সম্ভাবনাময় বড় বাজার হিসেবে ভারতে রফতানি বাড়ার প্রবণতা বাংলাদেশের জন্য সুখবর। ভারত বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। সেখানে প্রতিবেশী এবং শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাংলাদেশ ভারতের বাজারে বড় জায়গা করে নিতে পারে। রফতানিকারকদের সক্ষমতা রয়েছে আরও রফতানি করার।
Published in Samakal on Monday, 19 October 2015.
অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক
ভারতে রফতানি বেড়েছে ১১ শতাংশের বেশি
সমকাল প্রতিবেদক
চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ভারতে পণ্য রফতানি থেকে আয় বেড়েছে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশের বেশি। তবে গত অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে প্রবৃদ্ধি অনেক বেশি ছিল। ওই সময়ে ভারতে রফতানি বেড়ে ছিল প্রায় ৫৭ শতাংশ।
বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে, শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও ভারতে রফতানিতে কাঙ্ক্ষিত গতি আসেনি এখনও। রফতানি বর্তমানের চেয়ে অনেক বাড়ানো সম্ভব। অশুল্ক বাধা, আস্থার সংকট ও অবকাঠামো দুর্বলতার কারণে আশানুরূপ হারে বাড়ছে না রফতানি।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে ভারতে রফতানি থেকে আয় এসেছে ১৬ কোটি ৪ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। অন্য বাজারের মতো ভারতে রফতানি পণ্য হিসেবে তৈরি পোশাকের একচেটিয়া দাপট নেই। গেল প্রান্তিকে ওভেন পোশাক রফতানি থেকে আয় এসেছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। নিট থেকে এসেছে ৯৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার। সবজি রফতানি হয়েছে ৫ কোটি ৩১ লাখ ডলারের। পাদুকা থেকে এসেছে ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, সম্ভাবনাময় বড় বাজার হিসেবে ভারতে রফতানি বাড়ার প্রবণতা বাংলাদেশের জন্য সুখবর। ভারত বছরে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। সেখানে প্রতিবেশী এবং শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাংলাদেশ ভারতের বাজারে বড় জায়গা করে নিতে পারে। রফতানিকারকদের সক্ষমতা রয়েছে আরও রফতানি করার।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পোশাক খাতের ৪১ পণ্য এবং একই বছরের নভেম্বর থেকে সুপারি ও শাঁসজাতীয় অন্যান্য ফল, টয়লেট বা ফেসিয়াল টিস্যু, প্লাস্টিকের মনোফিলামেন্ট, ফ্রেশ আলুসহ অন্য ১৫টি পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে ভারত।