Published in Shokaler Khobor on Saturday, 10 October 2015.
নতুন চ্যালেঞ্জে পোশাক খাত
এসএম আলমগীর
নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শিল্প। সম্প্রতি দুই বিদেশি নাগরিক খুন হওয়ার পর তৈরি পোশাকের বিদেশি ক্রেতারা নতুন কার্যাদেশ দিতে গার্মেন্ট মালিকদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক ও বাংলাদেশ সফর বাতিল করছেন। যারা দেশে এসে পড়েছেন তারা অনেকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নিশ্চয়তা দিলেও ফ্যাক্টরিতে যাচ্ছেন না এবং শিল্পমালিকদের সঙ্গে বৈঠক না করেই দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিকে শিল্পের জন্য বড় হুমকি বলে মনে করছেন তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা।
এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী ভিয়েতনামের ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপে (টিপিপি) অন্তর্ভুক্তি বাংলাদেশে এ শিল্পের আরেক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন মালিকরা। টিপিপির ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকসহ সব খাতেই শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে ভিয়েতনাম। সেখানে বাংলাদেশকে দিতে হয় গড়ে প্রায় ১৬ শতাংশ হারে শুল্ক। বিশ্বের প্রায় ৪০ ভাগ রফতানি বাণিজ্যের দখলদার ১২টি দেশ সম্প্রতি সই করে এই টিপিপিতে। এতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে ভিয়েতনাম, যা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের আরেক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
এ মুহূর্তে বিদেশি ক্রেতাদের আসতে অনীহার বিষয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান সকালের খবরকে জানান, সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে দুই বিদেশি নাগরিক খুন বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এতে বিশ্ববাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না।
বিজিএমইএ’র সভাপতিও বলেছেন, ক্রেতাদের সফর বাতিল করা বাড়াবাড়ি। সফর বাতিল করার মতো তেমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি; কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা এবং অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত করার ঘটনা খুব দ্রুত বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যায়। নিরাপত্তাহীনতার জন্য তারা এখন বাংলাদেশে পোশাকের রফতানি আদেশ দিতে আসছেন না। এর প্রভাব অবশ্যই পড়বে পোশাক খাতের ওপর।
কিছু বড় কারখানার মালিক হয়তো অর্থ খরচ করে দেশের বাইরে বৈঠক করবেন তাদের ক্রেতা ধরে রাখতে। কিন্তু এ সামর্থ্য কতজন গার্মেন্ট মালিকের রয়েছে। যেসব কারখানার মালিক বিদেশে বৈঠকের ব্যবস্থা করতে পারবেন না তাদের ক্রেতারা তো রফতানি আদেশ বাতিল করে অন্য দেশে যাবেন। তাতে তো পোশাক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। সুতরাং যত দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো যায় ততই দেশের জন্য মঙ্গল, গার্মেন্ট শিল্পের জন্য মঙ্গল। নতুবা একবার যদি প্রতিষ্ঠিত করা যায় বাংলাদেশের বাজার নিরাপদ নয়, তাহলে ভবিষ্যতে তা দেশের চরম ক্ষতি বয়ে আনবে। এখন হয়তো কেউই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না, কিন্তু সামনে কঠিন সময়ে পড়তে হবে। তাছাড়া এ ধরনের সঙ্কট মোকাবেলায় এখন দেশে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন।
আর বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া দুটি ঘটনায় আমরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েছি। এর আগে তৈরি পোশাক শিল্প অনেক সঙ্কট মোকাবেলা করেছে, কিন্তু এ ধরনের সঙ্কটের মোকাবেলায় এবারই প্রথম পড়তে হয়েছে আমাদের। সবাই মিলে কাজ না করলে এ সঙ্কট থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া কঠিন হবে।
