Published in Kaler Kantho on Monday, 13 July 2015.
পণ্য বাণিজ্যে ঘাটতি বেড়ে ৯৪৬ কোটি ডলার
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমদানি ব্যয়ের তুলনায় রপ্তানি আয় কম হওয়ায় বিদায়ী ২০১৪-১৫ অর্থবছরে (জুলাই থেকে মে পর্যন্ত) পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৯৪৬ কোটি ডলার। এর আগের (২০১৩-১৪) অর্থবছরের একই সময়ে এই ঘাটতি ছিল ৬১৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে ঘাটতি বেড়েছে ৩২৮ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা লেনদেন ভারসাম্য সারণি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে আমদানির পেছনে ব্যয় হয়েছে তিন হাজার ৭২২ কোটি ৭০ লাখ ডলার। অন্যদিকে রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে দুই হাজার ৭৭৬ কোটি ৩০ুং লাখ ডলার। আমদানির তুলনায় রপ্তানি কম হওয়ায় পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ৯৪৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
সেবা খাতের ঘাটতিও বেড়েছে। বিদায়ী অর্থবছরের জুলাই থেকে মে পর্যন্ত ১১ মাসে সেবা খাতের লেনদেনের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪২৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছর, অর্থাৎ ২০১৩-১৪ অর্থবছরের একই সময়ে সেবা খাতের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৩৬৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
৩০ জুন ২০১৪-১৫ অর্থবছর শেষ হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত লেনদেন ভারসাম্যের ১১ মাসের, অর্থাৎ জুলাই-মে সময়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। গত বুধবার এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
তাতে দেখা যায়, সেবা ও পণ্য বাণিজ্যের ঘাটতির কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যেও বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে। জুলাই-মে সময়ে এই ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২০০ কোটি ১০ লাখ ডলার। অথচ আগের অর্থবছরের একই সময়ে ১৩৬ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।
সাধারণভাবে চলতি হিসাবের মাধ্যমে দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝানো হয়। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে।
এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম কালের কণ্ঠকে বলেন, অন্যান্য সময়ের তুলনায় পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি বেশি হওয়ার কারণেই চলিত হিসাবের ভারসাম্যে ঘটতি দেখা দিয়েছে। আবার আমদানি বেশি হওয়ার ফলেই পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েছে। বর্তমানে খাদ্যদ্রব্য ও শিল্প কাঁচামাল আমদানি বেশি। মূলত বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম কম হওয়ায় আমদানির প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।