Dr Khondaker Golam Moazzem on pharmaceutical industries

Published in BBC on Sunday, 8 November 2015.

ওষুধ খাতে আরও ১৭ বছর মেধাসত্ত্ব ছাড় পাবে বাংলাদেশ

cpd-khondaker-golam-moazzem-pharmaceutical-bangladesh-bbc-2015

স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্যে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের কপিরাইট আইন বা মেধাসত্ত্বে ছাড়ের সুবিধা দিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ডব্লিউটিও।

এর ফলে বাংলাদেশসহ ধরনের দেশগুলো আরও ১৭ বছর মেধাসত্ত্বের জন্য কোনও ব্যয় না করেই, ওষুধ তৈরি ও কেনা বেচা করতে পারবে।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলছেন এটি বাংলাদেশের ওষুধ খাতে দেশি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্যে আশা ব্যাঞ্জক খবর।

তবে একই সাথে তিনি বলেন বাংলাদেশ ২০২৪ সাল নাগাদ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসবে। তখন আর এ সুবিধা বাংলাদেশ পাবেনা।

“তাই বাংলাদেশকে দু ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে। আর তাহলো নতুন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করা এবং ২০২৪ সালের পরের জন্যে প্রাক প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই”।

মেধাসত্ত্ব ছাড়ের সুবিধা আগে কতটা লাগাতে পেরেছে বাংলাদেশ, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশে দেশীয় উৎপাদকরা ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন এবং দেশে ওষুধের চাহিদার ৯৭ভাগই তারা মেটাতে পারছেনা। দেশে এর চাহিদা প্রায় এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ডলারের মতো। পাশাপাশি রপ্তানি বাজারে কিছুটা এগিয়েছে। তবে রপ্তানির ক্ষেত্রে সক্ষমতা সেভাবে বাড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

তিনি বলেন বাংলাদেশের ওষুধ খাতের জন্যে মূল রপ্তানি বাজার গুলো মধ্যপ্রাচ্য,আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশ ও কিছুটা রাশিয়া। কিন্তু ইউরোপ বা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের জন্যে যে ধরনের মান রক্ষা দরকার সেটা ততটা নিশ্চিত করা যায়নি। যদিও এখন কিছু কোম্পানি এগিয়ে আসছে আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ উৎপাদনে।

ওষুধের মান নিয়ন্ত্রনে বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মি. মোয়াজ্জেম বলেন বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধের মান আন্তর্জাতিক মানের চেয়ে কিছুটা নীচে। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ যাদের দায়িত্ব তাদের সক্ষমতা না থাকার কারণেই নিন্ম মানের কিছু কোম্পানি বাজারে পণ্য আনতে পারছে।

পাশাপাশি পণ্যের মান নিয়মিত চেক করার কোন প্রক্রিয়াও বাংলাদেশে নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মেধাসত্ত্ব ছাড়ের সুবিধা কাজে লাগাতে এসব বিষয়ে দ্রুত বাংলাদেশকে দৃষ্টি দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।