Published in Samakal on Tuesday, 22 July 2014.
রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩৩২০ কোটি ডলার
সমকাল প্রতিবেদক
চলতি অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩২০ কোটি ডলার। গেল অর্থবছরের রফতানি আয়ের তুলনায় ৩০২ কোটি ডলার বা ১০ শতাংশ বেশি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আয় হয়ে ছিল ৩ হাজার ১৮ কোটি ডলার। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গতকাল সোমবার চলতি অর্থবছরের এই লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেন।
রাজধানী রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোতে (ইপিবি) আয়োজিত এক বৈঠকে নতুন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশাবাদ ব্যক্ত করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় ব্যবসার-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতির মধ্যেও ৩ হাজার ১৮ কোটি ডলার রফতানি আয় হয়েছে। এ জন্য রফতানিকারকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, কয়েক বছরের মধ্যে এ আয় ৫ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে। এ জন্য ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে সরকার। রফতানি আয়ের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরূপ রাজনৈতিক কর্মসূচি আসবে না বলে আশা করেন তিনি।
সভায় গত অর্থবছরের রফতানির ওপর বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান শুভাশীষ বসু। বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, চলতি অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবতার বিচারে কম ধরা হয়েছে। জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম সমকালকে বলেন, রফতানি প্রবাহ, প্রধান পণ্যের সংস্কার উন্নয়ন ও আপাতত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিবেচনায় রফতানি লক্ষ্যমাত্রা আরও বেশি হতে পারত। তিনি বলেন, চলতি বছর বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি বাড়বে। বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভালো প্রবৃদ্ধির যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তাতে প্রধান এই দুই বাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা আরও বাড়বে। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ৩ হাজার ৫০ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩ হাজার ১৮ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৩২ কোটি ডলার কম হলেও গত অর্থবছরের তুলনায় এই আয় প্রায় ৩১৫ কোটি ডলার বেশি।
মার্কিন জিএসপি ফিরে পাওয়া প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া রোডম্যাপ অনুযায়ী বেশিরভাগ শর্ত ইতিমধ্যে পূরণ করা হয়েছে, বাকি শর্ত পূরণের কাজ অব্যাহত আছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধা স্থগিতের পরও সে দেশে রফতানি থেকে আয় বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে পোশাক খাতকে শক্তিশালী এবং নিরাপদ করতে সরকারের কারখানা ভবনের কাঠামো এবং অগি্ন নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে।