Investment proposals registered with the BoI were not being materialised due to lack of infrastructure and supply chain
অবকাঠামো সংকটের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শিল্পে বিনিয়োগ না করে সেবা খাতে বিনিয়োগ করছেন। নানা কারণে এফডিআই নিবন্ধনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় না।
Published in New Age on Thursday, 15 October 2015.
Ensure policy consistency, implement rules for FDI
Foreign investors, experts urge govt at FICCI-Citycell roundtable
Staff Correspondent
The government should find out the reasons for failure to attract foreign direct investment at expected level despite having all the potentials and favourable investment regime in the country, foreign investors and experts said on Wednesday.
At a roundtable discussion on FDI at BRAC Centre Inn in the capital Dhaka, they also said that the government should ensure consistency in policy matters and reflection of the rules and regulations into reality as well as simplification of procedures related to the FDI.
They also emphasised on strengthening the Board of Investment and ensuring coordination among the government agencies to facilitate the FDI.
The Foreign Investors Chamber of Commerce and Industry and Citycell jointly organised the discussion meeting to find out the challenges and way forward to attract more investment in the country. New Age, Samakal and Channel I were the media partners of the event.
‘The government should find out the reasons why new foreign investors are not making investment at expected level in the country whereas existing foreign investors are doing profit and making reinvestment in the country,’ FICCI president Rupali Chowdhury said.
FICCI members have been making many recommendations to the government but do not see much improvement in these regards for attracting FDI, she said.
Efficient bureaucracy, simplification in procedures for FDI registration, improvement in legal infrastructure as well as acceleration in one-stop service provided by the Board of Investment are needed for attracting FDI at expected level, Rupali said.
Foreign investors are also concerned about inconsistency in the government’s policy, she said adding that government’s agreement with foreign investors should be watertight and it should not be changed along with the changes of governments.
Referring to the government’s policy on Korean Export Processing Zone in Chittagong, Rupali said retreating from such agreement gave wrong signal to the foreign investors.
International Chamber of Commerce Bangladesh president Mahbubur Rahman said the government should find out the reasons why the foreign investors were not coming in the country despite having all favourable regulatory regimes.
The BoI was established to provide one-stop service for the prospective foreign investors so that they need not to go other places to start business in Bangladesh, he said.
‘But that never happened as the BoI did not move even one inch forward from the mindset of the then Department of Industries,’ Mahbub said.
Now, the number one obstacle in attracting FDI in Bangladesh is the BoI, he said.
Bangladesh Enterprise Institute president Farooq Sobhan said a strong partnership between the government and private sector was needed to solve the problems being faced by the foreign investors for creating better business environment to attract more FDI.
Emphasising on strengthening the BoI, he said, ‘The board has remained a baby even after its birth 30 years ago.’
Continuation in policy regime is needed to boost confidence of foreign investors, Farooq said.
Bangladesh Bank deputy governor SK Sur Chowdhury said that the central bank was reviewing the Foreign Exchange Regulations Act to further liberalise the foreign exchange regime for attracting more FDI.
Bangladesh cannot attract the FDI at expected level probably due to lack of investors’ confidence, congenial environment, unavailability of land, institutional weakness, corruption and some other ‘unknown reasons’, he said.
Mobile operator Robi Axiata Limited’s chief executive officer Supun Weerasinghe said confidence, competitive cost of doing business and collaboration between the government and investors were needed to attract the FDI.
For investors in telecom sector, taxation is the key challenges as they have to pay more than 50 per cent of their revenue to the government as tax, he said.
Dhaka University’s economics department professor MA Taslim said that the government should work to reduce the gap between the prospect and actual investment.
‘FDI policy probably is most favourable in the country but investors are not flocking here,’ he said.
Santos Sangu Field country lead Mahmudul Karim said that government’s fiscal regime should be commercially viable for the investors in energy and oil sectors.
Neighbouring Myanmar has managed to attract at least 18 foreign investors in oil sector in the Bay of Bengal but only four investors have come in Bangladesh, he said, adding that the government needed to examine the reasons.
G4S Secure Solutions Bangladesh Ltd managing director Selim A Chowdhury said that rules and regulations were fine in papers in the country but absence were proper implementations of those laws and appropriate actions to solve the problems.
Centre for Policy Dialogue additional research director Khondaker Golam Moazzem said that the investment proposals registered with the BoI were not being materialised due to lack of infrastructure and supply chain.
Citycell chief executive officer Mehboob Chowdhury, Citibank NA managing director Rashed Maqsood, British American Tobacco Bangladesh Ltd managing director Shehzad Munim, Lungla Tea chief executive officer Imran Ahmed, Maersk Bangladesh managing director Shamim Ul Huq, HSBC Bangladesh chief executive officer Francois De Maricourt, Novartis managing director Sheikh Nahar Mahmud, UAE-Bangladesh Investment Company Ltd managing director SM Akbar, Reed Consulting Ltd managing director Rooney J Reed, BoI executive member Nabhash Chandra Mandol, National Board of Revenue member Parvez Iqbal, commerce ministry additional secretary Monoj Kumar Roy and Industries ministry additional secretary Parag, among others, attended the meeting.
