Published in Amader Orthonete on Sunday, 7 June 2015.
গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কম বেড়েছে অনুন্নয়ন খাতে
বাজেট ২০১৫-১৬
হাসান আরিফ : শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর উন্নয়ন ও মোট বাজেটের শতকরা বরাদ্দ কমেছে। অপরদিকে প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় বেড়েছে। আর সামান্য বেড়েছে জ্বালানি ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাতের বরাদ্দ। তবে বেতন-ভাতা ও সুদ পরিশোধের মতো অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় অনেক বেশি বেড়ে গেছে। যদিও বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী মানবসম্পদ উন্নয়নে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতের গুরুত্বের কথা বলেছেন। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে না পারলে স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ বাড়লেও তার বিস্তারিত বলা হয়নি। বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও তিনি এ বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। নির্বাচন কমিশনের বাজেট দ্বিগুণ করা হয়েছে। সামান্য হলেও কমেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরাদ্দ। প্রস্তাবিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনায় এসব চিত্র উঠে এসেছে।
মানবসম্পদ খাত : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দ ৫ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা, যা এডিপির বরাদ্দের ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। অপর দিকে চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকা, যা এডিপির বরাদ্দের ৭ দশমিক ২ শতাংশ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৪ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৪ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৪ হাজার ১৪২ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যান্য ৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৭ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৯ দশমিক ৫ শতাংশ। এবারে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জিডিপির ২ শতাংশ। আর আগের অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ১৬ শতাংশ। ইউনেসকোর সুপারিশÑ শিক্ষা খাতে একটি দেশের বরাদ্দ হওয়া উচিত জিডিপির ৬ শতাংশ। অর্থাৎ অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশ।
বাজেট বক্তৃতায় মাধ্যমিক শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, প্রথমেই বলতে হবে, প্রাথমিক শিক্ষার পরেই অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। দ্বিতীয়ত, মাধ্যমিক শিক্ষায় মানসম্মত শিক্ষকের অভাব খুবই প্রকট। তৃতীয়ত, এই স্তরে শিক্ষার মান বেশ নিু পর্যায়ে আছে। বক্তৃতায় গুরুত্ব পেলেও বরাদ্দে গুরুত্ব পেল না এই শিক্ষা খাত।
এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৪ হাজার ৫০২ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে তা ১৩ হাজার ৬৭৩ কোটি টাকা। এবারের বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি এক করে দেখানো হয়েছে। সব মিলিয়ে এই খাত বরাদ্দ পেয়েছে ৩৪ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সরকারের করা বিভিন্ন পদক্ষেপের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্যব্যবস্থার আধুনিকায়নের কথাও বলেছেন। কিন্তু বরাদ্দ বাড়িয়েছেন কম।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া উচিৎ, এটা সবাই যেমনি বলে, তেমনি সরকারও বলে। তাই সরকারকে সেটা প্রমাণ করতে হবে। এখন দেখা যায়, বাজেটের আকার বাড়লে সবকিছুর বরাদ্দই বাড়ে, শিক্ষায়ও বাড়ে। এটা না করে আনুপাতিক হার ও পরিমাণ দুই দিক থেকেই শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৪ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৬ দশমিক ১ শতাংশ। আবার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ একই রকম আছে, দশমিক ৭৪ শতাংশ। ৫ বছর আগেও স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ ছিল জিডিপির প্রায় ১ শতাংশ। ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার মোট বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে তা ছিল ১১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতের অংশ মাত্র ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ। অথচ বিদায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বরাদ্দ ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
সরকার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ২০১১-১৬ মেয়াদে ১৩ হাজার ৫৭৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৪৩ হাজার ৪২০ কোটি ৩৮ লাখ টাকাসহ মোট ৫৬ হাজার ৯৯৩ কোটি ৫৪ লাখ ব্যয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। যার উদ্দেশ্য মহিলা, শিশু ও সুবিধাবঞ্চিতদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও পুষ্টিসেবা প্রাপ্তির চাহিদা বৃদ্ধি, কার্যকর সেবা প্রাপ্তি সহজলভ্য করা এবং সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস, রোগের প্রাদুর্ভাব ও মৃত্যুহার হ্রাস এবং পুষ্টিমান বৃদ্ধি করা। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, এই বরাদ্দে চিকিৎসা নিতে মানুষের পকেটের খরচ বাড়বে। এতে দরিদ্র রোগীদের সেবা পাওয়া কঠিন হবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে অর্থ বরাদ্দ বাড়াতে না পারলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার সুযোগ সীমিত হয়ে যাবে। তারমতে, স্বাস্থ্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেট বেতনভাতা বাবদ চলে যাবে, তাই এ অর্থ দিয়ে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা যাবে না। বাজেট আকারে হয়তো বড় হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ সেভাবে বাড়েনি। তিনি আশা করেন পার্লামেন্ট মেম্বাররা এ বিষয়ে কথা বলবেন।
কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন : কৃষি মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দ ১ হাজার ৮২৪ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ১ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ১ দশমিক ৯ শতাংশ। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৩ হাজার ৬২ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৩ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ ২ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
পর্যালোচনা অনুযায়ী, ২০০৯-১০ থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত মোট বাজেটে সামগ্রিক কৃষি খাতের অংশ ছিল ১০ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে তা নেমে হয়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। বরাদ্দের বড় অংশই ভর্তুকি।
২০০৫-০৬ অর্থ বছরকে ভিত্তি মূল্য ধরে চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের স্থূল দেশজ উৎপাদে সার্বিক কৃষি খাতের মধ্যে কৃষি ও বনজ খাতে প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছে ২ দশমিক ০৭ শতাংশ, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ খাতের প্রাণিসম্পদ ও বনজসম্পদ খাতের প্রবৃদ্ধির হার সামান্য বৃদ্ধি পেলেও শস্য ও শাকসব্জি চলতি অর্থ বছরের প্রবৃদ্ধি গত অর্থবছরের ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশের থেকে ১ দশমিক ৩০ শতাংশে নেমে আসে। যা কৃষি ও বনজ খাতে সার্বিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেয়েছে।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) গত শুক্রবার বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন করে কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ কমে যাওয়ায় কঠোর সমালোচনা করেছে। সংস্থাটির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, বাজেটে সবচেয়ে অবহেলিত খাতের একটি হচ্ছে স্বাস্থ্য।
প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাদ্দ ১৬ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ১৭ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ১৪ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
জ্বালানি অবকাঠামো : বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন বরাদ্দ ১৬ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ১৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ২৭৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের বরাদ্দ ১ হাজার ৯৯৪ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ২ দশমিক ১ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দ ১ হাজার ১৯ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ১ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে মূল বাজেটে ছিল ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ২ দশমিক ৮ শতাংশ।
দেশের সামাজিক ও আর্থনৈতিক উন্নয়নে বিদ্যুতের প্রয়োজন অপরিহার্য। বর্তমানে দেশের মোট জনগণের ৬৮ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। যা মাথাপিছু উৎপাদনের পরিমাণ ৩৪৮ কিলোওয়াট ঘণ্টা। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে দেশের সব জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনার লক্ষ্যে এ সময়ের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১১ হাজার ২৬৫ মেগাওয়াট।
যোগাযোগ অবকাঠামো : রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ ৫ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৪ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বরাদ্দ ৫ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৪ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৫ দশমিক ৭ শতাংশ। সেতু বিভাগের বরাদ্দ ৮ হাজার ৯২১ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৯ দশমিক ২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বরাদ্দ ৮ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে সংশোধিত বরাদ্দে তা কমে হয় ৫ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা, যা বরাদ্দের ৭ দশমিক ১ শতাংশ।
প্রতিরক্ষা : প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দ হিসেবে ৪১৬ কোটি টাকা দেওয়া হলেও উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলিয়ে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা। চলতি বছর এ বরাদ্দ ছিল ১৬ হাজার ৪৬২ কোটি টাকা। তবে সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে করা হয় ১৭ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। আগের অর্থবছরে ছিল ৮৪৮ কোটি টাকা। নতুন অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নির্বাচন রয়েছে। এ কারণেই বাজেট বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে নয়টি করে ওয়ার্ড থাকে। প্রতিটি ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র করতে হয়। পৌরসভারও একই অবস্থা। ফলে বেশি বাজেটের প্রয়োজন হয়।
এদিকে, নতুন অর্থবছরে ব্যয়ের সবচেয়ে বড় খাত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বেতন-ভাতা। মোট বরাদ্দের ২৩ শতাংশই খরচ হবে সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতনকাঠামো বাস্তবায়নে। এর আগে সুদ পরিশোধ ছিল বরাদ্দের সবচেয়ে বড় খাত, প্রায় সাড়ে ১৮ শতাংশ। আর এক বছর আগেও বেতন-ভাতায় ব্যয় হয়েছে ১৭ শতাংশ। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের নতুন বাজেট প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সম্পাদনা : আলাউদ্দিন