Published on BSS online and in Banik Barta and Jai Jai Din on Monday, 28 April 2014.
Duty-free market access, GSP to dominate as first TICFA meet begins tomorrow
Kamal Uddin Ahmed (BSS)
The first meeting of the Trade and Investment Cooperation Forum Agreement (TICFA), which has already been effective since January this year, will begin in the capital tomorrow (Monday).
“We’ve good preparations for the meeting.duty-free and quota- free (DFQF) market access and GSP will be the key agenda in the first TICFA meeting on Bangladesh side,” Commerce Secretary Mahbub Ahmed told BSS.
Mahbub described the two-day meeting as a high-level bilateral engagement between Dhaka and Washington and said it will help find ways for increasing trade and investment between the two countries.
Commerce Secretary Mahbub Ahmed and Assistant US Trade Representative for South Asia Mike Delaney will co-chair the inaugural TICFA meeting.
The Commerce Secretary said a high-profile US private sector trade delegation is already in Dhaka to hold first meeting of the TICFA to discuss these issues.
“Of course, Bangladesh will have many issues they want to raise and America will have issues. We’ll raise them and discuss them and try to find a way forward with the shared objective of increasing trade and investment between our two countries,” US Ambassador in Dhaka Dan W Mozena told journalists earlier.
A leading economist say strengthening the Bangladesh-US trade and economic relations is extremely important for maintaining the pace of sustainable economic development of Bangladesh.
Professor Mustafizur Rahman, Executive Director of Centre for Policy Dialogue (CPD), told the news agency that the TICFA may open up opportunities for both Bangladesh and the US to further deepen and broaden trade and economic relations for mutual benefit.
“I see the meeting is important for two reasons — first meeting in Dhaka and the tune Bangladesh is going to set for the meeting will be important for coming years,” he said.
The economist said “Our efforts would be on how we can have greater market access to the US market and duty-free market access too.”
Prof Mustafiz said, “Obviously Bangladesh will have an interest that the US Administration would play a role in placing a bill on zero- tariff market access in the US senate since Bangladesh signed the TICFA”
About the widely-talked issue of the Generalized System of Preferences (GSP), the financial analyst said both Bangladesh and the US will speak about the tariff facility in the inter-governmental meeting.
Bangladesh can raise in details the steps it has taken to win back the GSP from the US and the US will also tell to this end, he said.
“If the US side raise about Intellectual Property (IP) issue, Bangladesh should seek technical support strategically from the US government for protection of the IP rights,” said the financial analyst.
Many experts believe that the TICFA will also protect and promote our interests in areas of transfer of technology, compulsory licensing including in sectors like pharmaceutical ingredients, biotechnology, energy related technology transfer and others and technical assistance for capacity building under the terms of the Intellectual Property (TRIPS) Agreement.
The misguided negotiations between 2003 and 2012 on TIFA/TICFA have caused Bangladesh immense losses, depriving the country more beneficial and deeper access to the US market for a decade till to date, they said.
টিকফার প্রথম বৈঠক
মূল বিষয় ছাপিয়ে আলোচনা জুড়ে জিএসপি
কূটনৈতিক প্রতিবেদক
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়ানোই ছিল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোঅপারেশন ফোরাম এগ্রিমেন্টের (টিকফা) মূল উদ্দেশ্য। তবে বাংলাদেশের পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবে মূল বিষয়গুলো পেছনে চলে গেছে। সামনে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস (জিএসপি) ফিরে পাওয়ার ইস্যু। ফলে আজ টিকফার প্রথম বৈঠকে বাণিজ্য-বিনিয়োগের পরিবর্তে বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে জিএসপি।
টিকফা বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মাঝে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংক্রান্ত আলোচনার ফোরাম। এ-সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় মূলত ছিল বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ, দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক কনভেনশনের ভূমিকা ও শ্রম অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত পণ্যের প্রবেশাধিকার আদায় করাও এ চুক্তির অন্যতম লক্ষ্য।
তবে মূল বিষয়ের পরিবর্তে জিএসপি ইস্যুকেই বড় করে দেখছে বাংলাদেশ। ফলে টিকফার পুরো বৈঠকের অর্ধেকজুড়েই থাকছে জিএসপি ও শ্রম ইস্যু, জিএসপি অ্যাকশন প্ল্যান ও এর হালনাগাদ তথ্য এবং এ বিষয়ে পরবর্তী করণীয়। পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়েও আলোচনা হবে।
জিএসপি না থাকলে এটি বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এ কারণে জিএসপি ইস্যুকে বাংলাদেশ বড় করে দেখছে বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, জিএসপি ফিরে পেতে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে। ফলে বৈঠকের একটি বড় অংশজুড়েই হয়তো জিএসপি নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার, মেধাস্বত্ব আইন অনুযায়ী প্রযুক্তি হস্তান্তরের মতো ইস্যুগুলোও থাকা উচিত।
কূটনীতিকদের মতে, শ্রম অধিকার ও নিরাপত্তা এবং কারখানার মানদণ্ড ইস্যুতে বাংলাদেশ কিছুটা চাপে থাকায় বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় দাঁড়িয়েছে জিএসপি। যদিও বর্তমানে সব দেশের জন্য এ সুবিধা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী জুলাইয়ে আবারো জিএসপি চালু হবে। তবে টিকফা বৈঠকে বাংলাদেশের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় জিএসপি নিয়েই আলোচনা করতে হবে বাংলাদেশ পক্ষকে। কিন্তু এ বৈঠক থেকে জিএসপি পুনরুদ্ধারের কোনো দিকনির্দেশনা আসার সম্ভবনা নেই বলেও তারা মনে করেন।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, এখানে সব বিষয়েই আলোচনার সুযোগ রয়েছে। ফলে জিএসপিও এ ফোরামে আলোচনা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, টিকফার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্যসংক্রান্ত যে কোনো বিষয়ে আলোচনার সুযোগ থাকবে। দেশটি এ বিষয়ে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে পারবে না। ফোরামটি প্রতি বছর একটি বৈঠকে মিলিত হবে। তবে উভয় পক্ষ দরকার মনে করলে বছরে একাধিকবারও এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
