Professor Mustafizur Rahman on employment

while addressing a pre-budget discussion organised by Economic Reporters’ Forum (ERF) at the National Press Club on Saturday, 23 May 2015.

 

Published in The Financial Express

RMG now capable of offering some benefits to govt: Muhith

FE Report

Finance Minister AMA Muhith said Saturday it was time for the apparel industry, which has become matured enough by now, to offer some benefits to the government.

He said: “The government has been providing different incentives and fiscal benefits to the garment sector since the beginning. The RMG sector is now matured enough.”

The RMG sector has been receiving various types of incentives from the government as it has been the largest job creating sector, he said at a pre-budget discussion meeting on ‘Job creation: The biggest challenge’ in the city.

The Economic Reporters Forum (ERF) organised the discussion at the National Press Club in the city.

Policy Research Institute (PRI) executive director Dr Ahsan H Mansur, Centre for Policy Dialogue (CPD) executive director Prof Mustafizur Rahman, Bangladesh Institute of Development Studies research director Dr Binayek Sen, Bangladesh Textile Mills Association (BTMA) vice president Fazlul Huq, American Chamber of Commerce in Bangladesh President Aftab Ul Islam, Bangladesh Reconditioned Vehicles Importers and Dealers Association (BARVIDA) president Abdul Hamid Sharif and Dhaka Stock Exchange Managing Director Swapan Kumar Bala took part at the discussion.

Muhith said the Bangladesh economy this year has demonstrated greater resilience in the face of political turmoil.

“We will take measures to further strengthen the capacity of resilience of the economy so that it can withstand fallout from political troubles even better” he said.

Muhith hinted that the next budget would enhance the allocations for the social safety-net programmes especially on the small livelihood programmes, already tested for getting a big boost with small investment.

The finance minister expressed his dissatisfaction at the inadequate foreign direct investment (FDI) inflow saying: “I have been emphasising on the greater FDI inflow for the last few years. But nobody has lent support to me. Please you (private sector) people extend your help towards me in my effort for attracting FDI.”

Ahsan H Mansur said ensuring good governance is imperative for attracting the second generation local investors.

“Now the second generation businessmen are in the driving seat. Most of them had their education abroad. If the government fails to ensure good governance, this new generation entrepreneurs will not stay in the country,” he expressed the fear.

Mustafizur Rahman said if the government wanted to create more quality jobs in the country it would have to ensure quality education, especially technical education for its young population.

Dr Binayek Sen said the government has invested enough in female education. But participation of women in the productive sector jobs is well below the expectation.

The government should invest in creating skilled manpower especially at the tertiary level of education so that more people could take up jobs in the productive sectors directly.

Aftab Ul Islam said the government has so far failed to attract FDI as the country is suffering from an image crisis due to recurrent political turmoil.

He emphasised the need for ensuring a stable political situation and business environment in the country.

ERF president Sultan Mahmud presided over the discussion meeting. ERF general secretary Sajjadur Rahman gave vote of thanks.

 

Published in Prothom Alo

ইআরএফের আলোচনায় বিদেশি বিনিয়োগের নিম্নহার নিয়ে অর্থমন্ত্রী
‘আমি অনবরত চিৎকার করছি’

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভালো বিনিয়োগ না হলে ভালো কর্মসংস্থান হবে না। কর্মসংস্থানের জন্য আগে দরকার হলো স্থানীয় বিনিয়োগ। স্থানীয় বিনিয়োগ ভালো হলে স্বাভাবিকভাবেই সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) আসবে।

তবে স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য গ্যাস-বিদ্যুতের চেয়েও এখন বেশি দরকার সুশাসন, নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা।

ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে গতকাল শনিবার অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি: নতুন চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। তাঁদের সঙ্গে একমত পোষণ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও। ইআরএফের সভাপতি সুলতান মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে প্রারম্ভিক বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর জানান, ভারতে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় এফডিআই ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, বাংলাদেশে তা ১ শতাংশের নিচে।

এত কম এফডিআই নিয়ে সংসদ অধিবেশনগুলোতে একজন সাংসদও কথা বলেন না বলে বিস্ময় প্রকাশ করেন অামেরিকান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি আফতাব-উল ইসলাম। তিনি বলেন, স্থানীয় বিনিয়োগ কম হলে এফডিআই কম হতে বাধ্য।

এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ঠিকই বলছেন। মনে হয় যেন এফডিআইকে এখানে স্বাগত জানানো হয় না। এ বিষয়ে আমি অনবরত চিৎকার করছি। আমিও চাই আলোচনাটা অন্য মহল থেকে আসুক। সংসদ থেকেও ওঠা উচিত।’

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক বিনায়ক সেন বলেন, দরিদ্র পরিবারের অনেক শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় পড়ছে। তাদের কারিগরি শিক্ষায় যুক্ত করা যেতে পারে। এনজিও এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহেলা না করার পরামর্শ দিয়ে বিনায়ক বলেন, অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এখন দরকার বিকেন্দ্রীভূত বাজেট।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সেবা খাতে শ্রম রপ্তানিতে ২৪টি উন্নত দেশে বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। তারা বিভিন্ন খাতে দক্ষ লোক নেবে। সে জন্য আমাদের উচিত হবে অষ্টম শ্রেণির পরই কারিগরি শিক্ষার দিকে নজর দেওয়া। এ জন্যও এফডিআই দরকার।’