Published in Samakal
বিদেশি বিনিয়োগ টানতে সেবার মান বাড়াতে হবে
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
সমকাল প্রতিবেদক
বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের নীতি-সুবিধা অনেক দেশের তুলনায় আকর্ষণীয়। অর্জিত মুনাফার শতভাগ নিজেদের দেশে নিয়ে যেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। এ দেশে পণ্য উৎপাদনের পর বড় বড় বাজারে শুল্কমুক্ত রফতানির সুযোগ রয়েছে। এত সুবিধা সত্ত্বেও বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে। এখনও বার্ষিক এফডিআই ২ বিলিয়ন ডলারের নিচে। এ ধীর গতি কাটাতে অবকাঠামো সংকট সমাধানের পাশাপাশি বিনিয়োগ বোর্ডসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার মান বাড়াতে হবে। এমন মতামত এসেছে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন এফআইসিসিআই ‘বিদেশি বিনিয়োগের সমস্যা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এ বৈঠকের আয়োজন করে। মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি সিটিসেল অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করে। সমকাল, ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ এবং চ্যানেল আই ছিল অনুষ্ঠানের মিডিয়া পার্টনার। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) প্রেসিডেন্ট ফারুক সোবহান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। সিটিসেলের পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এর সিইও মেহবুব চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, এফডিআই কম আসার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বোর্ড (বিওআই) নিজেই বড় সমস্যা। এফডিআই
নিবন্ধন পেতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। ২২ থেকে ৩০টি প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে যেতে হয়। এত বাধার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা হতাশ হয়ে পড়েন। এ ছাড়া এফডিআইর বাধা হিসেবে দুর্বল অবকাঠামো, আইনগত জটিলতা, জমির অভাব, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয় না থাকাকে দায়ী করেন তারা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিওআই, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরের সমন্বয়ে এক প্ল্যাটফর্ম গঠনের পরামর্শ দেন বক্তারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দেশে এফডিআই এসেছে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এ পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ৪ দশমিক ৫ শতাংশ কম। এ সময় ভারতে এফডিআই ছিল ৩৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। ভিয়েতনামে ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ও মালয়েশিয়ায় ১০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের এফডিআই আসে ওই বছর।
ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, এফডিআই কম আসার ক্ষেত্রে বিওআই নিজেই বড় সমস্যা। এ প্রতিষ্ঠানের পরিবর্তন প্রয়োজন। অথচ সরকার বিওআই এবং প্রাইভেটাইজেশন কমিশন দুই মৃতপ্রায় সংস্থাকে একীভূত করছে। কোন কোন ক্ষেত্রে নীতির সংকট রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় এ দেশে বিনিয়োগে মুনাফা বেশি। তার পরও নীতির সংকটে এফডিআই আসছে না।
ফারুক সোবহান বলেন, বিনিয়োগ নীতিই কেবল যথেষ্ট নয়। ঠিকমতো সেবা না পাওয়া এফডিআইর অন্যতম বাধা। তার মতে, বিনিয়োগ সমস্যা সমাধানমূলক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন জরুরি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিওআই, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরের সমন্বয়ে এ প্ল্যাটফর্ম গঠিত হতে পারে। এ ছাড়া বিনিয়োগ বাড়াতে সব পক্ষের মধ্যে মাসে অন্তত একটি সংলাপ হওয়া প্রয়োজন।
এফআইসিসিআইর সভাপতি রূপালী চৌধুরী বলেন, আকর্ষণীয় নীতি সত্ত্বেও এফডিআই কম আসছে। এর কারণ জরুরি ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা দরকার। তার মতে, আমলাদের অদক্ষতা এবং বিদ্যুৎ-গ্যাস, যোগাযোগসহ অবকাঠামোর সংকট এর বড় কারণ। সেবা না পাওয়াও বড় সমস্যা। একটি সেবা পেতে ২২ থেকে ৩০ দরজায় যেতে হলে উদ্যোক্তাদের মধ্যে হতাশা আসতে বাধ্য। তিনি বলেন, সরকারি অনেক সেবা আমলাদের জালে আটকে যায়। কর্মকর্তারা বিনিয়োগকারীদের এখনও আস্থায় নিতে পারছেন না। বিনিয়োগ থেকে মুনাফা করাকে আমলারা এখনও অপরাধ মনে করেন। এ ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। কোরিয়ান ইপিজেডের সঙ্গে সরকারের টানাপড়েনে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক বার্তা গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিনিয়োগ বোর্ডের সদস্য নাভাশ চন্দ্র মণ্ডল বোর্ডের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, শুধু ভালো নীতিই যথেষ্ট নয়। কিছু ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা আছে। জমির সংকট তো আছেই। এ ছাড়া রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ অপ্রকাশ্য কিছু কারণ রয়েছে।
সিপিডির অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অবকাঠামো সংকটের কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শিল্পে বিনিয়োগ না করে সেবা খাতে বিনিয়োগ করছেন। নানা কারণে এফডিআই নিবন্ধনের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয় না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলী তসলিম বলেন, সরকারের প্রতিনিধি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কার্যকর সমন্বয়ের অভাবে এফডিআই আসছে না। রবি আজিয়াটার সিইও সুপন ওয়েরাসিংঘি বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে বিনিয়োগে অনেক সমস্যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ করপোরেট কর। কাঙ্ক্ষিত সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সংলাপ প্রয়োজনের কথা বলেন তিনি। এইসএসবিসির প্রধান নির্বাহী ফ্রাংকোইস ডি ম্যারিকোর্ট বলেন, বিদেশি উদ্যোক্তারা এ দেশে দীর্ঘ মেয়াদি লক্ষ্য নিয়ে বিনিয়োগ করছে। বিনিয়োগের সুরক্ষার জন্য সরকারসহ স্থানীয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সুসম্পর্ক চান তারা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায় বলেন, বিশ্বের প্রায় সব বড় বাজারে রফতানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ। বিদেশিরা এদেশে বিনিয়োগে সে সুবিধা নিতে পারেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এতে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউএই-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানির এসএম আকবর, রিড কনসালটিংয়ের এমডি রোডনি জে রিডবি, বিএটিবির এমডি সেহজাদ মুনিম প্রমুখ।