জানা গেছে, মূল বৈঠকটি আজ সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকের সাইডলাইন বৈঠকগুলো গতকালই শুরু হয়। বৈঠকে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে বেসরকারি খাতের একটি প্রতিনিধি দলও এসেছে। বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ্যে মার্কিন বাণিজ্য সংস্থার মিশেইল জে ডেনিয়েল নেতৃত্ব দেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে বহুল আলোচিত টিকফা সই হয়। চুক্তি সই হওয়ার পর একই দিন দুই দেশ এ ফোরামের আওতায় প্রথম বৈঠকে অংশহগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি ছিল না দেখে সে সময় প্রথম বৈঠকটি ঢাকায় অনুষ্ঠানের আগ্রহ জানায়। বিশ্বের ৪২টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৯০টি দেশের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে।
Published in Jai Jai Din
ঢাকায় টিকফার প্রথম বৈঠক আজ শুরু
যাযাদি রিপোর্ট
টিকফার প্রথম বৈঠক আজ ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। গত জানুয়ারি থেকে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা) কার্যকর হয়েছে।
বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ শনিবার জানান, এই বৈঠকের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় হবে ডিউটি-ফ্রি ও কোটা-ফ্রি (ডিএফকিউএফ) বাজারে প্রবেশ এবং জিএসপি সুবিধা।
বাণিজ্য সচিব এই বৈঠককে ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, বৈঠকের ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির উপায় খুঁজে বের করা সহায়ক হবে। এসব বিষয়ে আলোচনা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন একটি বেসরকারি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে পেঁৗছেছে।
ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবিস্নউ মজিনা এর আগে সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ বৈঠকে আরো ইস্যু উত্থাপন করতে চায়। তারাও কিছু কিছু ইস্যু বৈঠকে উত্থাপন করবেন। দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বাধা দূর করার উপায় খুঁজে বের করতে তারা মতবিনিময় করবেন।
এ ব্যাপারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন স্থিতিশীল রাখতে ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে টিকফা একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে পারে। এই বৈঠক বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের এখন একমাত্র প্রচেষ্টা হতে হবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আরো অধিক পরিমাণে পণ্যের প্রবেশ এবং শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাওয়া।
আশাবাদী বাণিজ্যমন্ত্রী
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ আশাবাদী বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
ঢাকায় দুই দিনব্যাপী শুরু হওয়া টিকফা বৈঠকের আগের দিন রোববার সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসটিআর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডবিস্নউ মজিনা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকফার প্রথম বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা চাইবে বাংলাদেশ। কারণ, আমাদের এই দাবি ন্যায়সঙ্গত।’
তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রথম মিনিস্ট্রিয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমি এই দাবি তুলেছিলাম। সর্বশেষ বালি প্যাকেজে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আগামী বৈঠকের আগেই উন্নত দেশগুলোকে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’
তোফায়েল আহমেদ জানান, শুল্ক হারের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শুল্ক দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশি পণ্যের বিপরীতে গড়ে ১৬ শতাংশ হারে শুল্ক পায় যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এই শুল্কটা যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা দেয়, তথাপি এই শুল্কটা না থাকলে বাংলাদেশি পণ্যের দাম আরো কম হতো, বাংলাদেশি পণ্য আরো প্রতিযোগিতামূলক হতো, রপ্তানি বাড়ত।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রকে ভিয়েতনাম ৮ দশমিক ৩৬, ইন্দোনেশিয়া ৬ দশমিক ৩০, তুরস্ক ৩ দশমিক ৫৭, হংকং ১ দশমিক ৫২ এবং ভারত ২ দশমিক ২৯ শতাংশ শুল্ক দিয়ে থাকে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, টিকফার মূল লক্ষ্য হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো। এ লক্ষ্য নিয়েই দেশ দুটির টেকনিক্যাল টিম সোমবার বৈঠক করবে।
তিনি বলেন, ‘প্রারম্ভিক বৈঠকে দুটি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত সুবিধা ছাড়াও জিএসপি নিয়ে কথা হয়েছে। আমি খোলামেলা বলেছি, আমরা কী চাই। তারাও বলেছেন, তারা কী দিতে পারেন। এছাড়া রানা প্লাজার বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।’
জিএসপি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, জিএসপির মেয়াদ কিন্তু এখন নেই। তবে মার্কিন কংগ্রেস এটা আবার নবায়ন করবে। নবায়ন হলে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবে।
টিকফা চুক্তি সম্পর্কে তোফায়েল বলেন, ২০০২ সাল থেকে টিকফা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর টিকফা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে এবং এটি কার্যকর হয়েছে ৩০ জানুয়ারি থেকে।
বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের টিকফা প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট ইউএসটিআর ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়া মাইকেল ডিলানি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকালের টেকনিক্যাল বৈঠকে দুই দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য নিয়ে আমরা আলোচনা করব। আলোচনা শেষে বিষয়টি সবাইকে অবহিত করা হবে।’
প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন ডেপুটি ইউএসটিআর মারা বার, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ জেনাথন গোল্ডবার্গ, টবি গ্লাক্সম্যান, মাইকেল ও ডোনোভ্যান, টিমোথি ওয়েডিং প্রমুখ।