Dr Khondaker Golam Moazzem on RMG export

Published in Dhaka Tribune on Wednesday, 8 July 2015.

RMG export growth slumps to six-year low

Ibrahim Hossain Ovi

Bangladesh’s readymade garment exports displayed the poorest performance in six years with 4.1% rise in the just-concluded fiscal year while the country’s overall export growth also slumped to 13-year low.

The RMG sector earned $25.49bn in the just-concluded fiscal year compared to $24.49bn in the previous year.

However, the country’s largest export industry fell 5.20% short of export target which was set at $26.89bn, said Export Promotion Bureau (EPB) data released yesterday.

The knitwear export totalled $12.43bn, up by 3.13% from the previous fiscal’s $12.05bn.

The woven products earned $13.06bn with 5% growth over the previous year’s $12.44bn.

“We set a target of around $27bn, but political unrest failed us to reach it. If the situation was peaceful, the earnings would stand at $28bn,” said BGMEA vice president Shahidullah Azim.

He said relocation of factories as part of safety initiatives had also cast a negative impact on the export growth.

He sought low-cost fund from the government and buyers to relocate factories and implement the corrective action plans.

Exporters Association of Bangladesh (EAB) President Abdus Salam Murshedy also believed the long-lasting political turmoil, industrial accidents and rise in production cost while ensuring compliance matters were responsible for the slow down.

He said the RMG exporters failed to attract buyers due to violent political programmes in the beginning of the second half of the fiscal.

But Murshedy hoped the situation could be overcome if the budget was implemented and business people were provided with gas and electricity connections to establish new factories.

Khondaker Golam Moazzem, additional research director of the Centre for Policy Dialogue, said political unrest, fluctuation of demand for clothing products in export destinations due to economic slowdown and devaluation of euro against dollar acted as catalyst for the slow down in the RMG sector.

On the other hand, the buyers might have placed less orders to Bangladesh due to lack of sufficient progress in compliance issues, and also due to political unrest, said Moazzem.

He urged the sector people to increase productivity to deal with the production cost and to remain competitive in the global market.

If the situation continued further, it would be very tough to reach the export target of $50bn by 2021, Moazzem said urging all stakeholders to be strategic to ensure better compliance and send a good message to the global buyers to overcome the situation.

Bangladesh earned $31.19bn in the FY2014-15, which is 3.35% higher compared to $30.18bn in FY2013-14.

Bangladesh set an export target of $33.2bn for the last fiscal year, but it failed to reach the target by around 6.03%. It earned $31.19bn.

Leather product exports posted 3.78%  rise with $249m earning, while the leather footwear earning rose by 27.81% to $483.81m and other footwear earned $189.46m posting a 10.43% growth in the fiscal year.

Home textile earned $804m with a 1.49% growth.

Pharmaceutical and ships, boats and floating structure which can be the emerging export earners posted 4.91% and 3518% growth to $72.64 and $15.92 respectively.

Among the major sectors, frozen foods witnessed 11% fall due to economic crises in eurozone and trouble in Russian markets.

Shrimps, the lifeline of the sector also marked a 7.35% decline. Agriculture products seen 4% slump followed by leather by 21.36%, raw jute 11.73% and specialized textile 1.63%.


Published in Prothom Alo 

প্রবৃদ্ধি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

সদ্য সমাপ্ত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে দেশের পণ্য রপ্তানিতে ৩ হাজার ১২০ কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়েছে। এই আয় তার আগের অর্থবছরের ৩ হাজার ১৮ কোটি ডলারের চেয়ে ৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। তবে রপ্তানি আয়ের এই প্রবৃদ্ধি গত ১৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

আলোচ্য অর্থবছরে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৩২০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় ৬ শতাংশ কম হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) গতকাল মঙ্গলবার রপ্তানি আয়ের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।

ইপিবি ও তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা যায়, ২০০২-০৩ থেকে এ পর্যন্ত ১৩টি অর্থবছরের মধ্যে সর্বশেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরেই সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০০২-০৩ অর্থবছরে ৬৫৪ কোটি ডলার আয় হয়েছিল। তাতে প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ। তার আগের ২০০১-০২ অর্থবছরে ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। আর ১৩ অর্থবছরের মধ্যে ২০১০-১১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়। তখন রপ্তানি আয় ছিল ২ হাজার ২৯২ কোটি ডলার।

দেশের ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, আলোচ্য অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে মাস তিনেক (জানুয়ারি-মার্চ) দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইউরো ও রুশ মুদ্রা রুবলের দরপতন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) চাহিদায় কিছুটা মন্দাভাব, গ্যাস-বিদ্যুতের অপর্যাপ্ততা প্রভৃতি কারণে রপ্তানি আয় কমেছে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রপ্তানি পণ্যের তালিকায় থাকা ৬৯টি মূল পণ্যের মধ্যে ৩০টিতে ঋণাত্মক ও ৩৯টিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বেশি ৮১ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে; যা অর্থের হিসাবে ২ হাজার ৫৪৯ কোটি ডলার। এই আয় ২ হাজার ৬৮৯ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ শতাংশ কম এবং তার আগের ২০১৩-১৪ অর্থবছরের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি।

জানতে চাইলে বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, ‘বছরের প্রথম তিন মাস ক্রয়াদেশ খুবই কম এসেছে। সংস্কার কার্যক্রম করতে গিয়ে অনেক কারখানা বসে গেছে। তবে ক্রয়াদেশ আবার বাড়তে শুরু করেছে। আগামী মাসগুলোতে ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, আলোচ্য অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ১১৩ কোটি, পাট ও পাটজাত পণ্যে ৮৬ কোটি, হোম টেক্সটাইলে ৮০ কোটি, কৃষিজাত পণ্যে ৫৮ কোটি, হিমায়িত খাদ্যে ৫৬ কোটি, প্রকৌশল পণ্যে ৪৪ কোটি, চামড়াবিহীন পাদুকায় ১৮ কোটি, বাইসাইকেলে ১২ ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে ১০ কোটি ডলার আয় হয়েছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, রপ্তানি পণ্যের মধ্যে বৃহৎ আয়ের উৎস মাত্র দুটি—নিট ও ওভেন পোশাক। ১০০ কোটি ডলারের ওপর রপ্তানি হয় এই দুটি পণ্য। এর বাইরে ৫০ থেকে ১০০ কোটি ডলারের কম রপ্তানি হয় মাত্র তিনটি পণ্য। ১২টি পণ্যের রপ্তানি আয় ১০ থেকে ৫০ কোটি ডলারের মধ্যে। ১০ লাখ থেকে ১০ কোটি ডলারের নিচে রপ্তানি হয় ৪৩টি পণ্য। ১০ লাখ ডলারের নিচে রপ্তানি হয় নয়টি পণ্য।

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি আয় ওপরের স্তরে নিতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া দরকার। স্বল্প আয়ের পণ্য দীর্ঘদিন রপ্তানি বাজারে টিকে থাকে না। সে জন্য খাতভিত্তিক কৌশল নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশ রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, রপ্তানি আয় আগের ধারায় নিতে হলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সব খাতের জন্য নিরবচ্ছিন্ন অবকাঠামো সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। রপ্তানি বাড়াতে ওষুধ, জাহাজ, চামড়া, জাহাজ নির্মাণ খাতেও নজর বাড়াতে হবে।