Dr Khondaker Golam Moazzem on RMG subcontracting regulation

Published in Janakantha on Saturday, 17 January 2015.

তৈরি পোশাক শিল্পে স্বচ্ছতা আনতে সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালা হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

তৈরি পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্টিংয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালা-২০১৪’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, সাব-কন্ট্রাক্ট পেতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি দিতেই হবে। থাকতে হবে শ্রমিকদের জন্য গ্রুপ বীমাও।

কাজ পেতে সাব-কন্ট্রাক্ট কারখানাকে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ) এবং বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সদস্য হতে হবে।

প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী, সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালার নাম হবে ‘তৈরি পোশাক শিল্পে সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালা-২০১৪’। সরকারের গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে নির্ধারিত তারিখ থেকে নীতিমালার শর্ত কার্যকর হবে। সাব-কন্ট্রাক্ট প্রতিষ্ঠান বা কারখানা বলতে বোঝাবে রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বা কারখানা থেকে পোশাক তৈরির কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান বা কারখানাকে। চূড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, নীতিমালার শর্ত পালনে সক্ষম কারখানা সাব-কন্ট্রাক্টিং কাজে অংশ নিতে পারবে। সাব-কন্ট্রাক্ট কার্যক্রমের জন্য একটা চুক্তিপত্র থাকতে হবে। এ চুক্তিপত্রের একটি কপি সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে (বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইএ) দিতে হবে।

সাব-কন্ট্রাক্টিং কাজে নিয়োজিত কারখানা ভবনের স্ট্রাকচারাল ডিজাইন বা লে-আউট প্ল্যানে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকতে হবে। সাব-কন্ট্রাক্ট পাওয়া কারখানার শ্রমিকদের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গ্রুপ বীমার আওতায় আনতে হবে এবং নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ করে হাল-নাগাদ থাকতে হবে।

তৈরি পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সাব-কন্ট্রাক্ট পাওয়া কারখানার মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা মীমাংসার জন্য যে কোনো পক্ষ সংগঠনের (বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইএ) আরবিট্রেশন কমিটিতে আবেদন করবে। যা প্রচলিত আরবিট্রেশন বিধি মোতাবেক চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। এছাড়া বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইএ এ দুই সংগঠনের মধ্যে কারখানা যেই সংগঠনের সদস্য সেই সংগঠনকে প্রতি তিন মাস অন্তর সাব-কন্ট্রাক্ট প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বস্ত্র সেলে পাঠাতে হবে।

সাব-কন্ট্রাটিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষ নীতিমালা বা নীতিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তার উৎপাদন বা রফতানি কাজে দেয়া সেবা সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। আইন, বিধি ও নির্বাহী আদেশ বলে সরকার ও সংগঠনের মাধ্যমে এ সেবা বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সাব-কন্ট্রাক্টের যে নীতিমালা করা হচ্ছে, আইনগতভাবে তার পরিপালন গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে নীতিমালা পরিপালন করা হলে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।

তিনি বলেন, খসড়া নীতিমালার ছয় ধারায় বলা হয়েছে সাব-কন্ট্রাক্টিংয়ের কোনো পক্ষ নীতিমালার বা নীতিমালার কোনো বিধানের ব্যত্যয় ঘটালে উৎপাদন বা রফতানি কাজে প্রদত্ত সেবা সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে বায়ার ও মূলকারখানার যৌথ দায় নিশ্চিত করা দরকার। যাতে সাব-কন্ট্রাক্টের বাইরে অন্য কোনো কারখানার মাধ্যমে কাজ করা না যায়। কারণ সাব-কন্ট্রাক্টিংয়ের নীতিমালা কমপ্লায়েন্স করে না এমন কারখানাকে কাজ দেয়া হলে এবং ওই কারখানায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে মূলকারখানা সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালার দোহাই দিয়ে দায় অস্বীকার করতে পারে।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সাব-কন্ট্রাক্ট নীতিমালা প্রণয়নের কারণ হিসেবে বলা হয়, ২০১২ সালে তাজরিন ফ্যাশনে অগ্নিকা-ের ফলে অনেক সম্পদ ও জীবনহানি ঘটে। পরবর্তী সময়ে তৈরি পোশাক শিল্পের নিরাপদ কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার, মালিক পক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে ২০১৩ সালের জানুয়রি মাসে একটি ত্রি-পক্ষীয় চুক্তি হয়।

ওই বছরের মার্চে চুক্তির অংশ হিসেবে ত্রি-পক্ষীয় কর্ম-পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর কর্ম-পরিকল্পনায় ভবনের নিরাপত্তার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

 

Published in Inquilab on Saturday, 17 January 2015.

