা। এ সব সমস্যা সমাধানে মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজনের পাশাপাশি বিপণনের জন্য ম্যাচ-মেকিং কর্মসূচী আয়োজন, তথ্য সেবা প্রদান, ই-ক্যাটালগ ও ওয়েবসাইট নির্মাণে সহায়তাদানসহ এসএমই খাতে বিভিন্ন উন্নয়নধর্মী কর্মসূচীতে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর তাগিদ দেন। পাশাপাশি উচ্চ সুদের হার কমানো ও গ্রেস পিরিয়ড বাড়ানোর আহ্বান জানান বক্তারা। বাংলাদেশ উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিডব্লিউসিসিআই) সভাপতি সেলিমা আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের নারীদের একটি স্বপ্ন আছে, তাঁরা আত্মনির্ভরশীল হতে চায়। এ জন্য তাঁরা ঋণ নিয়ে কাজ শুরু করতে চায়। নারীরা এখন ঘরের বন্দীদশা থেকে বেরিয়ে এসেছে। এ জন্য তাদের সহযোগিতা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, শুধু ঢাকার নারী উদ্যোক্তাদের কথা চিন্তা করলে হবে না; প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী উদ্যোক্তাদের কথাও ভাবতে হবে। তাই নারী উদ্যোক্তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। এ লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোকে ১০ কোটি টাকার একটি তহবিল গঠনেরও আহ্বান জানান তিনি। এ সময় সেলিমা আহমেদ বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণটা জরুরী। যাতে করে সে তার পণ্যের গুণগত মান রক্ষা করতে পারে। সহজে অর্থ পেতে পারে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ডও বাড়াতে হবে। তবে নারী হিসেবে ব্যাংক ঋণ পাব এই মানসিকতার বাইরে আসতে হবে আমাদের। নারী ব্যবসায়ী নাসরিন আউয়াল মিন্টু বলেন, নারীদের অর্থায়ন পাওয়া যেমন সমস্যা, তেমনি তার জানাশোনার ঘাটতি রয়েছে। প্রযুক্তিগত জ্ঞানের ঘাটতি রয়েছে। ব্যাংকগুলো চাইলে নারীদের প্রশিক্ষণ দিতে পারে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, সমন্বিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে বেকার জনগোষ্ঠীকে শিল্প উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ ঘটিয়ে কাড়িক্ষত ল্য অর্জন প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন। এসএমই খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্ধেক নারীকে বাদ দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ল্য অর্জন সম্ভব নয়। জাতীয় অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার নারীদের অবদান মাত্র ১০ থেকে ১৫ ভাগ। ব্যবসায় নারীদের অংশগ্রহণ শতকরা ১ ভাগের সামান্য বেশি। আর এসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ১০ ভাগ। কাড়িক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে এ সংখ্যা দ্রুত বাড়ানো প্রয়োজন।