গার্মেন্ট শিল্প মালিকরা জানান, গত তিন বছরে বেশ কয়েকটি বড় সঙ্কটের মুখে পড়ে পোশাক শিল্প। এছাড়া চলতি বছরের একেবারে শুরুতেই (জানুয়ারি মাসে) রাজনৈতিক অস্থিরতা এ শিল্পের রফতানি আদেশ চরমভাবে বাধাগ্রস্ত করে। কারণ সে সময় গ্রীষ্মকালীন কার্যাদেশ দিতে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল বিদেশি ক্রেতাদের। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সে সময় ক্রেতারা বাংলাদেশে আসতে না পারায় অনেক রফতানি আদেশ প্রতিযোগী দেশগুলোতে চলে যায়। এখন আবার যে সময় শীতকালীন রফতানি আদেশ আসার কথা ঠিক তখনই দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে আবারও ধাক্কা খেল তৈরি পোশাক শিল্প। এ অভিমত ব্যক্ত করেন তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী।
তবে বর্তমান সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান মনে করেন, দু’জন বিদেশি নাগরিক খুন হলেও বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশে না আসার মতো কোনো পরিস্থিতি দেশে সৃষ্টি হয়নি। সকালের খবরকে তিনি বলেন, দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ কারণে বিদেশি ক্রেতাদের বাংলাদেশ সফর বাতিল করা তাদের বাড়াবাড়ি। আমরা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের বিষয়টি বোঝাচ্ছি। আশা করি অল্প দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজার খুন হন। এর ঠিক পাঁচ দিন পর ৩ অক্টোবর রংপুরে খুন হন জাপানি নাগরিক হোসে কুনিও। তার আগে নিরাপত্তাহীনতার অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করে অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট টিম। এই তিন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের অনেক দেশের সরকার নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে সতর্ক করে দেয়। এরপর থেকেই নতুন সঙ্কট তৈরি হয় পোশাক শিল্পে। বিদেশি ক্রেতারা আরও সতর্ক হয়ে যান যখন গত ৫ অক্টোবরের পূর্বনির্ধারিত বায়ার্স ফোরামের বৈঠকও বাতিল করা হয়। ওইদিন রাজধানীর গুলশানে এইচঅ্যান্ডএমের কার্যালয়ে বিজিএমইএ নেতা ও শিল্প মালিকদের সঙ্গে বায়ার্স ফোরামের এই মাসিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। অথচ আগের দিন দুপুরে এইচঅ্যান্ডএম বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার রজার হুবার্ট নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বৈঠক স্থগিত করার বিষয়টি বিজিএমইএকে জানায়। বায়ার্স ফোরামের বৈঠক বাতিল হওয়ার এ খবরও দ্রুত পৌঁছে যায় বিদেশি ক্রেতাদের কাছে। ফলে তারা বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে আরও সতর্ক হয়ে যান।
গার্মেন্ট শিল্প মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই বিদেশি নাগরিক খুন হওয়ার পর ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রতিনিধি বাংলাদেশে পাঠানো আপাতত বন্ধ করেছে। বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি ও এনভয় গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুস সালাম মুর্শেদী জানান, এই সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সঙ্গে আমাদের বৈঠক ছিল। তারা প্রচুর পরিমানে রফতানি আদেশ দিতেন আমাদের কারখানায়। কিন্তু দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার পর এসব দেশের ক্রেতারা আমাদের সঙ্গে নির্ধারিত সব বৈঠক বাতিল করেছেন। তারা এখন বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছেন না। নিজেদের স্বার্থে এবং ক্রেতা ধরে রাখার স্বার্থে আমরা এখন দেশের বাইরে ক্রেতাদের সঙ্গে বৈঠকের উদ্যোগ নিচ্ছি। আগামী ২৪ অক্টোবর আমরা দুবাইয়ে বেশকিছু বায়ারের সঙ্গে বৈঠক করব। এতে আমাদের প্রচুর খরচ হলেও আপাতত এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।
কই ধরনের সঙ্কটের কথা বললেন নিটওয়্যার খাতের শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি বলেন, আয়ারল্যান্ড ভিত্তিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রাইমার্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমার বৈঠক ছিল ১২ অক্টোবর। কিন্তু তারা ইতোমধ্যেই ই-মেইল করে জানিয়ে দিয়েছে ১২ তারিখের বৈঠকে তারা আসবে না। ই-মেইলে তারা নিরাপত্তাহীনতার কথাও বলেছে। প্রতিষ্ঠানটির কাছে বছরে আমরা ১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি করে থাকি। এত বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান যদি একবার রফতানি আদেশ আমাকে না দিয়ে অন্য কোনো দেশে চলে যায় তাহলে আবার তাদের ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। এ কারণে ১২ তারিখের বাতিল হওয়া বৈঠক আমরা ইংল্যান্ডে করব আগামী ২০ অক্টোবর।
