Professor Mustafizur Rahman on energy price hike

Published in New Age on Saturday, 29 August 2015.

Energy Price Hike
Govt lands further blow to living costs

Manjurul Ahsan

People reeling under rising cost of living received a further blow as the government raised the prices of electricity and gas for households, industries and transportation.

The latest round of energy price hike, which will come into effect from September 1, will hit low – and middle – income families the most, by forcing them to pay more for not just utilities, but commodities and transportation as well.

‘House rent, prices at kitchen market, education expenses of my children and transportation fare are already too high,’ said Rafiqul Islam, a high school teacher lives at Mohammadpur in Dhaka.

‘In the last four years my electricity bill has gone up by more than Tk 400, although I have not added any electric appliance to my household,’ said Rafiqul, adding ‘and now I will have to pay Tk 200 more for gas.’

Rafiqul is the lone earning member of his five-member family.

The Bangladesh Energy Regulatory commission, apparently under the pressure of the government, on Thursday raised the average prices of electricity by 2.93 per cent and natural gas by 26.29 per cent at consumer level, ignoring the protests of experts and consumers during the public hearings on the proposals in January and February this year.

Experts and businessmen said that the government is ‘extorting’ money from people by increasing the prices of power and gas to meet its revenue shortfall and reduce bank borrowing.

Centre for Policy Dialogue executive director Mustafizur Rahman said that the latest round of rise in energy prices would certainly increase household expenditure as inflation will go up.

The rise in price of electricity comes at a time when international oil prices are significantly low, though the government has far refused to rationalise local prices accordingly. At least 20 per cent of electricity is generated through imported fuel oils — diesel and furnace oil.

Businessmen said the price of electricity could have been reduced if the government had reduced the price of fuel oils.

Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association vice president Shahidul Azim pointed out that while the garment industry in India, Pakistan, Vietnam, China and other African countries had double digit growth, the industry in Bangladesh grew only by four per cent, largely due to high production cost fuelled by energy price.

‘Our competitors have taken advantage of a fall in fuel price in the international market for the last one year. But we are here paying more and more for energy,’ he said.

Rashed Al Mahmud Titumir, economist and chairman of research organisation Unnayan Onneshan, said the government had failed to come out of its ad-hoc solution to meeting the demand for energy.

The price hike will aggravate our declining investment situation, he said.

The government will earn 55 per cent more from the extra money consumers will pay for natural gas from next month, said Shamsul Alam, energy adviser to the Consumer Association of Bangladesh.

Besides, the government continues to make disproportionate profits from sale of imported fuel oil.

Shamsul said the energy commission had overlooked the interests of the consumers by increasing the prices of power and gas.

Both Shamsul and Titumir said the energy commission had lost its ‘credibility’ among people by following the government’s directives, instead of the arguments and recommendations from experts and consumers present at public hearings.

They said the government forced the price rise of electricity between 2010 and 2014 to adjust rising fuel oil prices. The price of CNG in 2011 was also increased to rationalise it with diesel, petrol and octane prices for the transport sector. However, now that fuel oil prices have halved internationally, the government is again raising prices.

The government raised the price of diesel and kerosene by Tk 24 per litre and that of petrol and octane by Tk 22 per litre between May 2011 and January 2013. It also increased the price of furnace oil by Tk 36 per litre in 2011.

The price of bulk electricity doubled accordingly between 2011 and 2012, pushing the price by 64 per cent at the consumer level till March 2014.

With the latest hike, the energy commission, during the Awami League-led government’s two successive regimes, has so far raised the average retail price of electricity by 69.25 per cent, up from Tk 3.76 per kilowatt-hour or unit to Tk 6.33, in eight phases, between March 2010 and September 2015.


Published in Samakal

গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক

সমকাল প্রতিবেদক

বর্তমানে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে। এতে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে গেছে। পৃথিবীর সব দেশের মানুষ কম মূল্যের জ্বালানির সুবিধা পাচ্ছে। এ অবস্থায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় পণ্য উৎপাদনে খরচ বাড়বে। এ জন্য গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

অর্থনৈতিক বিশ্লেষক, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও শিল্প উদ্যোক্তারা এ মন্তব্য করেছেন। তারা দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে তা বাতিলের দাবি জানান। তবে আবাসিক কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো যথাযথ হয়েছে বলে মনে করেন কেউ কেউ।

