Dr Khondaker Golam Moazzem on BBIN

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল (বিবিআইএন) এই চার দেশের অবকাঠামো খাতের যথাযথ উন্নয়নের ওপর নির্ভর করবে বিবিআইএনের সাফল্য। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যেমন তার অংশের অবকাঠামোর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি অন্য দেশগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।

Published in Manabzamin on Monday, 19 October 2015.

আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়াতে দরকার অবকাঠামো উন্নয়ন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রতিবেশী ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে আঞ্চলিক যোগাযোগ (কানেকটিভিটি) ও ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাড়াতে হলে বাংলাদেশকে অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন অশুল্ক বাধাও দূর করতে হবে। শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘আঞ্চলিক যোগাযোগ: বাংলাদেশের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে এমন মতামতই উঠে এসেছে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন। গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপাল (বিবিআইএন) এই চার দেশের অবকাঠামো খাতের যথাযথ উন্নয়নের ওপর নির্ভর করবে বিবিআইএনের সাফল্য। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যেমন তার অংশের অবকাঠামোর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে, তেমনি অন্য দেশগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চার দেশের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছে সেটি সফল করতে মানসিকতার পরিবর্তন করা দরকার। মানসিকতার পরিবর্তন হলে অবকাঠামো ও নিরাপত্তার সমস্যাগুলো সমাধান করা কঠিন হবে না। আরও বক্তব্য দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠা।


Published in Inquilab

ভারত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ -সেতুমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার

‘ভারত বড় অর্থনীতির দেশ, তাদের বাজার বড়। আমরা ছোট দেশ। সে কারণে ভারত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাদের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের এগুনো কঠিন।’- বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল (শনিবার) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘আঞ্চলিক যোগাযোগে বাংলাদেশের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব মন্তব্য করেন।এ সময় মন্ত্রী ভারতকে উদ্দেশ করে বলেন, তারা নাম্বার ওয়ান। তাদের সাথে মনোগত দূরত্ব ঘোচাতে হবে।প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর গতি এরাবিয়ান হর্সের (আরবের ঘোড়া) মতো। কত নদীতে কত পানি, কোন খালে কত পানি তা তিনি জানেন। তিনি দেশের সব বিষয় খোঁজ রাখেন। যেটা আমরা জানি না তা তিনি জানেন।মন্ত্রী বলেন, দেশ চালাতে খুব বেশি লেখাপড়ার প্রয়োজন হয় না। দরকার প্রচ- মেধা শক্তি ও সেন্স, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আছে। এই কারণে তিনি দেশকে দক্ষভাবে পরিচালনা করছেন। আমি কারো চামচামি করি না। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে পরে পিএস দিয়ে তাদের কাছে টাকা চাই না। আমি কমিটমেন্টে বিশ্বাস করি এবং সব সময় তা মেনে চলার চেষ্টা করি।তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ফেব্রুয়ারিতে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া জাইকার অর্থায়নে কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব রিয়ার এডমিরাল (অব.) খোরশেদ আলম বলেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর উন্নয়ন অনেকখানি নির্ভর করে। আমাদের দু’টি বন্দর আছে। আগামীতে আরও নির্মাণ করা হবে।ঢাকা চেম্বারের সভাপতি হোসেন খালিদের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শাহসহ ব্যবসায়ীবৃন্দ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।