তিনি আরও বলেন, ফ্রান্সের একটি প্রতিষ্ঠানের কয়েক ক্রেতা ইতোমধ্যেই দেশে চলে এসেছেন। তারা রাজধানীর রেডিসন হোটেলে অবস্থান করছেন। কিন্তু ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস থেকে তাদের বাইরে বের হতে বারণ করায় তারা কারখানায় যাচ্ছেন না। কারণ প্রতিনিধি দলটির নারায়ণগঞ্জে আমার কারখানা পরিদর্শন করে এসে রফতানি আদেশ দেওয়ার কথা ছিল। আমি তাদের বলেছিলাম পুলিশি পাহারায় আপনাদের নারায়ণগঞ্জে নেওয়া হবে। তাতেও তারা আশ্বস্ত হতে পারেননি। কারখানা না দেখেই তারা দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
এ ছাড়া গত এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক চেরোকি গ্লোবাল ব্র্যান্ডের ক্রেতা প্রতিনিধি, লিভাইস, গ্যাপ ইনকরপোরেশন, নেক্সট, টেসকো, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসার ও সেইন্সবারির প্রতিনিধিরাও বাংলাদেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে। একইভাবে সুইডিশ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এইচঅ্যান্ডএমের প্রতিনিধিরাও বৈঠক বাতিল করেছে।
জানা গেছে, ক্লাসিক গ্রুপে ক্রয়াদেশ দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলতে ১২ অক্টোবর আমেরিকার এক ক্রেতার বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। সফরটি স্থগিত করেছেন ওই ক্রেতা। এমন তথ্য দিয়ে গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএ’র সদ্য বিদায়ী সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্রেতা ও ব্র্যান্ডদের কাছে ভালো বার্তা যাচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য খারাপ। যত দ্রুত এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ মেলে ততই আমাদের জন্য ভালো।
অন্যদিকে অবন্তি কালার টেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সহ-সভাপতি আসলাম সানি বলেন, আমার কারখানায় ফ্রান্সের এক ক্রেতা আসার কথা থাকলেও সেটি স্থগিত হয়েছে। এদিকে দেশে অবস্থানরত পোশাক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সব কর্মকর্তাকে তাদের প্রধান কার্যালয় থেকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। সব বার্তাতেই বলা হয়েছে, কোনো প্রতিনিধি গাড়ি ছাড়া বের হবেন না এবং সন্ধ্যার পর বাসার বাইরে অবস্থান করবেন না।
আরেক চ্যালেঞ্জ টিপিপি
তৈরি পোশাক শিল্পের সামনে আরেক নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামের ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বা টিপিপি প্রাপ্তি। গত ৫ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় দীর্ঘ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনামসহ এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১২টি দেশ এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। টিপিপি চুক্তির ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাকসহ সব খাতেই শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে ভিয়েতনাম। সেখানে বাংলাদেশকে দিতে হয় গড়ে প্রায় ১৬ শতাংশ হারে শুল্ক। ভিয়েতনামের টিপিপি প্রাপ্তি আরেক নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন পোশাকশিল্প মালিকরা।
বিশ্বের প্রায় ৪০ ভাগ রফতানি বাণিজ্যের দখলদার ১২টি দেশ সই করে এই টিপিপিতে। এর ফলে শুধু মার্কিন বাজারেই নয়, ভিয়েতনাম শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান কিংবা চিলির মতো দেশগুলোতে।
ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিযোগিতা কতটা কঠিন হবে, তার কিছুটা ধারণা পাওয়া যায় যায় এক বছরের তথ্য-উপাত্তে। ২০১৪ সালের জুলাই থেকে এ বছরের জুলাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই ১৩ মাসে সমপরিমাণ শুল্ক দিয়ে বাংলাদেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি যেখানে মাত্র ৪ শতাংশের মতো সেখানে ভিয়েতনামের প্রায় ১৫। শুল্কমুক্ত সুবিধায় যা নিশ্চিতভাবেই বাড়বে আরও। আশঙ্কা আছে আরও দুটি বড় গন্তব্য কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার বাজারেও ভিয়েতনামের এগিয়ে যাওয়ার। যুক্তরাষ্ট্রে মোট পোশাক রপ্তানির প্রায় ১২ ভাগ ভিয়েতনামের দখলে, যেখানে বাংলাদেশের ৬ ভাগের সামান্য বেশি।