গুণগত মানের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে আহসান মনসুর বলেন, ‘নতুন রিকশাওয়ালা ও কৃষিশ্রমিক আমরা চাই না। বছরে যে ১৮-২০ লাখ লোক শ্রমবাজারে আসছে, তাদের আনুষ্ঠানিক খাতে নিয়ে আসা জরুরি। অবশ্যই তা হতে হবে ব্যক্তি খাতের মাধ্যমে।’

রিকন্ডিশনড গাড়ি আমদানিকারক সমিতি বারভিডার সভাপতি এম এ হামিদ শরীফ বলেন, জাপান কয়েক বছর পরপর শিল্প স্থাপনের নতুন দেশ খোঁজে। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সরে এসে তারা এখন চীনে রয়েছে। কিন্তু চীন থেকেও সরতে চায় দেশটি। এই অবস্থায় ঢাকার মোটামুটি কাছাকাছি ৪৫০ বিঘার একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ জাপানের আস্থা অর্জন করতে পারলে এফডিআইয়ের বিপুল সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন হামিদ শরীফ।

সময়ের অভাবের কথা জানিয়ে সব বিষয়ে জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী। তবে অনিশ্চয়তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি মোকাবিলা করার যথেষ্ট শক্তি আমরা অর্জন করেছি। গত জানুয়ারিতেই তা প্রমাণ হয়েছে।’

পোশাক খাত সবচেয়ে কম কর দেয় উল্লেখ করে মুহিত বলেন, ‘এটি সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত খাত। এই খাতটিকে আমরা এত আদর করি শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে বলে।’

 

 

Published in Samakal

কর্মসংস্থানমুখী বাজেট চান ব্যবসায়ীরা

বিশেষ প্রতিনিধি

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সুখবর পাবেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। অপরদিকে, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে কর্মসংস্থানমুখী বাজেট চেয়েছেন শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা। তারা বলেছেন, বিদেশি বিনিয়োগ কমে গেছে। স্থানীয় বিনিয়োগের অবস্থাও ভালো নয়। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটেনি এখনও। উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছে আস্থার অভাব।

এ অবস্থায় নতুন চাকরির বাজার তৈরি করতে হলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ বাড়াতেই হবে। এ বিষয়ে আগামী বাজেটে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। এর জবাবে উপরোক্ত মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। আলোচনা সভায় বিনিয়োগ বাড়াতে স্পেশাল ইকোনমিক জোনের জন্য আলাদা বরাদ্দ, কৃষিতে আরও প্রণোদনা, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি, নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও স্থানীয় সরকার খাতে আসন্ন বাজেটে পৃথক বরাদ্দের পরামর্শ দেন বক্তারা।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত পোষণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, কেন বিনিয়োগ বাড়ছে না, বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজেও বিচলিত। মুহিতের ভাষায়, ‘এফডিআই নিয়ে হৈচৈ করে যাচ্ছি, কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি দেখছি না।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, আসন্ন বাজেটে স্পেশাল ইকোনমিক জোনের জন্য কর প্রণোদনাসহ নানা সুযোগ-সুবিধা থাকবে। আশা করছি পরিস্থিতির উন্নতি হবে। নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। আগামী বাজেটে নতুন চাকরি সৃষ্টির জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা

নেওয়া হচ্ছে_ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, কর্মসংস্থানমুখী বিদ্যমান কর্মসূচিগুলো অব্যাহত থাকবে। তবে এর জন্য নতুন কোনো কর্মসূচি থাকছে না। বিনিয়োগ, রফতানি বাড়লে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এসব বিষয়ে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

আলোচনা সভায় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান। বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ডিরেক্টর ড. বিনায়ক সেন, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, আমেরিকান চেম্বারের সভাপতি আফতাব-উল-ইসলাম, বিটিএমএর ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলুল হক, রি-কন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারক সংগঠন বারবিডার সভাপতি আবদুল হামিদ শরিফ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে. আজাদ ও মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি নাসিম মঞ্জুর উপস্থিত থাকলেও কোনো বক্তব্য রাখেননি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ইআরএফ। বিষয়বস্তু ছিল ‘বাজেট ২০১৫-১৬ :জব ক্রিয়েশন, দ্য বিগেস্ট চ্যালেঞ্জ’। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সভাপতি সুলতান মাহমুদ বাদল।

দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব আরোপ করে আগামী বাজেটে তার প্রতিফলন দেখতে চান পিআরআইর নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান মনসুর। আমেরিকান চেম্বারের সভাপতি আফতাব-উল-ইসলাম বলেন, আস্থাহীনতা, আতঙ্ক, নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তা বেসরকারি বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। বিআইডিএসের ড. বিনায়ক সেন গ্রামীণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল করতে স্থানীয় সরকারে মোট বাজেটের ১০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন। অধিক কর্মসংস্থানের জন্য বেসরকারি খাতে স্পেশাল ইকোনমিক জোন ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।