এদিকে সিএনজির দাম বাড়ানোয় গাড়িভাড়া বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে সড়ক পরিবহন সমিতি। এ পরিস্থিতিতে গাড়িভাড়ার সঙ্গে বাড়িভাড়া প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বাড়ানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ভাড়াটিয়ারা। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে মধ্যবিত্ত পরিবারে মাসে গড়ে ৩০০ টাকা খরচ বাড়ার কথা। গ্যাসের কারণে দুইশ’ টাকা। বিদ্যুতে গড়ে ৫০ থেকে একশ’ টাকা। তবে খরচ এর থেকে অনেক বেশি বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। তবে সে সুবিধা সাধারণ মানুষ পায়নি। তেলের দাম না কমিয়ে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। এটি অনৈতিক, অযৌক্তিক। অর্থনৈতিক অবস্থান থেকেও এখনই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রয়োজন নেই। শিল্প উদ্যোক্তারা এই সিদ্ধান্তে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ গতকাল সমকালকে বলেন, সিএনজির দাম বাড়ানো হয়েছে। এখন গাড়িভাড়া না বাড়ানোর

কোনো বিকল্প নেই। গত চার বছর গাড়িভাড়া বাড়ানো হয়নি। চলতি সপ্তাহে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পরিবহন ভাড়া নির্ধারণ কমিটির কাছে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

রফতানিকারকদের সংগঠন ইএবির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার কারণে সারা বিশ্ব যখন দর সমন্বয় করছে, তখন দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে রফতানিমুখী শিল্প বিশ্ব প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়বে। বাংলাদেশের সব প্রতিযোগী দেশগুলোতে দুই অঙ্কের রফতানি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। অথচ দেশে তৈরি পোশাকের রফতানি প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ অবস্থায় গ্যাস ও বিদ্যুতের দর বৃদ্ধি রফতানিমুখী শিল্পের বিনিয়োগকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যেখানে তেলের দাম কমছে সেখানে বাংলাদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যুক্তি নেই। যদি তেলের দাম কমানো হয় তবুও পরিবহন ভাড়া কমানো যেত না। ফলে তেলের দাম কমালেও তার সুফল সাধারণ মানুষ পেত না। আবাসিক গ্যাসের দাম বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়ে তিনি বলেন, আবাসিকের তুলনায় যারা এলপিজি দিয়ে রান্না করছে তাদের খরচ অনেক বেশি। এলপিজি বেশিরভাগ গ্রামের মানুষ ব্যবহার করে। এ অবস্থায় গ্যাসের দাম সমন্বয় করার দরকার ছিল। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, তেলের দাম কমার বিপরীতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তিই নেই। শিল্পে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম উভয়ই বাড়ানো হয়েছে। ফলে শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। এতে বাড়বে মানুষের জীবনযাত্রার খরচ।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম বলেন, বিইআরসি স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা হারিয়েছে। এটা জ্বালানি খাতের অন্যতম সংকট। বিইআরসি একটি বিচারিক ব্যবস্থা। সেখানে স্বাধীনতা না থাকলে চলে না। নিয়ম অনুযায়ী গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে রায় দেওয়ার কথা। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। তাছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, গ্যাসের দাম ২৬ শতাংশের বেশি বাড়ানো হয়েছে। এতে শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। যা শিল্পোদ্যোক্তাদের আরও চাপে ফেলবে। সরকারের এ সিদ্ধান্তে বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে। নতুন বিনিয়োগকারীরা আরও নিরুৎসাহিত হবেন। তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, গত বছরে পোশাক খাতের উৎপাদন ব্যয় বেশি ছিল ১২ শতাংশ। নতুন করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দর বৃদ্ধির কারণে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে ২০ শতাংশে পেঁৗছবে। এতে প্রতিযোগিতায় পোশাক খাত পিছিয়ে পড়বে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দর সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি। তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ বলেন, পণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেলে সেই পণ্যের দাম বাড়বে। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু উৎপাদন খরচ কমলে দাম বাড়ে তা এখন দেখছি। বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমেছে। কিন্তু দাম বাড়ানো হলো। উৎপাদন খরচ কমার কারণে বিদ্যুতের দাম কমিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। এ দাম বাড়ানোর ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিতরণ কোম্পানিগুলো এখনই লাভ করছে। এতে দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি থাকতে পারে না।

সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ধামরাইয়ে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে ভোক্তা ও উৎপাদন পর্যায়ে প্রভাব পড়বে। আন্তর্জাতিক বাজারে যেহেতু তেলের দাম কমেছে সে জন্য এখন বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম না বাড়ালেও চলত।

বৃহস্পতিবার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম যথাক্রমে গড়ে ২৬ দশমিক ২৯ এবং ২ দশমিক ৯৩ ভাগ বাড়ানো হয়েছে।