Published in Ajkaler Khobor on Saturday, 17 January 2015.

বিজিএমইএর কমিটির মেয়াদ ৩ মাস বাড়লো
পোশাক শিল্পে স্বচ্ছতা আনতে সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালা আসছে

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) বর্তমান কমিটির মেয়াদ আরো তিন মাস বেড়েছে। ফলে নির্বাচনের সময় ৩ মাস পিছিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রাণলয়ের যুগ্ম সচিব ও পরিচালক বাণিজ্য সংগঠন মো. আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিজিএমইএর ২০১৫-১৬ মেয়াদি নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বাণিজ্য সংগঠন অধ্যাদেশ, ১৯৬১-এর ৮(ক) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ৯০ দিন বৃদ্ধি করা হলো। যা আগামী ২৫ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। তবে এই সময়ের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি আতিকুল ইসলামকে বলা হয়। উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষিত সময় সূচি অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সহসভাপতি অর্থ রিয়াজ বিন মাহমুদ বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক বাণিজ্য সংগঠনের এক চিঠিতে বর্তমান কার্যকরী পরিষদের মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়। তিনি বলেন, এর আগে এক চিঠিতে বিজিএমইএর সদস্যদের করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও বাণিজ্য সনদসহ আগামী নির্বাচনের জন্য হালনাগাদ ভোটার তালিকা চাওয়া হয়। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় এসব কাগজপত্র যে সব সদস্য জমা দিতে সক্ষম হবেন; তারাই কেবল নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।

এদিকে তৈরি পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্টিংয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ‘সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালা-২০১৪’-এর খসড়া চ‚ড়ান্ত করা হয়েছে। স¤প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ খসড়া নীতিমালা চ‚ড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। চ‚ড়ান্ত খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী, সাব-কন্ট্রাক্ট পেতে কারখানা কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি দিতেই হবে। থাকতে হবে শ্রমিকদের জন্য গ্রæপ বীমাও। কাজ পেতে সাব-কন্ট্রাক্ট কারখানাকে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ সদস্য হতে হবে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালার নাম হবে তৈরি পোশাক শিল্পে সাব-কন্ট্রাক্টিং নীতিমালা-২০১৪। সরকারের গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে নির্ধারিত তারিখ থেকে নীতিমালার শর্ত কার্যকর হবে। সাব-কন্ট্রাক্ট প্রতিষ্ঠান বা কারখানা বলতে বোঝাবে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বা কারখানা থেকে পোশাক তৈরির কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান বা কারখানাকে। চ‚ড়ান্ত খসড়া অনুযায়ী, নীতিমালার শর্ত পালনে সক্ষম কারখানা সাব-কন্ট্রাক্টিং কাজে অংশ নিতে পারবে। সাব-কন্ট্রাক্ট কার্যক্রমের জন্য একটা চুক্তিপত্র থাকতে হবে। এ চুক্তিপত্রের একটি কপি সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে (বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইএ) দিতে হবে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ও সাব-কন্ট্রাক্ট পাওয়া কারখানার মধ্যে কোনো বিরোধ দেখা দিলে তা মীমাংসার জন্য যে কোনো পক্ষ সংগঠনের (বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইএ) আরবিট্রেশন কমিটিতে আবেদন করবে। সাব-কন্ট্রাটিংয়ের ক্ষেত্রে কোনো পক্ষ নীতিমালা বা নীতিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে তার উৎপাদন বা রপ্তানি কাজে দেয়া সেবা সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। আইন, বিধি ও নির্বাহী আদেশ বলে সরকার ও সংগঠনের মাধ্যমে এ সেবা বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সাব-কন্ট্রাক্টের যে নীতিমালা করা হচ্ছে, আইনগতভাবে তার পরিপালন গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে নীতিমালা পরিপালন করা হলে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় সাব-কন্ট্রাক্ট নীতিমালা প্রণয়নের কারণ হিসেবে বলা হয়, ২০১২ সালে তাজরিন ফ্যাশনে অগ্নিকাÐের ফলে অনেক সম্পদ ও জীবনহানি ঘটে। পরবর্তী সময় তৈরি পোশাক শিল্পের নিরাপদ কর্ম-পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকার, মালিক পক্ষ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়।